২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

Author Topic: ২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ  (Read 816 times)

Offline nafees_research

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 344
  • Servant of ALLAH
    • View Profile
২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

চার দশক পিছিয়ে থাকার পর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়েও ভারতকে পেছনে ফেলবে।

২০১৬ সালসহ আগের তিন বছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে বেড়েছে ৪০ শতাংশ। একই সময়ে ভারতের মাথাপিছু আয় বাড়ে ১৪ শতাংশ। এভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৩৫৫ মার্কিন ডলার। ভারতের একজন নাগরিক বর্তমানে একজন বাংলাদেশির চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি আয় করেন।

অথচ ২০১১ সালে বাংলাদেশিদের চেয়ে ৮৭ শতাংশ বেশি আয় ছিল ভারতীয়দের।

২০১৬ সালসহ আগের তিন বছরে চলতি মূল্যে ডলারের হিসাবে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ক্ষেত্রে সমন্বিত বার্ষিক
প্রবৃদ্ধি (সিএজিআর) ১২ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় অর্ধেক, ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময়ে পাকিস্তানের সিএজিআর ভারতের চেয়ে বেশি হলেও তা বাংলাদেশের চেয়ে কম ছিল। পাকিস্তানের সিএজিআর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর চীনের অর্থনৈতিক প্রসারের বার্ষিক হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

১৯৭০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরে ভারত ছিল অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশ। চলতি মূল্যে ডলারের হিসাবে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। আর পাকিস্তানে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

গড় আয়ুতেও ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৫ বছর। ভারত ও পাকিস্তানে এই হিসাব যথাক্রমে ৬৮ দশমিক ৬ ও ৬৬ দশমিক ৫ বছর। শিশুমৃত্যুর হারও এই দুই দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কম।

বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক সাফল্যের পেছনে চীনের রপ্তানির পরিমাণ কমে যাওয়ার বড় একটি ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বেইজিংয়ের নীতিনির্ধারকেরা এখন জাতীয় চাহিদা ও বিনিয়োগেই বেশি মনোযোগী। ২০১৬ সালে চীনের রপ্তানি কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার। অথচ তার তিন বছর আগে তাদের রপ্তানি ছিল ২ লাখ ৩৫ হাজার কোটি ডলার। চীনের রপ্তানি কমায় বৈশ্বিক বাজারে অন্যদের ভোগ্যপণ্য রপ্তানির সুযোগ বেড়ে যায়। ভারত এই সুযোগ নিতে না পারলেও বাংলাদেশ নিতে পেরেছে। ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতের পুঁজি, বিনিয়োগ ও রপ্তানির পরিমাণ কমেছে এই সময়ে। এই তিন বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৭ শতাংশ হারে।

Source: http://www.prothomalo.com/economy/article/1498616/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
Nafees Imtiaz Islam
Deputy Director, IQAC, DIU and
Ph.D. Candidate in International Trade
University of Dhaka

Tel.:  65324 (DSC-IP)
e-mail address:
nafees-research@daffodilvarsity.edu.bd  and
iqac-office@daffodilvarsity.edu.bd