Faculty of Humanities and Social Science > Law
জমিজমা সংক্রান্ত আইন ও বিধি
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা ৬৮গ ( খাজনা প্রাপকের নিকট বকেয়া খাজনা, সেস এবং কর আদায় ও ঐ বকেয়ার নিমিত্ত ডিক্রি )
সুদসহ সমস্ত বকেয়া খাজনা এবং সেস যাহা খাজনা প্রাপকের স্বার্থ এই আইনের অধীন অধিগ্রহণের তারিখ তাহার পাওনা ছিল এবং যাহা তামাদি হয় নাই এবং উক্ত অধিগ্রহণের আগে বা পরে এইরূপ বকেয়া আদায়ের নিমিত্ত ডিক্রি সম্পর্কীয় সমস্ত পাওনাদি, তাহা খাজনার ডিক্রি হউক অথবা অর্থ ডিক্রি হউক, এবং উহা অধিগ্রহণের আগে বা পরে যখনই পাওনা হউক না কেন এবং যাহা জারী দেওয়া তামাদি আইনে বারিত হয় নাই তাহা আপোস অথবা দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে দেনাদারের নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে ।
ধারা ৬৮-ঘ ( কতিপয় শর্তসাপেক্ষে সরকারের মাধ্যমে বকেয়াসমূহ আদায়ের জন্য মতামত )
উপধারা-(১) কোনো খাজনাপ্রাপক কালেক্টরের কাছে আবেদনক্রমে তামাদি হইয়া যায় নাই বকেয়া পাওনা এবং উহার সুদ, প্রকৃত আদায়কৃত অর্থের অর্ধাংশ সরকারকে প্রদান করিয়া সরকারের মাধ্যমে আদায়ের জন্য মতামত প্রকাশ করিতে পারিবেন ।
উপধারা-(২) লিখিত কারণসমূহ রেকর্ড করিয়া কালেক্টর উক্ত দরখাস্ত প্রত্যাখান করিতে পারিবেন ।
উপধারা-(৩) কালেক্টর যদি দরখাস্ত মঞ্জুর করেন তবে উক্ত বকেয়া পাওয়া এবং সুদ যেন সরকারী পাওনা এইরূপভাবে অথবা সরকার যেন খাজনা প্রাপক এইরূপ অপর কোনো পদ্ধতিতে ঐ বকেয়া আদায় করার জন্য সরকার অধিকারী হইবে ।
উপধারা-(৪) কালেক্টর সময় সময় নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী উপরে বর্ণিত বকেয়া পাওনা এবং সুদের প্রকৃত আদায়ের হিসাব খাজনা প্রাপকের কাছে পাঠাইবেন ও উক্ত আদায়কৃত অর্থের অর্ধাংশ খাজনা প্রাপককে প্রদান করিবেন এবং অবশিষ্ট অর্থকে সরকারের জন্য রাখিবেন এবং উক্ত হিসাব চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ও এই ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবে না ।
উপধারা-(৫) উক্ত বকেয়া এবং উহার সুদের সম্পূর্ণ অথবা কোনো অংশ বিশেষ আদায় করিতে ব্যর্থ হইলে সরকার দায়ী হইবে না ।
ধারা ৬৮-ঙ ( তামাদি মেয়াদ গণনা )
আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন ? এইরূপ কোনো বকেয়া আদায়ের নিমিত্ত বা এইরূপ বকেয়া সম্বন্ধীয় কোনো ডিক্রী জারী করার জন্য তামাদি মেয়াদ গণনার বেলায় উক্ত এলাকার সহিত সম্পর্কযুক্ত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ এই আইনের অধীন অধিগ্রহণের তারিখ অথবা তারিখ হইতে ৪৮ মাস বাদ দেওয়া হইবে ।
ধারা ৬৯ ( খাজনা প্রাপকদের ঋণ আদায়ের জন্য কতিপয় ডিক্রি এবং আদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা )
উপধারা-(১) এই আইন বলবত্ হওয়ার পর কোনো দেওয়ানী আদালত ৭০ ধারার অধীন হ্রাস পাওয়ার যোগ্য কোনো ঋণ আদায়ের জন্য কোনো খাজনা প্রাপকের কোনো সম্পত্তির বিরুদ্ধে কোনো মামলা গ্রহণ অথবা কোনো ডিক্রী বা আদেশ কার্যকর করিবেন না, যে পর্যন্ত না উক্তরূপ খাজনা প্রাপকের যে সমস্ত স্বার্থ সরকার কর্তৃক এই আইনে অধিগ্রহণযোগ্য তাহা অধিগ্রহণ করা হয় ও খাজনা প্রাপককে উক্ত স্বার্থসমূহের জন্য ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা হয় বা এই আইনের বিধান অনুযায়ী কালেক্টরের নিকট জমা দেওয়া হয় ।
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো খাজনা প্রাপক যদি ৭০ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত নির্ধারিত সময়ের ভিতর উক্ত ঋণ পরিশোধ করিয়া লইবার জন্য দরখাস্ত দিতে ব্যর্থ হয় তবে ঐ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর উপধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না ।
উপধারা-(২) আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ডিক্রী অথবা আদেশ জারী দেওয়ার জন্য মোকদ্দমা, অথবা দরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তামাদি মেয়াদ গণনা করিতে যাইয়া কোনো মোকদ্দমা দায়ের অথবা কোনো ডিক্রী অথবা আদেশের কার্যকারিতা (১) উপধারার অধীন তামাদি হওয়ার সময় বাদ দেওয়া হইবে ।
উপধারা-(৩) যেক্ষেত্রে কোনো ঋণ ৭০ ধারার অধীনে হ্রাস করা হইয়াছে যে অর্থ দ্বারা উক্ত ঋণ হ্রাস করা হইয়াছে সেই অর্থ (১) উপধারা অনুযায়ী প্রয়োগের বেলায় বারিত হইয়াছে এইরূপ ডিক্রী অথবা আদেশ মোতাবেক হ্রাস করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইয়াছে ।
ধারা ৭০ (ঋণ হ্রাস ও উহা আদায় )
উপধারা-(১) এই আইন অনুযায়ী কোনো জেলা, জেলার অংশে অথবা স্থানীয় এলাকার অবস্থিত প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের বকেয়া রাজস্ব ও সেস ছাড়া সরকারের নিকট অথবা সমবায় সমিতির নিকট প্রদানযোগ্য কোনো টাকা বা পাওনা ছাড়া (চা শিল্পের জন্য আর্থিক ঋণ ব্যতীত) ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিলের পূর্বে খাজনা প্রাপকের অন্য কোনো ঋণ আপাতত বলব্ত্ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, নিম্নলিখিত নিয়মে হ্রাস করা হইবে যদি খাজনা প্রাপক নির্ধারিত নিয়মে নিয়মে ঋণ-হ্রাসের জন্য ৭১ (১) ধারার অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাজস্ব অফিসারের নিকট ৩ ধারা অথবা ৪৪ ধারা অনুযায়ী স্বার্থ বা ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ৪২ ধারা মোতাবেক প্রকাশের ৩ মাসের মধ্যে আবেদন করিয়া থাকে
(ক) এই আইনের বিধানাবলীর অধীন অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া গৃহীত ঋণের সংশ্লিষ্ট স্বার্থ অধিগ্রহণের দরুণ ক্ষতিগ্রস্ত খাজনা প্রাপকের প্রকৃত আয় হ্রাসের আনুপাতিক হারেঐ হ্রাস করা হইবে;
(খ) এই আইনের বিধানাবলীর অধীন অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ খাজনা প্রাপকের স্বার্থের অংশবিশেষ বন্ধক রাখিয়া, দায়বদ্ধ করিয়া ও এই আইনের বিধানাবলীর অধীন অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তির অংশবিশেষ বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া গৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে, অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ বন্ধকীকৃত ও দায়বদ্ধ স্বার্থ হইতে ঐ খাজনা প্রাপকের বার্ষিক প্রকৃত আয় ও অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ বন্ধকীকৃত ও দায়বদ্ধ স্বার্থ হইতে ঐ খাজনা প্রাপকের বার্ষিক প্রকৃত আয়ের অনুপাতে ঐ ঋণ নির্ধারিত নিয়মে দুইভাগে বিভক্ত করা যাইবে এবং ঐ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ স্বার্থ হইতে আগত বার্ষিক প্রকৃত আয়ের অনুপাতে ঐ ঋণের অংশ হ্রাস করা হইবে । সংশ্লিষ্ট স্বার্থ অধিগ্রহণ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ খাজনা প্রাপকের প্রকৃত আয়ের হ্রাসের আনুপাতিক হারে ।
তবে শর্ত থাকে যে, খাজনা প্রাপকের ঋণের কোনো অংশে হ্রাস করা হইবে না যদি অধিগ্রহণকৃত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বা ভূমির উপর ক, খ ও গ দফার অধীন আনুপাতিক হারে ঋণের পরিমাণ খাজনা প্রাপকের প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের মোট অর্থের .২৫ অংশের কম হয় ।
আরো শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন হ্রাসকৃত ঋণ ক্ষতিপূরণের মোট অর্থের .২৫ অংশের কম হইলে তাহা হ্রাস করা হইবে না।
(১ক) (১)উপধারায় যাহা কিছু থাকুক না কেন, একজন খাজনা প্রাপক যাহার স্বার্থ সম্পর্কে ৪২ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ১৯৫৫ সালের ১৫ই মার্চ তারিখের বা উহার পূর্বে তাহার ঋণ হ্রাস করার জন্য ১৯৫৬ সালের পূর্ববংগ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ বলবত্ হইবার ৩ মাসের মধ্যে ঐ উধারায় বর্ণিত নিয়মে আবেদন করিতে পারিবেন ।
(১খ) (১) উপধারায় অথবা (১ক) উপধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, খাজনাপ্রাপক যাহার সম্পত্তি ১৯৭৯ সালের কোর্ট অব ওয়ার্ডস আইন মোতাবেক কোর্ট অব ওয়ার্ডসের ব্যবস্থাধীন ছিল ও যাহার স্বার্থ সম্পর্কে ৪২ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ১৯৫৬ সালের পূর্ববঙ্গ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ বলবত্ হওয়ার তারিখের আগে প্রকাশিত হইয়াছে তাহার ঋণ হ্রাস করার জন্য (১) উপধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে ঐ তারিখ হইতে ৩ মাসের ভিতর আবেদন করিতে পারিবে ।
(২) কোনো খাজনা প্রাপক যদি এই আইন অনুযায়ী যেগুলি অধিগ্রহণ করা যাইবে না যেইগুলি কোনো ভূমি বা স্থাবর সম্পত্তি বিভিন্ন এলাকায় অধিকারে রাখে সেক্ষেত্রে এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীনে ঋণ হ্রাস করিবার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না (এই আইন মোতাবেক) ঐ এলাকাগুলি সম্পর্কে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অথবা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীসমূহ তৈরী করা হয় এবং ৫৪ ধারার অধীন চূড়ান্তভাবে সংশোধিত হয় ।
(৩) (১) উপধারার ক, খ ও গ দফায় বর্ণিত খাজনা প্রাপকের আয় হ্রাসের পরিমাণ এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধানাবলী অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে ।
(৪) (১) উপধারার খ ও গ দফায় বর্ণিত এই আইন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তি হইতে আগত বার্ষিক প্রকৃত আয় এবং অন্যান্য উত্স হইতে আগত আয় এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুসারে গণনা করা হইবে ।
(৫) আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনে বা চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও,
(ক) (১) উপধারার (ক) দফায় বর্ণিত ঋণের সহিত সম্পর্কযুক্ত উক্ত উপধারার অধীন হ্রাসকৃত ঋণ অপেক্ষা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করিবার অধিকারী হইবে না ।
(খ) এই আইন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ খাজনা প্রাপকের স্বার্থ হইতে (১) উপধারার (খ) ও (গ) দফা অনুযায়ী বিভক্ত হইয়াছে অনুরূপ কোনো ঋণের অংশবিশেষ সংগে সম্পর্কযুক্ত ঋণদাতা (১) উপধারার খ ও গ দফা হ্রাসকৃত অংশবিশেষ অপেক্ষা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অধিকারী হইবে না; ও ঐ ঋণের অংশবিশেষ উদ্বৃত্ত অর্থের প্রাপকের দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটিবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন অনুসারে সকল স্বার্থের অধিগ্রহণের জন্য প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ১ উপধারার ক, খ, গ দফা অনুযায়ী-হ্রাসকৃত খাজনা প্রাপকের সকল ঋণের আদায়যোগ্য হইবে ।
আরও শর্ত থাকে যে, অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তি হইতে (১) উপধারার খ ও গ দফার অধীন বিভক্ত খাজনা প্রাপকের ঋণের কোন অংশ ও ঐ সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া লওয়া কোনো ঋণের অংশে এই আইন অনুযায়ী ঐ খাজনা প্রাপকের প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে আদায়যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে না ।
(গ) (খ) দফার অনুবিধানসাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঋণ আদায়ের ব্যাপারে কোনো ভূমি বা অন্য স্থাবর সম্পত্তিতে নিহিত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া লওয়া ঋণ বন্ধক না রাখিয়া বা দায়বদ্ধ না করিয়া গৃহীত ঋণের অপেক্ষা অগ্রাধিকার পাইবে এবং ঐ বন্ধকীকৃত ও দায়বদ্ধ ঋণ পরিশোধের পর যদি কোনো অর্থ থাকে তাহা অাদায়বদ্ধ ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে বন্টন করা হইবে ।
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা ৭০ (ঋণ হ্রাস ও উহা আদায় )
উপধারা-(১) এই আইন অনুযায়ী কোনো জেলা, জেলার অংশে অথবা স্থানীয় এলাকার অবস্থিত প্রাপকের স্বার্থ অধিগ্রহণের বকেয়া রাজস্ব ও সেস ছাড়া সরকারের নিকট অথবা সমবায় সমিতির নিকট প্রদানযোগ্য কোনো টাকা বা পাওনা ছাড়া (চা শিল্পের জন্য আর্থিক ঋণ ব্যতীত) ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিলের পূর্বে খাজনা প্রাপকের অন্য কোনো ঋণ আপাতত বলব্ত্ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, নিম্নলিখিত নিয়মে হ্রাস করা হইবে যদি খাজনা প্রাপক নির্ধারিত নিয়মে নিয়মে ঋণ-হ্রাসের জন্য ৭১ (১) ধারার অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাজস্ব অফিসারের নিকট ৩ ধারা অথবা ৪৪ ধারা অনুযায়ী স্বার্থ বা ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ৪২ ধারা মোতাবেক প্রকাশের ৩ মাসের মধ্যে আবেদন করিয়া থাকে
(ক) এই আইনের বিধানাবলীর অধীন অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া গৃহীত ঋণের সংশ্লিষ্ট স্বার্থ অধিগ্রহণের দরুণ ক্ষতিগ্রস্ত খাজনা প্রাপকের প্রকৃত আয় হ্রাসের আনুপাতিক হারেঐ হ্রাস করা হইবে;
(খ) এই আইনের বিধানাবলীর অধীন অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ খাজনা প্রাপকের স্বার্থের অংশবিশেষ বন্ধক রাখিয়া, দায়বদ্ধ করিয়া ও এই আইনের বিধানাবলীর অধীন অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তির অংশবিশেষ বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া গৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে, অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ বন্ধকীকৃত ও দায়বদ্ধ স্বার্থ হইতে ঐ খাজনা প্রাপকের বার্ষিক প্রকৃত আয় ও অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ বন্ধকীকৃত ও দায়বদ্ধ স্বার্থ হইতে ঐ খাজনা প্রাপকের বার্ষিক প্রকৃত আয়ের অনুপাতে ঐ ঋণ নির্ধারিত নিয়মে দুইভাগে বিভক্ত করা যাইবে এবং ঐ অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ স্বার্থ হইতে আগত বার্ষিক প্রকৃত আয়ের অনুপাতে ঐ ঋণের অংশ হ্রাস করা হইবে । সংশ্লিষ্ট স্বার্থ অধিগ্রহণ করার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ খাজনা প্রাপকের প্রকৃত আয়ের হ্রাসের আনুপাতিক হারে ।
তবে শর্ত থাকে যে, খাজনা প্রাপকের ঋণের কোনো অংশে হ্রাস করা হইবে না যদি অধিগ্রহণকৃত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বা ভূমির উপর ক, খ ও গ দফার অধীন আনুপাতিক হারে ঋণের পরিমাণ খাজনা প্রাপকের প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের মোট অর্থের .২৫ অংশের কম হয় ।
আরো শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন হ্রাসকৃত ঋণ ক্ষতিপূরণের মোট অর্থের .২৫ অংশের কম হইলে তাহা হ্রাস করা হইবে না।
(১ক) (১)উপধারায় যাহা কিছু থাকুক না কেন, একজন খাজনা প্রাপক যাহার স্বার্থ সম্পর্কে ৪২ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ১৯৫৫ সালের ১৫ই মার্চ তারিখের বা উহার পূর্বে তাহার ঋণ হ্রাস করার জন্য ১৯৫৬ সালের পূর্ববংগ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ বলবত্ হইবার ৩ মাসের মধ্যে ঐ উধারায় বর্ণিত নিয়মে আবেদন করিতে পারিবেন ।
(১খ) (১) উপধারায় অথবা (১ক) উপধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, খাজনাপ্রাপক যাহার সম্পত্তি ১৯৭৯ সালের কোর্ট অব ওয়ার্ডস আইন মোতাবেক কোর্ট অব ওয়ার্ডসের ব্যবস্থাধীন ছিল ও যাহার স্বার্থ সম্পর্কে ৪২ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ১৯৫৬ সালের পূর্ববঙ্গ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ বলবত্ হওয়ার তারিখের আগে প্রকাশিত হইয়াছে তাহার ঋণ হ্রাস করার জন্য (১) উপধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে ঐ তারিখ হইতে ৩ মাসের ভিতর আবেদন করিতে পারিবে ।
(২) কোনো খাজনা প্রাপক যদি এই আইন অনুযায়ী যেগুলি অধিগ্রহণ করা যাইবে না যেইগুলি কোনো ভূমি বা স্থাবর সম্পত্তি বিভিন্ন এলাকায় অধিকারে রাখে সেক্ষেত্রে এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীনে ঋণ হ্রাস করিবার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না (এই আইন মোতাবেক) ঐ এলাকাগুলি সম্পর্কে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অথবা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণীসমূহ তৈরী করা হয় এবং ৫৪ ধারার অধীন চূড়ান্তভাবে সংশোধিত হয় ।
(৩) (১) উপধারার ক, খ ও গ দফায় বর্ণিত খাজনা প্রাপকের আয় হ্রাসের পরিমাণ এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধানাবলী অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে ।
(৪) (১) উপধারার খ ও গ দফায় বর্ণিত এই আইন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তি হইতে আগত বার্ষিক প্রকৃত আয় এবং অন্যান্য উত্স হইতে আগত আয় এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা অনুসারে গণনা করা হইবে ।
(৫) আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনে বা চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও,
(ক) (১) উপধারার (ক) দফায় বর্ণিত ঋণের সহিত সম্পর্কযুক্ত উক্ত উপধারার অধীন হ্রাসকৃত ঋণ অপেক্ষা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করিবার অধিকারী হইবে না ।
(খ) এই আইন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ খাজনা প্রাপকের স্বার্থ হইতে (১) উপধারার (খ) ও (গ) দফা অনুযায়ী বিভক্ত হইয়াছে অনুরূপ কোনো ঋণের অংশবিশেষ সংগে সম্পর্কযুক্ত ঋণদাতা (১) উপধারার খ ও গ দফা হ্রাসকৃত অংশবিশেষ অপেক্ষা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অধিকারী হইবে না; ও ঐ ঋণের অংশবিশেষ উদ্বৃত্ত অর্থের প্রাপকের দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটিবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন অনুসারে সকল স্বার্থের অধিগ্রহণের জন্য প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ১ উপধারার ক, খ, গ দফা অনুযায়ী-হ্রাসকৃত খাজনা প্রাপকের সকল ঋণের আদায়যোগ্য হইবে ।
আরও শর্ত থাকে যে, অধিগ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ সম্পত্তি হইতে (১) উপধারার খ ও গ দফার অধীন বিভক্ত খাজনা প্রাপকের ঋণের কোন অংশ ও ঐ সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া লওয়া কোনো ঋণের অংশে এই আইন অনুযায়ী ঐ খাজনা প্রাপকের প্রদানযোগ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে আদায়যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে না ।
(গ) (খ) দফার অনুবিধানসাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের অর্থ হইতে ঋণ আদায়ের ব্যাপারে কোনো ভূমি বা অন্য স্থাবর সম্পত্তিতে নিহিত খাজনা প্রাপকের স্বার্থ বন্ধক রাখিয়া বা দায়বদ্ধ করিয়া লওয়া ঋণ বন্ধক না রাখিয়া বা দায়বদ্ধ না করিয়া গৃহীত ঋণের অপেক্ষা অগ্রাধিকার পাইবে এবং ঐ বন্ধকীকৃত ও দায়বদ্ধ ঋণ পরিশোধের পর যদি কোনো অর্থ থাকে তাহা অাদায়বদ্ধ ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে বন্টন করা হইবে ।
ধারা ৭১ ( সরকার কর্তৃক রাজস্ব অফিসারকে ৭০ ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান )
উপধারা-(১) ৭০ ধারার অধীনে যে কোনো এলাকায় খাজনা প্রাপকের ঋণ হ্রাস করার নিমিত্ত সরকার যে কোনো রাজস্ব অফিসারকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন এবং তিনি তদানুসারে ঐ ধারার অধীনে প্রয়োজনীয় বা অনুমোদিত অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন ।
উপধারা-(২) (১) উপধারায় ভারপ্রাপ্ত কোনো রাজস্ব অফিসার প্রত্যেক ঋণদাতাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্ধারিত ফরমে বিবরণী দাখিল করিবার জন্য নির্ধারিত নিয়মে নোটিশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত বিবরণীতে ৭০ (১) ধারায় বর্ণিত সকল প্রকার ঋণের নিমিত্ত ঐ এলাকায় দায়গ্রস্ত খাজনা প্রাপক যাহার স্বার্থ ৩ ধারা অথবা ৪৪ ধারা মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে ও যে ৭০ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী ঋণ হ্রাসের জন্য দরখাস্ত দিয়াছে এই সমস্ত বিষয় এবং অন্যান্য নির্ধারিত বিবরণ প্রদর্শন করিতে হইবে ।
উপধারা-(৩) (২) উপধারা অনুযায়ী উহাতে উল্লেখিত নির্ধারিত মেয়াদের ভিতর ঋণদাতা ৭০ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত ধরনের ঋণ সম্বন্ধীয় বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব উক্ত সময়ে আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিসমাপ্তি হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে ।
উপধারা-(৪) (২) উপধারায় সময়ের পরিসমাপ্তি অন্তে রাজস্ব অফিসার উক্ত ধারার অধিন দাখিলী ঋণ এবং অন্যান্য বর্ণনা সম্বন্ধীয় বিবরণ পরীক্ষা করিবেন ও ঋণ গ্রহীতাগণকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া এবং যাহা তিনি উপযুক্ত মনে করিবেন ঐরূপ অনুসন্ধানান্তে উক্ত বিবরণ প্রয়োজনীয় সংশোধন করিবেন ।
উপধারা-(৫) উপধারা (৪) এর অধীনে ঋণের বিবরণপত্র পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করার পর রাজস্ব অফিসার ৭০ ধারার বিধান মতে সংশোধিত এইরূপে বিবরণপত্রে প্রদর্শিত সকল ঋণের পরিমাণ হ্রাসকরণের কাজ শুরু করিবেন এবং এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে ঐ ধারায় প্রয়োজনীয় বা অনুমোদিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং এই কাজ করিতে এবং এই অধ্যায়ের বিধানমতে প্রয়োজনীয় বা বা অনুমোদিত অন্যান্য সকল ব্যবস্থ্য গ্রহণের সময় রাজস্ব অফিসার এই বিষয়ে সরকার কর্তৃক কার্যপদ্ধতি ও অপরাপর ব্যাপারে প্রণীত বিধি অনুসরণ করিবেন ।
উপধারা-(৬) এই ধারার অধীনে রাজস্ব অফিসারের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের ৪৮ (৪) ধারার অধীনে নিযুক্ত বিশেষ জজের নিকটে আপিল করা যাইবে এবং বিশেষ জজের সিদ্ধান্ত এবং শুধুমাত্র এই সিদ্ধান্তসাপেক্ষে রাজস্ব অফিসারের সিদ্ধান্ত ও আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে ।
উপধারা-(৭) এই অধ্যায়ের অধীনে আদায়যোগ্য কোনো ঋণ ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ তালিকা বা তালিকাসমূহের অধীনে খাতককে (ঋণ গ্রহীতাকে) দেয় ক্ষতিপূরণের সর্বমোট অর্থ হইতে নির্ধারিত পন্থায় আদায় করা যাইবে ।
একাদশ অধ্যায়
বিবিধ
ধারা-৭২ ( কতিপয় বিষয়ে দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারের উপর বাধা-নিষেধ )
এই খণ্ডে প্রকাশ্যভাবে উল্লিখিত বিষয় ছাড়া ৫ম ও ৫ম ক অধ্যায় অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী অথবা উহার অংশের প্রস্তুতি, স্বাক্ষর এবং প্রকাশনা সম্বন্ধে বা উক্ত বিবরণী অথবা উহার অংশের প্রস্তুতি, স্বাক্ষর এবং প্রকাশনা সম্বন্ধে বা উক্ত বিবরণীতে কোনো অন্তর্ভুক্তি অথবা উক্ত বিবরণী থেকে কোনো কিছু বাদ পড়া সম্বন্ধে বা ৫ম হইতে ১০ম অধ্যায়ের অধীনে দরখাস্ত অথবা কার্যক্রমের কোনো বিষয় সম্বন্ধে উক্ত অধ্যায়সমূহের অধীনে দেওয়া আদেশ সম্বন্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা করা চলিবে না ।
ধারা-৭৩ ( ভূমিতে প্রবেশ এবং জরিপ করার ক্ষমতা )
অত্র আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালাসাপেক্ষে রাজস্ব অফিসার ও কর্মচারীসহ সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের মধ্যে যে কোনো সময়ে যে কোনো জমিতে প্রবেশ করিতে পারিবেন অথবা উহার পরিমাপ করিতে অথবা অত্র আইনের অধীনে তাহার কর্তব্য পালন করিতে গিয়া যাহা তিনি প্রয়োজন মনে করিবেন ঐরূপ অপর যে কোনো কার্য করিতে পারিবেন ।
ধারা-৭৪ ( বর্ণনা ও দলিলপত্র দাখিল করার জন্য বাধ্য করার ক্ষমতা )
উপধারা-(১) এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনার্থে রাজস্ব অফিসার কোনো ব্যক্তিকে নোটিশের মাধ্যমে নোটেশে উল্লেখিত সময়ে এবং স্থানে কোনো এস্টেট মধ্যস্বত্ব জোত, অথবা ভূমি সম্বন্ধীয় বিবরণী তৈরী এবং হস্তান্তর এবং তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা নথিপত্র অথবা দলিল দাখিল করার আদেশ দিতে পারিবেন ।
উপধারা-(২) এই ধারার অধীনে একটি বিবরণী তৈরী এবং প্রদান করিতে বা নথিপত্র অথবা দলিলাদি দাখিল করিতে বাধ্য প্রত্যেক ব্যক্তি দণ্ড বিধির ১৭৫ এবং ১৭৬ ধারার অর্থ অনুসারে আইনসংগতভাবে বাধ্য বলিয়া গণ্য হইবে ।
ধারা-৭৫ ( সাক্ষীগণের উপস্থিত ও দলিল দাখিল করিতে বাধ্য করার ক্ষমতা )
অত্র আইনের অধীনে কোনো তদন্তের উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার সাক্ষীগণকে অথবা কোনো সম্পত্তি, মধ্যস্বত্ব, জোত অথবা ভূমিতে স্বার্থবান এমন কোনো ব্যক্তিকে সমন করিতে ও উপস্থিত হইতে বা দলিল-দস্তাবেজ দাখিল করিতে বাধ্য করিতে ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির অনুসারে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে কোনো দেওয়ানী আদালতে যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন ।
ধারা-৭৫ক (কোর্ফা পত্তনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ )
উপধারা-(১) ১৭ ধারার (৩) উপধারার অধীনে বা ৩১ ধারার (১) উপধারার অধীনে যেদিন নোটিফিকেশন প্রকাশিত হইয়াছে সেই দিন হইতে কোনো ব্যক্তি তাহার দখলীয় খাস ভূমি কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবে না ।
উপধারা-(২) (১) উপধারার পরিপন্থী কোনো কোর্ফা পত্তন করা হইলে উহা বাতিল হইবে এবং উক্তরূপে যে ভূমি কোর্ফা পত্তন করা হইয়াছে উহা বাজেয়াপ্ত হইবে এবং সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে ।
উপধারা-(৩) ৩৯ ধারার নির্ধারিত হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে ৩ ধারার (২) উপধারায় তাহার কোনো খাস ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য যে কোনো সময় সরকারের কাছে দরখাস্ত দিতে পারিবেন ।
ধারা-৭৫খ ( তদন্তের দরখাস্তের জন্য ফি )
অত্র আইন মোতাবেক স্বত্বলিপি অথবা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রণয়নের সময় নূতন করিয়া তদন্তের দরখাস্তের সঙ্গে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হইবে ।
ধারা-৭৬ ( সরকারের উপর বর্তানো ভূমির বন্দোবস্ত এবং ব্যবহার )
এই আইনের প্রকাশ্যভাবে বর্ণিত বিধানসমূহ সাপেক্ষে এই আইনের যে কোনো বিধানবলী দ্বারা সরকারের উপর ন্যস্ত ভূমি সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকিবে; এবং এই উদ্দেশ্যে তৈরী বিধিমালা অনুযায়ী সরকার ঐ সমস্ত ভূমি বন্দোবস্ত দিবার অথবা উহা যেমন উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ নিয়মে ব্যবহার অথবা অপর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে ক্ষমতাবান হইবেন ।
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তির কাছে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া হইবে না যদি না ৯০ ধারার অধীন ঐ ব্যক্তির নিকট ভূমি হস্তান্তর করা যায় ।
আর ও শর্ত থাকে যে, চাষাবাদযোগ্য ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সময় বন্দোবস্তের জন্য ঐরূপ দরখাস্তকারীকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হইবে যে নিজে অথবা পরিবারের সদস্যগণের দ্বারা ভূমি চাষ করে অথবা করায় ও চাষাবাদযোগ্য ভূমি অধিকারে রাখে যাহার পরিমাণ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণের অধিকৃত ভূমি যদি থাকে, এর সহিত যুক্ত হইয়া ৩ একরের কম হইবে ।
(২) (১) উপধারা অনুসারে কোনো সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ভূমি বন্দোবস্ত সম্বন্ধে কোনো দেওয়ানী আদালতে কোনো আবেদন অথবা মামলা গ্রহণ করা যাইবে না ।
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৭৬ক ( পৃথক এস্টেটের সৃষ্টি এবং রাজস্ব বণ্টন )
আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনে অথবা চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন
উপধারা-(১) যেক্ষেত্রে কোনো ভূ-সম্পত্তির অংশে বা খণ্ডে খাজনা প্রাপক অথবা খাজনা প্রাপকগণের অর্থ সমূহ ৩ ধারার (১) উপধারায় বা ৪৪ ধারার (১) দফায় অধিগ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রে ১৮৫৯ সালের বঙ্গীয় ভূমি রাজস্ব বিক্রয় আইন বা ১৮৮৬ সালের আসাম ভূমি এবং রাজস্ব রেগুলেশন-এর ৫ম অধ্যায়ের কোনো কিছুই উক্ত অংশ বা খণ্ড উপরোল্লিখিত আইন অথবা রেগুলেশনের উদ্দেশ্যে ভিন্ন এস্টেট বা ভূ-সম্পত্তি হিসাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, এবং
উপধারা-(২) মূল ভূসম্পত্তির জন্য প্রদানযোগ্য ভূমি রাজস্ব ও সসকর, অধিগ্রহণ করা হইয়াছে ঐরূপ অংশ বা খণ্ড এবং (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত পৃথক ভূ-সম্পত্তির বা এস্টেটের নিম্নলিখিত নীতিসমূহ মোতাবেক হারাহারিভাবে বন্টন করা হইবে,
যথা :
(ক) যেক্ষেত্রে অধিগৃহীত অংশ ভিন্ন হিসাবসমূহ দ্বারা গঠিত হয় সেক্ষেত্রে উক্ত পৃথক ভূ-সম্পত্তির বা এস্টেটের ভূমি রাজস্ব ও সেসকর মূল ভূ-সম্পত্তি বা এস্টেটের জন্য প্রদেয় ভূমি রাজস্ব ও সেসকর এবং অধিকৃত পৃথক হিসাব বা হিসাবসমূহের জন্য নির্ধারিইত ভূমি রাজস্ব ও সেসকরের মধ্যে বিরাজমান ব্যবধানের সমপরিমাণ অর্থ পাইবে ।
(খ) যেক্ষেত্রে অধিগ্রহণকৃত অংশ পৃথক হিসাব নিয়া গঠিত নহে, সেক্ষেত্রে পৃথক ভূসম্পত্তি বা এস্টেটের ভূমি রাজস্ব ও সেসকর মূল ভূ-সম্পত্তি বা এস্টেটের ভূমি রাজস্ব এবং সেস করের যেই পরিমাণ অংশ বহন করে সেই পরিমাণ ভিন্ন এস্টেটের অংশ মূল ভূ-সম্পত্তির সংগে অন্তভূর্ক্ত থাকে ।
(গ) যেক্ষেত্রে অধিগ্রহণকৃত অংশ এস্টেটের ভূমির অংশবিশেষ লইয়া গঠিত হয় এবং পৃথক হিসাববিহীন হয় বা যেক্ষেত্রে একটি এস্টেট আংশিক অধিগ্রহণকৃত হয় সেক্ষেত্রে পৃথক পৃথক এস্টেটের ভূমি রাজস্বও সেস কর মূল এস্টেটের ভূমি রাজস্ব এবং সেস করের সেই পরিমাণ অংশ বহন করে যেই পরিমাণ পৃথক এস্টেটের ভূমির এলাকা মূল এস্টেটের ভূমির এলাকা মূল এস্টেটের সমস্ত ভূমির এলাকার সংগে জড়িত থাকে ।
উপধারা-(৩) যেক্ষেত্রে ঐ আইন দ্বারা রায়তী জোত অথবা অন্যান্য প্রজাস্বত্বের অংশের কোনো স্বার্থ অধিগ্রহীত হয় এবং উক্ত খণ্ড নির্দিষ্ট কোনো অংশ লইয়া গঠিত হয় সেক্ষেত্রে উক্ত রায়তী স্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের খাজনা উক্ত অংশের অধিগৃহীত ও অনধিগৃহীত খণ্ডের মধ্যে হরাহারি বন্টন করা হইবে কিন্তু যেক্ষেত্রে উহা কোনো নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে গঠিত নহে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার উক্ত রায়তিস্বত্ব, জোত অথবা প্রজাস্বত্বের নির্দিষ্ট অধিগৃহীত ও অনধিগৃহীত খণ্ডের মধ্যে এলাকা বা মূল্য যাহা তাহার কাছে উপযুক্ত ও ন্যায়সংগত মনে হইবে উহার উপর ভিত্তি করিয়া হারাহারি বন্টন করিতে হইবে ।
ধারা-৭৬খ ( বিদায়ী খাজনা প্রাপক কর্তৃক আদায়কৃত অগ্রিম খাজনা অথবা নিলামের অর্থ পুনরুদ্ধার )
যেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার সন্তুষ্ট হন যে, যাহার স্বার্থ অত্র আইন মোতাবেক অধিগ্রহণ করা হইয়াছে ঐরূপ খাজনা প্রাপক উক্ত স্বার্থ সম্বন্ধীয় কোনো খাজনা অথবা নিলামের অর্থ বিনিময়ের অর্থ উক্ত অধিগ্রহণের পরে আদায় করিয়াছে সেক্ষেত্রে তিনি উক্ত অথবা উহার অংশবিশেষ খাজনা প্রাপকের নিকট থেকে সরকারী দাবী হিসাবে পুনরুদ্ধার করিতে পারিবেন ।
ধারা-৭৭ (এই আইনের অধিন গৃহীত কার্যক্রম সংরক্ষণ )
উপধারা-(১) এই আইনের অধীনে অথবা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে কোনো কিছু করিয়া অথবা করিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়া থাকিলে তাহার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রুজু বা অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না ।
উপধারা-(২) এই আইনে অন্য কোনো সুস্পষ্ট বিধান ছাড়া এই আইনের কোনো বিধান দ্বারা কোনো ক্ষতি করা হইলে অথবা ক্ষতির পর্যায়ে গেলে অথবা আঘাত করা হইলে অথবা আঘাতের পর্যায়ে গেলে বা এই আইন বা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালা অনুসারে কোনো কিছু সরল বিশ্বাসে করা হইলে বা করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা অথবা আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না ।
ধারা-৭৭ক (সরকারের ক্ষমতা অর্পণ )
অত্র আইন অনুসারে সরকারের উপর প্রদত্ত ক্ষমতা এবং ইহার উপর অর্পিত দায়িত্ব বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত অবস্থায় এবং শর্ত অনুসারে ইহার অধীনস্থ যে কোনো অফিসার অথবা কর্তৃপক্ষ প্রয়োগ করিবার জন্য সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন ।
ধারা ৭৮ ( বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা )
উপধারা-(১) এই আইনের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ খণ্ডের উদ্দেশ্য সাধন করার উদ্দেশ্যে পূর্বে প্রকাশ করার পর, সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।
উপধারা-(২) উপরের সাধারণ ক্ষমতার পরিপন্থী কোনো কাজ না করিয়া ঐ বিধিমালা নিম্নলিখিত বিষয় সম্পর্কিত হইবে যথা :
(ক) ৩ (৩) ধারায় বর্ণিত বিজ্ঞপ্তির ফরম ও ঐ বিজ্ঞপ্তির বিবরণসমূহ;
(খ) ৪ (১) ধারায় বর্ণিত নোটিশ প্রদানের নিয়ম ও বিবরণসমূহ;
(গ) ৬ ধারার (১) ও (২) উপধারায় বর্ণিত অন্তর্বর্ন্তীকালীন অর্থ গ্রহণের সময় ও নিয়ম;
(ঘ) ৬ (৪) ধারায় বর্ণিত অর্থ বাদ দেওয়ার নিয়ম নির্ধারণ;
(ঙ) ৭ ধারায় বর্ণিত আপিল দাখিল করার নিয়ম ও সময়;
(চ) ৮ ধারায় বর্ণিত জরিমানা উদ্ধারের নিয়ম;
(ছ) বাতিল;
(জ) ১৫ ধারায় বর্ণিত আবেদনের ফরম, ঐ আবেদনের বিবরণসমূহ এবং আবেদনের সংগে সংযুক্ত প্রসেস ফী ;
(ঝ) ১৭ ধারার অধীন স্বত্বলিপি প্রণয়নকরণ অথবা পরিমার্জনের নিয়ম ও ঐ স্বত্বলিপি প্রণয়নকরণের অথবা পরিমার্জনের ক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক অনুসৃত পদ্ধতি এবং প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতাসমূহ;
(ঞ) ১৭ ধারার অধীন প্রণয়ণকৃত বা পরিমার্জিত স্বত্বলিপি রেকর্ডভুক্ত বিবরণসমূহ;
(ট) ১৯ (১) ধারার অধীন খসড়া স্বত্বলিপিসমূহ প্রকাশের নিয়ম ও সময়;
(ঠ) যে রাজস্ব অফিসারের কাছে যে নিয়মে ও যে সময়ের ভিতর ১৯ ধারার (২) উপধারার অধীন আপীল দায়ের করা যাইতে পারে;
(ড) ১৯ ধারার অধীন আপত্তি ও আপিলসমূহের নিষ্পত্তি;
(ঢ) ১৯ ধারার (৩) উপধারার অধীন স্বত্বলিপি প্রকাশের নিয়ম;
(ণ) ২০ (৩) ধারার অধীন ইচ্ছা প্রয়োগের সময় ও যখন ইচ্ছা প্রয়োগ না করা হয় তখন ঐ ধারার অধীন ভূমিসমূহ বন্টন;
(ত) ২০ ধারার (৫) উপধারায় (আ) অনুচ্ছেদের ভূমি নির্ধারণের উপায় যাহা ঐ উপধারার (অ) অনুচ্ছেদের (গ) উপ-অনুচ্ছেদের আওতায় আসিবে ;
(থ) ৩১ ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত বিবরণসমূহের পরিমার্জন করার উপায় ও পদ্ধতি এবং এই উদ্দেশ্যে রাজস্ব অফিসার কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতাসমূহ;
(দ) ৩৩ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরনীর ফরম, উহার প্রস্তুতের উপায় ও উহাতে বর্ণিত বিবরণসমূহ;
(ধ) ৩৫ ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত অর্থ গণনার রীতি ও ব্যয় ও দায় নির্ধারণ;
(ন) ৩৭ ধারার (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অস্থায়ী রায়তীস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের অধিকারী ও তাহার তাত্ক্ষণিক উর্ধ্বতন ভূমির মালিকের মধ্যে ক্ষতিপূরণ বন্টনের ক্ষেত্রে অনুসৃত পদ্ধতি;
(প) ৩৮ ধারার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী ও ক্ষতিপূরণ গণনার রীতি ও পদ্ধতি;
(ফ) ৩৯ ধারার (১) উপধারার টেবিলের (ঙ) ও (চ) দফাদমূহের বর্ণিত ভূমির বার্ষিক ভাড়ার মূল্য নির্ধারণের নিয়ম (manner) ও (চ) দফার প্রকৃত নির্মাণ খরচ এবং অপচয় নির্ধারণ করার নিয়ম;
(ব) ৩৯ ধারার (৩) নং উপধারার (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভূমির বার্ষিক স্বাভাবিক উত্পাদন নির্ধারণ করার নিয়ম;
(ভ) ৩৯ ধারার (৩) উপধারার (খ) অনুচ্ছেদের (অ) উপ-অনুচ্ছেদে বর্ণিত আবাদের খরচ নির্ধারণ করার নিয়ম;
(ম) ৩৯ ধারার (৪) উপধারায় বর্ণিত মত্স খামার হইতে আগত বার্ষিক প্রকৃত আয় নির্ধারণ করার নিয়ম;
(য) ৩৯ (৫) ধারায় বর্ণিত ক্ষতিপূরণ বন্টন করার ক্ষেত্রে অনুসৃত নিয়ম;
(যক) ৪০ ১ ধারার অধীন খসড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রকাশের নিয়ম ও সময় এবং ঐ উপধারা অনুযায়ী আপত্তিসমূহের নিষ্পত্তি;
(যখ) ৪১ ধারার অধীন যে রাজস্ব কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল দায়ের করা হইবে ঐ ধারার অধীন আপিলসমূহের নিষ্পত্তি;
(যগ) ৪২ ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ বিবরণী প্রকাশের নিয়ম;
(যম) ৪৫ নং ধারা অনুযায়ী ঘোষণা প্রকাশের নিয়ম;
(যঙ) ৪৬ (১) ধারায় বর্ণিম স্বত্বলিপির সংগে সম্পর্কযুক্ত এলাকার ক্ষেত্রে জেলার রাজস্ব বিবরণীতে চিহ্নিত ঐ উপধারা অনুযায়ী সংখ্যায় এসাইন্টমেন্ট ও ঐ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী স্বত্বলিপিসমূহের অনুলিপি বন্টন করার নিয়ম;
(যচ) ৪৮ (২) ধারায় বর্ণিত কমিশনার অভ স্টেট পার্চেজের ক্ষমতাসমূহ ও কর্তব্যসমূহ;
(যছ) ৪৮ ধারার (৩) উপধারায় বর্ণিত ডাইরেক্টর অভ্ ল্যাণ্ড রেকর্ডস ও সার্ভিসের ক্ষমতাসমূহ ওকর্তব্যসমূহ;
(যজ) ৫৭ ধারার (২) উপধারা অনুযায়ী অতিরিক্ত অর্থ প্রদান এবং ঐ ধারার দ্বিতীয় শর্তাবলীতে বর্ণিত উর্ধ্বতন রাজস্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণের নিয়ম;
(যঞ) ৬৭ ধারায় বর্ণিত অর্থ গণনার নিয়ম ও ঐ ধারার অধীন বিদায়ী খাজনা প্রাপককে কিস্তিতে অর্থ প্রদানের নিয়ম;
(যট) ৭০ (৩) ধারায় বর্ণিত প্রকৃত আয় হ্রাসের পরিমাণ নির্ধারণ করার নিয়ম;
(যঠ) ৭০ (৪) ধারায় বর্ণিত প্রকৃত বার্ষিক আয় ও আয় গণনা করার নিয়ম;
(যড) ৭১ ধারার (২) উপধারা অনুসারে নোটিশ প্রকাশের নিয়ম ও ঐ উপধারায় বর্ণিত ফরম ।- এ ও সময়ের মধ্যে দাখিলযোগ্য স্টেটমেন্ট ও ঐ স্টেটমেন্টের বিবরণসমূহ;
(যঢ) ১ (৫) ধারায় বর্ণিত বিধিসমূহ:
(যণ) ৭১ ধারার (৬) উপধারার অধীন আপীল দায়েরের সময়;
(যথ) ৭৩ ধারায় বর্ণিত রাজস্ব অফিসারগণ, কর্মচারীগণের আচার-আচরণের পদ্ধতি;
(যদ) স্টেটমেন্ট প্রস্তুত এবং হস্তান্তর ও রেকর্ড বা দলিল প্রণয়ন বলবত্ করার জন্য ৭৪ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী ক্ষমতাসমূহ প্রয়োগ,
(যধ) ৭৬ ধারায় বর্ণিত ভূমি বন্দোবস্তের জন্য বিধিমালা
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৭৯ ( এই অংশের শুরু )
এই অংশের শুরু। অত্র খণ্ড অথবা ইহার অংশবিশেষ ঐ সমস্ত এলাকায় ঐ সকল তারিখে ও ঐ পরিমাণে কার্যকর হইবে যাহা সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করিবেন ও এই খণ্ডের যে কোন অংশ যখন বলবত্ হয় তখন ঐ অংশের বিধানসমূহ উক্ত সময় অন্য কোন আইন যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত এলাকায় বলবত্ হইবে।
ধারা ৮০ (বাতিল )
এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায় কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে তফসিলে, উল্লেখিত আইনসমূহ তফসিলের ৪র্থ কলামে বর্ণিত পরিমাণ উক্ত এলাকায় বাতিল হইবে ।
ধারা ৮১ (কৃষি প্রজাগণের শ্রেণী এবং উহাদের অধিকার ও দায়িত্বসমূহ নিয়ন্ত্রণ )
এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায় কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে উক্ত এলাকায় কেবলমাত্র কৃষি ভূমির এক শ্রেণীর অধিকারী থাকিবে যথা : মালিকগণ ও উক্ত অধিকারীর অধিকারসমূহ এবং দায়িত্বসমূহ অত্র খণ্ডের বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, অত্র ধারা উক্ত কোনো মালিককে তাহার জোতের খনির কোনো অধিকারসহ মাটির নিচের অংশে লুকায়িত স্বার্থের উপর কোনো অধিকার প্রদান করিবে না ।
আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে সরকার নির্দিষ্ট সময়ের নিমিত্ত কোনো ভূমি ইজারা প্রদান করে সেক্ষেত্রে উক্ত ইজারাগ্রহীতার অধিকার ও দায়িত্বসমূহ ইজারার শর্তাবলী অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হইবে ।
ধারা ৮১-ক ( অকৃষি প্রজার অধিকার ও দায়িত্বসমূহ )
উপধারা-(১) অত্র খণ্ডে অন্য কোনোরূপ ব্যবস্থা থাকা ছাড়া অকৃষি দখলকার যিনি এই আইনের বিধান সমূহের অধীনে এইরূপ জমির উপস্থিত স্বত্ব দখলকার হওয়ার দরুন সরকারের অধীনে প্রজা হইয়াছেন, অধিকার ও দায়-দায়িত্বসমূহ সেখানে এইরূপ অধিগ্রহণের সময় পূর্ব বঙ্গীয় অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৪৯-এর বিধানসমূহ এইরূপ জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় সেখানে সেই আইনের বিধানসমূহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হইবে ।
উপধারা-(২) অপরাপর অকৃষি প্রজাগণের অধিকার ও দায়িত্ব, খাজনা বৃদ্ধি বা হ্রাসকরণ ছাড়া ইজারার চুক্তি ও সম্পত্তির হস্তান্তর আইন, ১৮৮২-এর বিধানসমূহ মোতাবেক পরিচালিত হইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, অত্র আইন বা আপাতত বলবত্ অন্য কোনো বিধান কিংবা চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কোনো চুক্তি বা শর্ত যাহাই হউক, কোনো অকৃষি প্রজা তাহার প্রজাস্বত্বের সমস্ত বা যে কোনো অংশ কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবেন না এবং যদি কোনো প্রজাস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের যেকোনো অংশ এই বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয় তাহা হইলে অকৃষি প্রজার প্রজাস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের যে অংশের কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয়, সে যাহাই হউক, স্বার্থ বিলুপ্ত হইবে এবং উক্ত প্রজাস্বত্বের অংশটুকু এরুপ কোর্ফা পত্তনের তারিখ হইতে সকল দায়-দায়িত্বমুক্ত অবস্থায় হইয়া সরকারের উপর বর্তাইবে ।
ধারা ৮১-খ ( ইজারা দলিল নিবন্ধন )
৮১ বা ৮১ক ধারায় অথবা আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকারী খাস জমি ইজারা দিবার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক ইজারা দলিল সম্পাদিত এবং ১৯০৮ সালের রেজিষ্টেশন আইনের ১৭ (১) ধারার (খ) অনুচ্ছেদের বিধানানুসারে রেজিস্ট্রিকৃত না হয় তাহা হইলে কৃষি অথবা অকৃষি কোনো প্রকার প্রজাস্বত্ব সৃষ্টি হইবে না বা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না এমনকি ইজারাগ্রহীতার নিকট সেলামী বা খাজনা গ্রহণ করা হইলেও ।
ধারা ৮২ ( ব্যাখ্যা ) এই খণ্ডে -
উপধারা-(১) “প্রকৃত চাষী†বলিতে এমন কোনো ব্যক্তিকে বুঝায় যে নিজে অথবা তাহার পরিবারের সদস্যের সাহায্যে বা চাকর বা শ্রমিকের দ্বারা অথবা অংশীদার বা বর্গাদারের মাধ্যমে ভূমি চাষ করে এবং ইহা একজন অকৃষি শ্রমিককেও অন্তর্ভূক্ত করে;
উপধারা-(২) “রায়ত†বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায় যে নিজে অথবা তাহার পরিবারের সদস্যের দ্বারা অথবা চাকর বা শ্রমিকগণ দ্বারা বা সহায়তায় অথবা অংশীদার বা বর্গাদারগণ কর্তৃক বা সহায়তায় চাষ করার নিমিত্ত ৪৪ ধারা বা অন্যভাবে সরকারের সরাসরি অধীনে ভূমি দখলে রাখিবার অধিকার অর্জন করিয়াছেন ও যে ব্যক্তিগণ ঐরূপ অধিকার অর্জন করিয়াছে ইহা তাহাদের স্বার্থের উত্তরাধিকারীগণকেও অন্তর্ভূক্ত করে;
উপধারা-(৩) রায়তের পরিবার তাহার সংগে একই অন্নে বসবাসরত এবং তাহার উপর নির্ভরশীল সকল ব্যক্তিগণকে অন্তর্ভূক্ত করে; কিন্তু ইহা কোনো চাকর বা শ্রমিককে অন্তর্ভূক্ত করে না ।
(৪), (৫) এবং (৬) * ১৯৬৪ সালের ১৭ নং অধ্যাদেশের ৩ ধারা বলে ৮/৯/৬৪ তারিখে বাদ দেওয়া হয় ।
উপধারা-(৭) অন্যভাবে প্রকাশ্য বিধান ছাড়া ̔হস্তান্তর̕ কোনো ব্যক্তিগত বিক্রয়, বন্ধক, দান অথবা কোনো চুক্তি বা এগ্রিমেন্টকে অন্তর্ভূক্ত করে এবং
উপধারা-(৮) এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায় কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে ঐ এলাকায় এই খণ্ডের বিধানসমূহ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে কৃষি ভূমির সহিত সম্বন্ধযুক্ত এই খণ্ডে ঐ শব্দগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ̔মালিক̕ শব্দটি ̔রায়ত̕ অথবা ̔টেন্যান্ট̕ শব্দের এবং ̔ভূমি রাজস্ব̕ শব্দটি ̔রেন্ট̕ শব্দের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় বলিয়া গণ্য করা হইবে এবং যেক্ষেত্রে কোনো ইজারা, কবুলিয়ত, চুক্তি বা অন্যান্য চুক্তির শর্তসমূহ মোতাবেক খাজনা সরকারকে প্রদেয় হয় সেক্ষেত্রে ইহা এইরূপভাবে আদায় করা হইবে যেন ইহা ভূমি রাজস্ব ছিল ।
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-৭৯ ( এই অংশের শুরু )
এই অংশের শুরু। অত্র খণ্ড অথবা ইহার অংশবিশেষ ঐ সমস্ত এলাকায় ঐ সকল তারিখে ও ঐ পরিমাণে কার্যকর হইবে যাহা সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করিবেন ও এই খণ্ডের যে কোন অংশ যখন বলবত্ হয় তখন ঐ অংশের বিধানসমূহ উক্ত সময় অন্য কোন আইন যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত এলাকায় বলবত্ হইবে।
ধারা ৮০ (বাতিল )
এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায় কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে তফসিলে, উল্লেখিত আইনসমূহ তফসিলের ৪র্থ কলামে বর্ণিত পরিমাণ উক্ত এলাকায় বাতিল হইবে ।
ধারা ৮১ (কৃষি প্রজাগণের শ্রেণী এবং উহাদের অধিকার ও দায়িত্বসমূহ নিয়ন্ত্রণ )
এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায় কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে উক্ত এলাকায় কেবলমাত্র কৃষি ভূমির এক শ্রেণীর অধিকারী থাকিবে যথা : মালিকগণ ও উক্ত অধিকারীর অধিকারসমূহ এবং দায়িত্বসমূহ অত্র খণ্ডের বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, অত্র ধারা উক্ত কোনো মালিককে তাহার জোতের খনির কোনো অধিকারসহ মাটির নিচের অংশে লুকায়িত স্বার্থের উপর কোনো অধিকার প্রদান করিবে না ।
আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে সরকার নির্দিষ্ট সময়ের নিমিত্ত কোনো ভূমি ইজারা প্রদান করে সেক্ষেত্রে উক্ত ইজারাগ্রহীতার অধিকার ও দায়িত্বসমূহ ইজারার শর্তাবলী অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হইবে ।
ধারা ৮১-ক ( অকৃষি প্রজার অধিকার ও দায়িত্বসমূহ )
উপধারা-(১) অত্র খণ্ডে অন্য কোনোরূপ ব্যবস্থা থাকা ছাড়া অকৃষি দখলকার যিনি এই আইনের বিধান সমূহের অধীনে এইরূপ জমির উপস্থিত স্বত্ব দখলকার হওয়ার দরুন সরকারের অধীনে প্রজা হইয়াছেন, অধিকার ও দায়-দায়িত্বসমূহ সেখানে এইরূপ অধিগ্রহণের সময় পূর্ব বঙ্গীয় অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৪৯-এর বিধানসমূহ এইরূপ জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় সেখানে সেই আইনের বিধানসমূহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হইবে ।
উপধারা-(২) অপরাপর অকৃষি প্রজাগণের অধিকার ও দায়িত্ব, খাজনা বৃদ্ধি বা হ্রাসকরণ ছাড়া ইজারার চুক্তি ও সম্পত্তির হস্তান্তর আইন, ১৮৮২-এর বিধানসমূহ মোতাবেক পরিচালিত হইবে ।
তবে শর্ত থাকে যে, অত্র আইন বা আপাতত বলবত্ অন্য কোনো বিধান কিংবা চুক্তিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কোনো চুক্তি বা শর্ত যাহাই হউক, কোনো অকৃষি প্রজা তাহার প্রজাস্বত্বের সমস্ত বা যে কোনো অংশ কোর্ফা পত্তন দিতে পারিবেন না এবং যদি কোনো প্রজাস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের যেকোনো অংশ এই বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয় তাহা হইলে অকৃষি প্রজার প্রজাস্বত্ব অথবা প্রজাস্বত্বের যে অংশের কোর্ফা পত্তন দেওয়া হয়, সে যাহাই হউক, স্বার্থ বিলুপ্ত হইবে এবং উক্ত প্রজাস্বত্বের অংশটুকু এরুপ কোর্ফা পত্তনের তারিখ হইতে সকল দায়-দায়িত্বমুক্ত অবস্থায় হইয়া সরকারের উপর বর্তাইবে ।
ধারা ৮১-খ ( ইজারা দলিল নিবন্ধন )
৮১ বা ৮১ক ধারায় অথবা আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকারী খাস জমি ইজারা দিবার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা এই উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক ইজারা দলিল সম্পাদিত এবং ১৯০৮ সালের রেজিষ্টেশন আইনের ১৭ (১) ধারার (খ) অনুচ্ছেদের বিধানানুসারে রেজিস্ট্রিকৃত না হয় তাহা হইলে কৃষি অথবা অকৃষি কোনো প্রকার প্রজাস্বত্ব সৃষ্টি হইবে না বা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না এমনকি ইজারাগ্রহীতার নিকট সেলামী বা খাজনা গ্রহণ করা হইলেও ।
ধারা ৮২ ( ব্যাখ্যা ) এই খণ্ডে -
উপধারা-(১) “প্রকৃত চাষী†বলিতে এমন কোনো ব্যক্তিকে বুঝায় যে নিজে অথবা তাহার পরিবারের সদস্যের সাহায্যে বা চাকর বা শ্রমিকের দ্বারা অথবা অংশীদার বা বর্গাদারের মাধ্যমে ভূমি চাষ করে এবং ইহা একজন অকৃষি শ্রমিককেও অন্তর্ভূক্ত করে;
উপধারা-(২) “রায়ত†বলিতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায় যে নিজে অথবা তাহার পরিবারের সদস্যের দ্বারা অথবা চাকর বা শ্রমিকগণ দ্বারা বা সহায়তায় অথবা অংশীদার বা বর্গাদারগণ কর্তৃক বা সহায়তায় চাষ করার নিমিত্ত ৪৪ ধারা বা অন্যভাবে সরকারের সরাসরি অধীনে ভূমি দখলে রাখিবার অধিকার অর্জন করিয়াছেন ও যে ব্যক্তিগণ ঐরূপ অধিকার অর্জন করিয়াছে ইহা তাহাদের স্বার্থের উত্তরাধিকারীগণকেও অন্তর্ভূক্ত করে;
উপধারা-(৩) রায়তের পরিবার তাহার সংগে একই অন্নে বসবাসরত এবং তাহার উপর নির্ভরশীল সকল ব্যক্তিগণকে অন্তর্ভূক্ত করে; কিন্তু ইহা কোনো চাকর বা শ্রমিককে অন্তর্ভূক্ত করে না ।
(৪), (৫) এবং (৬) * ১৯৬৪ সালের ১৭ নং অধ্যাদেশের ৩ ধারা বলে ৮/৯/৬৪ তারিখে বাদ দেওয়া হয় ।
উপধারা-(৭) অন্যভাবে প্রকাশ্য বিধান ছাড়া ̔হস্তান্তর̕ কোনো ব্যক্তিগত বিক্রয়, বন্ধক, দান অথবা কোনো চুক্তি বা এগ্রিমেন্টকে অন্তর্ভূক্ত করে এবং
উপধারা-(৮) এই খণ্ডের সম্পূর্ণ কোনো এলাকায় কার্যকর হওয়ার তারিখে অথবা তারিখ হইতে ঐ এলাকায় এই খণ্ডের বিধানসমূহ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে কৃষি ভূমির সহিত সম্বন্ধযুক্ত এই খণ্ডে ঐ শব্দগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ̔মালিক̕ শব্দটি ̔রায়ত̕ অথবা ̔টেন্যান্ট̕ শব্দের এবং ̔ভূমি রাজস্ব̕ শব্দটি ̔রেন্ট̕ শব্দের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় বলিয়া গণ্য করা হইবে এবং যেক্ষেত্রে কোনো ইজারা, কবুলিয়ত, চুক্তি বা অন্যান্য চুক্তির শর্তসমূহ মোতাবেক খাজনা সরকারকে প্রদেয় হয় সেক্ষেত্রে ইহা এইরূপভাবে আদায় করা হইবে যেন ইহা ভূমি রাজস্ব ছিল ।
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version