Faculty of Humanities and Social Science > Law

রেজিষ্ট্রেশন আইন

<< < (3/4) > >>

Sultan Mahmud Sujon:
একাদশ খণ্ড

রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের কর্তব্য ও ক্ষমতা সম্পর্কিত

    ক. রেজিস্ট্রার বহি এবং উহার সূচি সম্পর্কিত

ধারা-৫১ (বিভিন্ন অফিসে রেজিস্ট্রার বহি রাখিথে হইবে)

উপধারা-(১) নিম্নলিখিত বহিসমূহ বিভিন্ন অফিসে রাখিতে হইবে

    (ক) সকল রেজিস্ট্রি অফিসে-

    ১ নং বহি : ''উইল ছাড়া স্থাবর সম্পত্তির দলিলপত্রের রেজিস্ট্রার''

    ২ নং বহি : ''রেজিস্ট্রি করিতে অসম্মতির কারণ সম্পর্কিত রেকর্ড''

    ৩ নং বহি : ''উইল এবং পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিবার ক্ষমতাপত্রের রেজিস্ট্রার''

এবং

    ৪ নং বহি : ''বিবিধ রেজিস্ট্রার''

    (খ) রেজিস্ট্রারের অফিসে-

    ৫ নং বহি ''উইল জমা লওয়ার রেজিস্ট্রার''

উপধারা-(২) উইল ব্যতীত স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত দলিলপত্রাদি যাহা ১৭, ১৮ এবং ৮৯ ধারামতে রেজিস্ট্রি হইবে, তাহা ১নং বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে না উহার স্মারকলিপ নথিবদ্ধ করিতে হইবে ।

উপধারা-(৩) স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত নহে এইরূপ দলিলপত্রাদি যাহা ১৮ ধারামতে রেজিস্ট্রি করিতে হইবে তাহা ৪নং বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

উপধারা-(৪) কোনো রেজিস্ট্রারের অফিস কোনো সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসের সহিত একত্র হইলে এই ধারার কোনো বিধানমতে এক প্রস্থের অধিক কোনো বহির প্রয়োজন হইবে না ।

উপধারা-(৫) রেজিস্ট্রার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করেন যে, (১) উপধারায় বর্ণিত রেজিস্ট্রার বহিগুলির মধ্যে কোনটি ধ্বংস হইবার অথবা তাহা সম্পূর্ণ বা আংশিক অস্পষ্ট হইবার আশংকা দেখা দিয়াছে, তবে রেজিস্ট্রার একটি লিখিত আদেশ দ্বারা এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবেন যে,

    উক্ত বহি বা উহার যে অংশ তিনি প্রয়োজন মনে করিবেন তাহা যথাবিহিত পদ্ধতিতে পুনরায় নকল করিয়া তাহা সত্যায়িত করিয়া রাখা হউক । উক্ত রূপ নির্দেশের বলে যেই নকল প্রস্তুত ও সত্যায়িত করা হইবে তাহা ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন (১৮৭২ সালের ১নং আইন) অনুসারে মূল বহি বা উহার অংশরূপে বিবেচিত হইবে । এবং আইনে উক্ত বহি বা উহার অংশের যেই উল্লেখ করা হইবে তদ্বারা উক্তরুপে পুনঃ নকলকৃত ও সত্যায়িত বহি বা উহার অংশকে বুঝাইবে ।

ধারা-৫২ (দলিল দাখিল করা হইলে রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের কর্তব্য)

    উপধারা-(১) (ক) দলিল দাখিল করিবার সময়ে দাখিলের তারিখ, সময় ও স্থান এবং দলিল রেজিস্ট্রির জন্য দাখিলকারী প্রত্যেকের সহি প্রত্যেক দলিলের উপর দিতে হইবে৷

    (খ) রেজিস্ট্রিকারী অফিসার উক্ত দলিল প্রাপ্তির একটি রসিদ দলিল দাখিলকারী ব্যক্তিকে প্রদান করিবেন।

    (গ) ৬২ ধারার বিধিন সাপেক্ষে দলিল গ্রহণের ক্রমানুসারে রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গৃহীত দলিলের নকল অকারণে দেরী না করিয়া নির্দিষ্ট বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

    উপধারা-(২) এইরূপ সকল বহি ইন্সপেক্টর জেনারেল কতৃ॔ক সময়ে সময়ে নিধা॔রিত সময় পর পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে সহি-মোহর করিতে হইবে ।

ধারা-৫২ক (বিক্রয় দলিলে কতিপয় তথ্য সন্নিবেশিত না হইলে রেজিস্টারিং কর্মকর্তা উহা রেজিস্ট্রি করিবেন না )

    কোনো বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রির জন্য উপস্থাপন করা হইলে রেজিস্টারিং কর্মকর্তা উহা রেজিস্ট্রি করিবেন না যদি নিম্ন বর্র্ণিত তথ্য সমূহ দলিলে অন্তর্ভুক্ত এবং দলিলের সংগে সংযুক্তি আকারে দাখিল করা না হয়, যেমন;

    (ক) উত্তরাধিকার ব্যতীত অন্য কোনো উপায়ে সম্পত্তির মালিক হইয়া থাকিলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর অধীন প্রস্তুতকৃত তাহার নিজ নামে সর্বশেষ খতিয়ান;

    (খ) উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির মালিক হইয়া থাকিলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর অধীন প্রস্তুতকৃত তাহার নিজ নামে অথবা পূর্ববর্তী নামে সর্বশেষ খতিয়ান;

    (গ) সম্পত্তির প্রকৃতি;

    (ঘ) সম্পত্তির মূল্য;

    (ঙ) পরিসীমা ও দিক উল্লেখ সম্পত্তির হাত নকশা;

    (চ) সম্পত্তিতে মালিকানা সম্পর্কিত বিগত ২৫ বছরের ধারাবাহিক সংক্ষিপ্ত বর্ণনা; এবং

    (ছ) তফশিল বর্ণিত সম্পত্তি ইতিপূর্বে হস্তান্তর করা হয় নাই এবং উহাতে তাহার বৈধ স্বত্ব বহাল আছে মর্মে দাতা কতৃর্ক হলফ নামা । ২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংষোধিত ।

ধারা-৫৩ (বহিতে লিখিত বিষয়সমূহের ক্রমিক নম্বর দিতে হইবে)

প্রত্যেক বহিতে লিপিবদ্ধ বিষয়সমূহের ক্রমিক নম্বর দিতে হইবে; ঐ নম্বর বত্সরের প্রথম হইতে শুরু হইবে এবং বত্সরান্তে শেষ হইবে। প্রতি বত্সরের শুরুতে নতুন ক্রমিক নম্বর দিয়া আরম্ভ করিতে হইবে ।

ধারা-৫৪ (হাল সূচিপত্র এবং উহার অন্তর্ভূক্ত বিষয়সমূহ)

    প্রত্যেক অফিসে যেখানে ইতিপূর্বে বর্ণিত বহি রাখা হয়, সেখানে বহির বিষয়বস্তু হালসূচি প্রস্তুত করিতে হইবে, এবং যতদূর সম্ভব উক্ত সূচিপত্রের প্রত্যেক বিষয় রেজিস্ট্রিকারী অফিসার কতৃর্ক সংশ্লিষ্ট দলিলের নকল লইবার বা স্বারকলিপি নথিবদ্ধ করিবার অব্যবহিত পরেই লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

ধারা-৫৫ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসার কতৃর্ক প্রণীতব্য সূচি ও বিষয়বস্তু)

উপধারা-(১) প্রত্যেক রেজিস্ট্রি অফিসে এইরূপ চারিটি সূচিপত্র প্রস্তুত করিতে হইবে এবং সেইগুলি যথাক্রমে ১ নং, ২নং, ৩নং এবং ৪নং সুচিপত্র বলিয়া অভিহিত হইবে ।

উপধারা-(২) যেই সকল দলিলপত্রের নকল বা স্মারকলিপি ১নং বহির অন্তর্ভূক্ত সেইগুলির সম্পাদনকারী এবং উহাতে দাবিদার ব্যক্তিগণের নাম এবং বিবরণ ১নং সুচিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

উপধারা-(৩) ইন্পপেক্টর জেনারেল কতৃর্ক সময়ে সময়ে প্রদত্ত নির্র্দেশ অনুযায়ী ২১ ধারার সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রের এবং স্মারকলিপির বিস্তারিত বিবরণ ২নং সূচিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

উপধারা-(৪) ৩নং বহির অন্তর্ভূক্ত উইল এবং পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতা সম্পাদনকারী ব্যক্তিগণের এবং উপরিউক্ত দলিলে নিযুক্ত যথাক্রমে এক্সিকিউটর ও ব্যক্তিগণের নাম ও বিবরণ এবং উইলকারী ও প্রদানকারীর মৃত্যুর পর (কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে নহে) উক্ত দলিলে দাবিদার সমস্ত ব্যক্তির নাম ও বিবরণ ৩নং সূচিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

উপধারা-(৫) ৪নং বহির অন্তর্গত দলিলপত্রের সম্পাদনকারী ও দাবিদার সকল ব্যক্তির নাম ও বিবরণ ৪নং সূচিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

উপধারা-(৬) প্রত্যেক সূচিপত্রের অন্যান্য এইরূপ বিবরণ এইরূপ ফরমে লিখিতে হইবে যেমন ইন্সপেক্টর জেনারেল সময়ে সময়ে নির্দেশ দিবেন ।

উপধারা-(৭) যদি রেজিস্ট্রারের মতে, (১) উপধারায় উল্লিখিত কোনো সূচি নষ্ট হইবার বা পূর্ণত কিংবা অংশত অপাঠ্য হইবার আশঙ্কায় পতিত হয়, তবে রেজিস্ট্রার লিখিত আদেশ দিতে পারেন যে, ঐ সূচি বা উহার অংশ যতটুকু তিনি উপযুক্ত মনে করেন, পুনরায় কপি করিতে হইবে এবং কিভাবে উহা করা হইবে তাহার বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে । এবং এই কপি অত্র আইনের কিংবা ১৯৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের উদ্দেশ্যে মূল সূচি বা উহার অংশরূপে গণ্য হইবে এবং আদি সূচি সম্পর্কে এই আইনে যে সব বিষয় উল্লেখ আছে তাহা এই কপির উপর প্রযোজ্য হইবে ।

ধারা- ৫৬ (বাতিল)

ধারা-৫৭ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসারগণ কতৃর্ক কতিপয় বহি এবং সূচিপত্র দেখিতে অনুমতি দান এবং বহিতে লিপিবদ্ধ বিষয়বস্তুর জাবেদা নকল প্রদান )

উপধারা-(১) এতদসম্পর্কে দেয় ফী পূর্বাহ্নে প্রদত্ত হইলে যে-কোনো ব্যক্তি ১নং ও ২নং বহি এবং ১নং বহি সম্পর্কিত সূচিপত্র দেখিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিলে উহা যে-কোনো সময়ে দেখিতে পারেরন; এবং ৬২ ধারার বিধান সাপেক্ষে ঐ দরখাস্তকারীকে উপরোক্ত বহির বিষয়বস্তুর নকল দেওয়া হইবে ।

উপধারা-(২) উপরোক্ত বিধান সাপেক্ষে দলিল সম্পাদনকারী ব্যক্তিকে অথবা তাহার প্রতিনিধিকে এবং ঐ সম্পাদনকারীর মৃত্যুর পরে (কিন্তু মৃত্যুএ পূর্বে নহে ) যে কোনো ব্যক্তিকে ৩নং বহিতে লিপিবদ্ধ উক্ত দলিল সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু এবং উহা সম্পর্কিত সুচিপত্রের নকল দেওয়া যাইবে, যদি কেহ ঐ মর্মে আবেদন করে ।

উপধারা-(৩) উপরোক্ত বিধান সাপেক্ষে দলিল স্পাদনকারী অথবা উক্ত দলিলে দাবিদার যে-কোনো ব্যক্তিকে অথবা তাহার এজেন্ট বা প্রতিনিধিকে ৪নং বহিতে উক্ত দলিলের বিষয়সমূহ এবং ৪নং বহি সম্পর্কিত সুচিপত্রের নকল দেওয়াই হইবে ।

উপধারা-(৪) এই ধারা অনুযায়ী ৩নং এবং ৪নং বহির বিষয়বস্তুর তল্লাসী কেবল রেজিষ্ট্রিকারী অফিসার দ্বারা সম্পাদিত হইবে ।

উপধারা-(৫) এই ধারা অনুযায়ী প্রদত্ত সমস্ত নকল রেজিস্ট্রিকারী অফিসার কতৃর্ক সহি ও সীলমোহরযুক্ত হইবে, এবং উহা মূল দলিলের বিষয়বস্তু প্রমাণের জন্য গ্রহণযোগ্য হইবে ।

ধারা-৫৮ (রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গৃহীত দলিলে যেই সকল বিষয় পৃষ্ঠাঙ্কিত করিতে হইবে)

উপধারা-(১) ডিক্রি অথবা হুকুমনামার নকল ছাড়া ৮৯ ধারা অনুযায়ী রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের নিকট প্রেরিত কোনো নকল ছাড়া রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গৃহীত প্রত্যেক দলিলে নিম্নলিখিত বিবরণসমূহ বিভিন্ন সময়ে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

(ক) দলিল সম্পাদন স্বীকারকারী প্রত্যেক ব্যক্তির সহি এবং বিবরণ এবং উক্ত স্বীকৃতি যদি কোনো ব্যক্তির প্রতিনিধি, মনোনীত ব্যক্তি অথবা এজেন্ট কতৃর্ক প্রদত্ত হয়, তবে উক্ত প্রতিনিধি, মনোনীত ব্যক্তি বা এজেন্টের সহি ও বিবরণ ।

(খ) এই আইনের কোনো বিধান অনুযায়ী ঐরূপ দলিল সম্পর্কে যাহার জবানবন্দি গ্রহণ করা হইয়াছে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তির সহি এবং বিবরণ  ।

(গ) দলিল সম্পাদন সম্পর্কে রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের সম্মুখে অথবা গণ্য অর্পণ এবং উক্ত দলিল সম্পাদন সম্পর্কে সম্পূর্ণ বা আংশিক বিনিময় মূল্য প্রাপ্তির স্বীকৃতি ।

উপধারা-(২) দলিল সম্পাদন স্বীকারকারী কোনো ব্যক্তি উহা লিপিবদ্ধ করিতে অস্বীকার করা সত্বেও রেজিস্ট্রিকারী অফিসার উহার রেজিস্ট্রি করিবেন, তবে সেই সঙ্গে এইরূপ অস্বীকৃতির টাকা লিপিবদ্ধ করিবেন ।

ধারা-৫৯ (পৃষ্ঠাঙ্কনে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার কতৃর্ক তারিখ ও দস্তখত প্রদান করিতে হইবে)

উক্তরুপ দলিল সম্পর্কে রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের উপস্থিতিতে ৫২ ও ৫৮ ধারা অনুযায়ী যাহা কিছু লিপিবদ্ধ করা হইবে, রেজিস্ট্রিকারী অফিসার সেই দিনই সেইগুলিতে তাঁহার স্বাক্ষর ও তারিখ প্রদান করিবেন ।

ধারা -৬০ (রেজিস্ট্রিকরণের সার্টিফিকেট )

উপধারা-(১) রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিলকৃত কোনো দলিলের ৩৪, ৫৮ ও ৫৯ ধারার সেই সমস্ত শর্ত প্রযোজ্য হইবে; উহা পালন করা হইলে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার উক্ত দলিলের উপর রেজিস্ট্রিকৃত শব্দ সম্বলিত একটি সার্টিফিকেট লিখিবেন এবং ঐ সঙ্গে যে বহিতে উক্ত দলিলের নকল রাখা হইয়াছে উক্ত বহি এবং উহার পৃষ্ঠার নম্বর লিখিয়া রাখিবেন ।

উপধারা-(২) ঐরূপ সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রিকারী অফিসার কতৃর্ক সহি, সীলমোহর এবং তারিখ যুক্ত হইলে সংশ্লিষ্ট দলিল যে এই আইনের নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী রেজিস্ট্রিকৃত হইয়াছে এবং ৫৯ ধারায় উল্লেখিত পৃষ্ঠাঙ্কনের প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ যে উহাতে আছে, তাহা প্রমাণের জন্য গৃহীত হইবে ।

ধারা-৬১ (পৃষ্ঠাঙ্কন ও সাটিফিকেটের নকল রাখিয়া দলিল ফেরত দিতে হইবে)

উপধারা-(১) অতঃপর ৫৯ এবং ৬০ ধারায় বর্ণিত পৃষ্ঠাঙ্কন ও সার্টিফিকেটের নকল রেজিস্ট্রার বহির প্রান্তদেশে লিপিবদ্ধ রাখিতে হইবে এবং ২১ ধারায় বর্ণিত কোনো নকশা বা পরিকল্পনা থাকিলে উহার নকল ১নং বহিতে নথিভূক্ত হইবে ।

উপধারা-(২) অতঃপর দলিল রেজিস্ট্রি সম্পূর্ণ হইল বলিয়া ধরা হইবে এবং তখন রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিলকারী ব্যক্তি অথবা ৫২ ধারায় বর্ণিত রশিদে এই মর্মে লিখিতভাবে মনোনীত ব্যক্তিকে দলিল ফেরত দেওয়া হইবে ।

 

ধারা-৬২ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের অজ্ঞাত ভাষায় লিখিত দলিল দাখিলের পরবর্তী পদ্ধতি )

উপধারা-(১) ১৯ ধারা অনুযায়ী কোনো দলিল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিল করা হইলে মূল দলিলের হুবহু অনুবাদ দলিল-পত্রাদির রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং ১০ ধারায় উল্লিখিত একটি নকল রেজিস্ট্রি অফিসের নথিভূক্ত করিতে হইবে ।

উপধারা-(২) মূল দলিলের উপর যথাক্রমে ৫৯ এবং ৬০ ধারায় উল্লিখিত পৃষ্ঠাঙ্কন এবং সার্টিফিকেট লিখিয়া রাখিতে হইবে এবং ৫৭, ৬৪, ৬৫, ৬৬ ধারা মতে নকল এবং স্মারকলিপি প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে দলিলের অনুবাদকেই মূল দলিল হিসাবে গণ্য করা হইবে ।

ধারা-৬৩ (শপথদান ও বিবৃতির সারমর্ম লিপিবদ্ধ করার ক্ষমতা)

শপথদান ও বিবৃতির সারমর্ম লিপিবদ্ধ করার ক্ষমতা :

উপধারা-(১) প্রত্যেক রেজিস্ট্রিকারী অফিসার ইচ্ছা করিলে এই আইন অনুযায়ী যাহার জবানবন্দি গ্রহণ করা হইবে এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণ করাইতে পারেন ।

উপধারা-(২) ঐরূপ প্রত্যেক অফিসার ইচ্ছা করিলে ঐরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি কতৃর্ক প্রদত্ত বিবৃতির সারমর্মের 'লিপি' রাখিবেন এবং উক্ত লিপি বিবৃতি প্রদানকারীর সম্মুখে পাঠাইতে হইলে অথবা (বিবৃতিটি যদি তাঁহার অজানা কোনো ভাষায় লিপিবদ্ধ হয়) তাঁহার জ্ঞাত ভাষায় ব্যাখ্যা করিয়া দেওয়া হইলে তিনি যদি উহার যথার্থতা স্বীকার করেন, তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার উহাতে দস্তখত করিবেন ।

উপধারা-(৩) বিবৃতি যেই অবস্থায় এবং যেই ব্যক্তি কতৃর্ক প্রদত্ত হইয়াছে, উপরোক্ত প্রকারের দস্তখতযুক্ত লিপি তাহা প্রমাণের জন্য গ্রহণযোগ্য হইবে ।

ধারা-৬৪ (বিভিন্ন উপজিলায় অবস্থিত জমির দলিল-সম্পর্কিত পদ্ধতি)

প্রত্যেক সাব-রেজিস্ট্রার তাঁহার উপজিলায় পুরাপুরি ভাবে অবস্থিত নয় এইরূপ কোনো স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে উইল ছাড়া অন্য কোনো প্রকার দলিল রেজিস্ট্রিকরণকালে তিনি উক্ত দলিলের এবং দলিলে লিখিত কোনো পৃষ্ঠাঙ্কন বা সার্টিফিকেটের (যদি থাকে) একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করিয়া তাহারই মত একই রেজিস্ট্রারের অধীনস্থ অন্যান্য সাব-রেজিস্ট্রারের উপজিলায় উক্ত সম্পত্তির কোনো অংশে অবস্থিত হইলে তাহাদের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত সাব-রেজিস্ট্রারগণ ১নং বহিতে ঐ স্মারকলিপি নথিযুক্ত করিবেন ।

 

ধারা-৬৫ (বিভিন্ন জিলায় অবস্থিত জমির দলিল-সম্পর্কিত পদ্ধতি)

উপধারা-(১) প্রত্যেক সাব-রেজিস্ট্রার একাধিক জিলায় অবস্থিত এইরূপ কোনো স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে উইল ছাড়া অন্য কোনো প্রকার দলিল র&

Sultan Mahmud Sujon:
দ্বাদশ খণ্ড
রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকৃতির সম্পর্কিত

ধারা-৭১ (রেজিস্ট্রারের রেজিস্ট্রিকরণে অস্বীকৃতি)

উপধারা-(১) প্রত্যেক সাব-রেজিস্ট্রার, দলিল সংশ্লিষ্ট তাঁহার উপজিলায় অবস্থিত নয়, এই কারণ ছাড়া অন্য কোনো কারণে দলিল রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিলে ঐ মর্মে আদেশ প্রদান করিবেনও ২ নং বহিতে অস্বীকৃতির কারণ এবং উক্ত দলিলের উপর ''রেজিস্ট্রিকরণে অস্বীকৃতি'' শব্দ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং সম্পাদনকারী বা দলিল মোতাবেক দাবিদার এমন কোন ব্যক্তি কতৃর্ক দরখাস্ত করা হইলে বিনা-খরচে ও অবিলম্বে লিপিবদ্ধকরণসমূহের একটি নকল প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(২) কোনো রেজিস্ট্রিকারী অফিসার এই আইনের অতঃপর বর্ণিত বিধানসমূহ অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করিবার আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত ঐরূপ রেজিস্ট্রিকরণ-অস্বীকৃত দলিল গ্রহণ করিতে পারিবেন না ।

ধারা-৭২ (রেজিস্ট্রারের আদেশে সাব-রেজিস্ট্রার রেজিস্ট্রেশন করিতে অস্বীকৃতি জানাইলে আপিল করা যাইবে)

উপধারা-(১) সম্পাদনের অসম্মতি ছাড়া অন্য কোনো কারণে সাব-রেজিস্ট্রার কতৃর্ক রেজিস্ট্রিকরণের (রেজিস্ট্রিকরণ বাধ্যতামূলকই হউক বা এচ্ছিক হউক) জন্য দলিল গ্রহণের অস্বীকৃতির আদেশ প্রদত্ত হইলে তাঁহার উর্ধ্বতন রেজিস্ট্রারের নিযুক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাইবে এবং উক্ত আপিল আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে করা হইলে রেজিস্ট্রার উল্টাইতে বা পরিবর্তন করিতে পারেন ।

উপধারা-(২) রেজিস্ট্রার যদি দলিলটি রেজিস্ট্রিকৃত হইবে বলিয়া নির্দেশ দেন এবং উহা যদি উক্ত নির্দেশ দানের ৩০ দিনের মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করা হয়, তবে তিনি উক্ত আদেশ পালন করিবেন এবং যতদুর সম্ভব ৫৮, ৫৯ এবং ৬০ ধারায় নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন এবং এই দলিল প্রথম যেইদিন রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিল করা হইয়াছিল ঐদিন হইতে উক্ত রেজিস্ট্রিকরণ কার্যকরী হইবে ।

ধারা-৭৩ (সম্পাদনে অস্বীকৃতির দরুন সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট আবেদন)

উপধারা-(১) দলিল সম্পাদনকারী অথবা তাঁহার প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তি কতৃর্ক দলিল সম্পাদনে অসম্মতির কারণে যখন কোনো সাব-রেজিস্ট্রার দলিল রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করেন, তখন উক্ত দলিলে দাবিদার বা পূর্ববর্ণিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তাঁহার কোনো প্রতিনিধি, মনোনীত বা এজেন্ট উক্ত অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে ঐ সাব-রেজিস্ট্রারের উর্ধ্বতন রেজিস্ট্রারের নিকট উক্ত দলিল রেজিস্ট্রি করাইবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দরখাস্ত করিতে পারেন ।

ঐরূপ দরখাস্ত লিখিতভাবে করিতে হইবে এবং উহার সহিত ৭১ ধারা অনুযায়ী লিপিবদ্ধ কারণসমূহের একটি নকল প্রেরণ করিতে হইবে এবং আরজিসমূহে আইন অনুযায়ী যেই পদ্ধতিতে ''সত্যপাঠ'' করা ঐরূপ পদ্ধতিতে দরখাস্তকারী দরখাস্তের বিবরণ ''সত্যপাঠ'' করিবেন ।

ধারা-৭৪ (অনুরূপ দরখাস্তপ্রাপ্তির পর রেজিস্ট্রার কতৃর্ক অবলম্বিত পদ্ধতি)

এইরূপ ক্ষেত্রে এবং যে ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের সম্মুখে রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিলকৃত দলিল সম্পাদনের পূবোর্র্ক্তভাবে অসম্মতি জ্ঞাপন করা হয় যেই ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার সুবিধা অনুযায়ী যত শীঘ্র সম্ভব নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ তদন্ত করিবেন ।

    (ক) দলিলটি সত্যই সম্পাদিত হইয়াছে কিনা;

    (খ) ক্ষেত্রবিশেষে দরখাস্তকারী অথবা রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দলিল দাখিলকারী কতৃর্ক সেই সময়ে বলবত্‍ আইনের শর্তসমূহ পালন করা হইয়াছে কিনা, যাহার ফলে দলিল রেজিস্ট্রি করাইতে তাহারা অধিকারী হইবে ।

ধারা-৭৫ (রেজিস্ট্রি করিবার জন্য রেজিস্ট্রারের আদেশ এবং তত্পরবর্তী পদ্ধতি)

উপধারা-(১) রেজিস্ট্রার যদি দেখেন যে, দলিলটি সত্যই সম্পাদিত হইয়াছে এবং শতর্সমূহ পালন করা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি দলিলটি রেজিস্ট্রি করিতে আদেশ দিবেন ।

উপধারা-(২) ঐরূপ আদেশদানের ৩০ দিনের মধ্যে দলিলটি রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিল করা হইলে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার উক্ত আদেশ পালন করিবেন এবং উহার পর যতদূর সম্ভব ৫৮, ৫৯ এবং ৬০ ধারায় নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন ।

উপধারা-(৩) দলিলটি প্রথম যেই দিন রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিল করা হইয়াছিল উক্ত রেজিস্ট্রিকরণ সেই দিনই সম্পন্ন হইয়াছে বলিয়া কার্যকরী হইবে ।

উপধারা-(৪) রেজিস্ট্রার ইচ্ছা করিলে যে-কোনো দেওয়ানী আদালতের ন্যায় ৭৪ ধারা অনুযায়ী কোনোরূপ তদন্তের উদ্দেশ্যে সাক্ষিগণের উপর সমন জারি করিতে বা তাহাদের উপস্থিত হইতে এবং সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করিতে পারেন এবং তাহার দ্বারা এইরূপ তদন্তের খরচের সম্পূর্ণ বা কোনো অংশ প্রদত্ত হইলে সেই সম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারেন এবং ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধি অনুযায়ী কোনো মোকদ্দমায় মঞ্জুরকৃত খরচের ন্যায় উক্ত খরচ আদায় করা হইবে ।

ধারা-৭৬ (রেজিস্ট্রার কর্তৃক অস্বীকৃতির আদেশ)

উপধারা-(১) প্রত্যেক রেজিস্ট্রার :

    (ক) সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি তাঁহার জিলায় অবস্থিত নহে অথবা দলিলটি কোনো একজন সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে রেজিস্ট্রিকতৃ হইবে-এই কারণ ছাড়া অন্য কোনো কারণে দলিল রেজিস্ট্রি করিতে অঙ্গীকার করিলে, অথবা,

    (খ) ৭২ বা ৭৫ ধারা অনুযায়ী দলিল রেজিস্ট্রি করিবার নির্দেশ দিতে অস্বীকার করিলে,

    অস্বীকৃতির আদেশ, নিবেদন এবং ঐরূপ আদেশের কারণসমূহ ২নং বহিতে লিপিবদ্ধ করিবেন এবং সম্পাদনকারীর বা দলিল মোতাবেক দাবিদার কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক আবেদন করা হইলে অকারণ বিলম্ব না করিয়া উক্ত লিপিবদ্ধ কারণসমূহের একটি নকল প্রদান করিবেন ।

উপধারা-(২) এই ধারা অথবা ৭২ ধারা অনুযায়ী রেজিস্ট্রার কতৃর্ক প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল চলিবে না ।

ধারা-৭৭ (রেজিস্ট্রারের অস্বীকৃতির আদেশের ক্ষেত্রে দেওয়ানী মামলা)

উপধারা-(১) যেই ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার ৭২ বা ৭৬ ধারা অনুযায়ী দলিল রেজিস্ট্রি করিবার আদেশ দিতে অস্বীকার করেন, সেই ক্ষেত্রে ঐ দলিল মোতাবেক দাবিদার অথবা তাহার প্রতিনিধি মনোনীত ব্যক্তি বা এজেন্ট উক্ত অস্বীকৃতির ৩০ দিনের মধ্যে যে দেওয়ানী আদালতের আদিশ এখতিয়ারাধীন উক্ত রেজিস্ট্রি অফিস অবস্থিত, সেই আদালতে ডিক্রী প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে দলিলটি রেজিস্ট্রি করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করা হইলে উহা রেজিস্ট্রি করিতে হইবে, এই মর্মে ডিক্রি প্রাপ্তির জন্য মামলা দায়ের করিতে পারেন ।

উপধারা-(২) এইরূপ কোনো ডিক্রি অনুযায়ী রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিলকৃত দলিলপত্রের ক্ষেত্রে ৭৫ ধারার (২) এবং (৩) উপধারার বিধানসমূহ হুবহু প্রযোজ্য হইবে । এই আইনে যাহাই থাকুক না কেন, উক্ত দলিলই ঐরূপ মামলায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে ।

Sultan Mahmud Sujon:
চতুর্দশ খণ্ড

 

দণ্ড সম্পর্কে

ধারা-৮০ (দাখিলের সময় দেয় ফী)

এই আইন মোতাবেক সর্বপ্রথম ফী দলিল দাখিলের সময় দেওয়া যাইবে ।

 

ধারা-৮১ (ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে দলিলাদির ক্রুটিপূর্ণ পৃষ্ঠাংকন, নকল, অনুবাদ কিংবা রেজিস্ট্রি করার দণ্ড)

এই আইন অনুসারে নিযুক্ত প্রত্যেক রেজিস্ট্রিকারী অফিসার এবং এই আইনের উদ্দেশ্যে তাঁহার অফিসে নিয়োজিত প্রত্যেক ব্যক্তি এই বিধান অনুযায়ী দাখিলকৃত বা জমা-দেওয়া কোনো দলিল পৃষ্ঠাংকন, নকল, অনুবাদ অথবা রেজিস্ট্রিকরণের জন্য ভারপ্রাপ্ত হইয়া দণ্ডবিধিতে বর্ণিত 'ক্ষতি' সাধনের উদ্দেশ্যে অথবা ক্ষতি সাধিত হইতে পারে এইরূপ জানা সত্বেও যদি অশুদ্ধ বলিয়া জানেন বা বিশ্বাস করেন, এইরূপ কোনো পদ্ধতিতে উক্ত দলিল পৃষ্ঠাংকন, নকল, অনুবাদ বা রেজিস্ট্রি করেন, তবে ৭ বত্সরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয় প্রকারে দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

 

ধারা-৮২ (মিথ্যা, বিবৃতি দান, মিথ্যা নকল বা অনুবাদ প্রদান, মিথ্যা পরিচয় দান ও অনুরূপ কার্যে সহায়তার দণ্ড)

(ক) এই আইন অনুযায়ী কোনো কার্যক্রম বা তদন্ত পরিচালনা করলে এই আইন কার্যকরীকরণে রত কোনো অফিসারের সম্মুখে শপথ গ্রহণ করিয়া বা না করিয়া, নথিভূক্ত হউক বা না হউক, কোনো মিথ্যা বিবৃতি স্বেচ্ছায় দান করিলেন, অথবা

(খ) ১৯ কিংবা ২১ ধারা অনুযায়ী কার্য পরিচালনাকালে রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের নিকট কোনো দলিলের মিথ্যা নকল বা অনুবাদ অথবা কোনো নকশা কিংবা কোনো পরিকল্পনার মিথ্যা নকল স্বেচ্ছায় প্রদান করিলে, অথবা

(গ) এই আইন অনুসারে কোনো কার্যক্রম বা তদন্ত পরিচালনা কালে কোনো ব্যক্তিরূপে নিজেকে পরিচয় দিলে বা ঐরূপ কোনো দলিল দাখিল করিলে অথবা কোনো স্বীকৃতি বা বিবৃতি দিলে কিংবা কোনো কমিশন বা সমন দেওয়া হইলে, অথবা

(ঘ) এই আইনের দণ্ডনীয় কোনো কার্যের সহায়ক হইলে; ৭ বত্সরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয় প্রকারের দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে ।

 

ধারা-৮৩ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসার অভিযোগ আনয়ন করিতে পারেন)

উপধারা-(১) কোনো অপরাধ সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসাবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের গোচরীভূত হইলে যেই এলাকায় বা উপজিলায় উক্ত অপরাধ অনুষ্ঠিত হইয়াছে সেই স্থানে ইন্সপেক্টর জেনারেল, রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রার কতৃর্ক অথবা তাহাদের অনুমতিক্রমে অপরাধীকে যথারীতি ফৌজদারীতে সোপর্দ করা হইবে ।

উপধারা-(২) এই আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ এইরূপ কোর্ট বা অফিসার কতৃর্ক বিচার হইবে, যাহাদের ক্ষমতা-দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের নিচে নহে ।

 

ধারা-৮৪ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসারগণ সরকারি কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন )

উপধারা-(১) এই আইন অনুসারে প্রত্যেক রেজিস্ট্রিকারী অফিসার দণ্ডবিধিতে বর্ণিত সরকারি কমচারী বলিয়া গণ্য হইবেন ।

উপধারা-(২) এইরূপ রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের প্রয়োজনে প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার নিকট সংবাদ প্রদান করিতে আইনত বাধ্য থাকিবেন ।

উপধারা-(৩) এই আইন মোতাবেক কোনো কাযক্রম দণ্ডবিধির ২৮ ধারায় বর্ণিত বিচার-বিষয়ক কার্যক্রম শব্দের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

Sultan Mahmud Sujon:
বিবিধ

ধারা-৮৫ (দাবিদারহীন দলিল নষ্ট করা)

উইল ছাড়া অন্যান্য দলিলপত্র কোনো রেজিস্ট্রি অফিসে ২ বত্সরের অধিক কাল অ-দাবিকৃত অবস্থায় পড়িয়া থাকিলে উহা নষ্ট করিয়া ফেলা হইবে ।

ধারা-৮৬ (সকারি কর্তব্য হিসাব বা সরল বিশ্বাসে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার কতৃর্ক কোনো কার্য সম্পাদন করা বা উহাতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের জন্য তিনি দায়ী হইবেন না ।

কোনো রেজিস্ট্রিকারী অফিসার উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন সরল বিশ্বাসে কোনো কিছু করিলে বা করিতে অস্বীকৃতি প্রদান করিলে কোনোরূপ দাবি বা মোকদ্দমায় দায়ী হইবেন না ।

ধারা-৮৭ (নিয়োগ বা পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য উপরোক্তরূপে কৃত কোনো কিছুই অবৈধ হইবে না)

কোনো রেজিস্ট্রিকারী অফিসার এই আইন অথবা এই আইন দ্বারা বাতিলকৃত অন্য কোনো আইন অনুযায়ী সরল বিশ্বাসে কোনো কিছু করলে তাহা কেবল উক্ত অফিসারদের নিয়োগদান অথবা নিয়োগ পদ্ধতিতে কোনোরূপ ত্রুটি থাকার কারণেই অবৈধ বলিয়া গণ্য হইবে না ।

ধারা-৮৮ (সরকারী অফিসার বা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত কতিপয় ব্যক্তি দ্বারা সম্পাদিত দলিল রেজিস্ট্রি করা)

উপধারা-(১) অত্র আইনে যাহাই থাকুক না কেন, (ক) কোনো সরকারি অফিসার বা (খ) বাংলাদেশের এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অথবা কোনো সরকারি জিম্মাদার (ট্রাস্টী) বা সরকারিভাবে মনোনীত ব্যক্তি অথবা (গ) হাইকোর্টের রিসিভার বা রেজিস্ট্রার কতৃর্ক সরকারি পদমর্যাদা বলে সম্পাদিত কোনো দলিলের রেজিস্ট্রিকারী সম্পর্কে রেজিস্ট্রি অফিসে পরিচালিত কোনো কার্যক্রমে তাহাদের ব্যক্তিগতভাবে বা এজেন্ট মারফত হাজিরার হইবার অথবা ৫৮ ধারা অনুযায়ী দরখাস্ত করিবার জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হইবার প্রয়োজন হইবে না ।

উপধারা-(২) যেইক্ষেত্রে ঐরূপভাবে কোনো দলিল সম্পাদিত হয় সেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসার প্রয়োজন মনে করিলে সরকারের কোনো সেক্রেটারী বা ঐরূপ কোনো সরকারি কর্মচারী, এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল, সরকারি জিম্মাদার, সরকারিভাএব মনোনীত ব্যক্তি, রিসিভার বা রেজিস্ট্রারের নিকট হইতে ঐ সম্পর্কে সংবাদ গ্রহণ করিবেন এবং সম্পাদন সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইয়া দলিলটি রেজিস্ট্রি হইয়া দলিলটি রেজিস্ট্রি করিবেন ।

ধারা-৮৯ (কতিপয় আদেশ, সার্টিফিকেট এবং দলিলের নকল রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের নিকট প্রেরণ ও নথিভূক্ত করিতে হইবে )

উপধারা-(১) ১৮৮৩ সনের 'ভূমি উন্নয়ন ঋণ আইন' অনুযায়ী ঋণ প্রদান করিয়া প্রত্যেক অফিসার যেই জমির উন্নয়ন করা হইবে বা যেই জমি জামানত হিসাবে প্রদান করিতে হইবে, এইরূপ জমি সম্পূর্ণ বা আংশিক যেই রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের এলাকায় অবস্থিত সেই রেজিস্ট্রেশন অফিসারের নিকট তাঁহার আদেশের একটি নকল প্রেরন করিবেন এবং উক্ত রেজিস্ট্রেশন অফিসার ঐ সকল তাঁহার অফিসে ১ নং বহিতে নথিভূক্ত করিবেন ।

উপধারা-(২) ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধি অনুযায়ী কোনো স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয়ের সার্টিফিকেট প্রদান করিয়া প্রত্যেক কোর্ট উক্ত সার্টিফিকেটে উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তি সম্পূর্ণ বা অংশত যেই রেজিস্ট্রেশন অফিসারের এলাকায় অবস্থিত তাঁহার নিকট ঐ সার্টিফিকেটের একটি নকল প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত অফিসার নকলটি তাহার অফিসের ১ নং বহিতে নথিভূক্ত করিবেন ।

উপধারা-(৩) ১৮৮৪ সনের কৃষি ঋণ আইন অনুযায়ী কোনো ঋণ প্রদান করিয়া প্রত্যেক অফিসার ঋণ পরিশোধের 'জামানত' হিসাবে বন্ধকী স্থাবর সম্পত্তি সম্পূর্ণ বা অংশত যেই রেজিস্ট্রেশন অফিসারের এলাকায় অবস্থিত সেই অফিসারের নিকট উক্ত বন্ধকী দলিলের এবং তাহার আদেশের একটি প্রেরণ করিবেন এবং রেজিস্ট্রিকারী অফিসার উক্ত নকলসমূহ তাঁহার অফিসাসের ১ নং বহিতে নথিভূক্ত করিবেন ।

উপধারা-(৪) প্রত্যেক রেভিনিউ অফিসার সরকারি নিলামে বিক্রিত স্থাবর সম্পত্তির ক্রতাকে উক্ত বিক্রয়ের সার্টিফিকেট প্রদান করিয়া ঐ সার্টিফিকেটের একটি নকল রেজিসট্রিকারী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং রেজিস্ট্রেশন অফিসার নকলটি তাঁহার অফিসে ১ নং বহিতে নথিভূক্ত করিবেন ।

ধারা-৯০ (সরকার কর্তৃক কিংবা সরকারের নামে সম্পাদিত কতিপয় দলিলের ক্ষেত্রে রেহাই)

এই আইন অথবা ১৮৭৭ বা ১৮৭১ সনের রেজিস্ট্রিকরণ আইন অথবা এই আইন দ্বারা বাতিলকৃত অন্য কোনো আইনের কোনো বিধান অনুসারে নিম্নলিখিত দলিলপত্রাদি বা নকশা রেজিস্ট্রি করিবার প্রয়োজন হইবে বলিয়া বিবেচিত হইবে না ।

    (ক) জমির খাজনা বন্দোবস্ত বা পূর্ণবন্দোবস্তের জন্য নিয়োজিত কোনো অফিসার কতৃর্ক প্রদত্ত, প্রাপ্ত বা সহি-মোহরকৃত দলিল পত্রাদি এবং উক্ত বন্দোবস্ত সম্পর্কিত নথিপত্রের কোনো অংশ, অথবা

    (খ) জমি জরিপ বা পূর্ণ জরিপের জন্য সরকারের তরফ হইতে নিয়োজিত কোনো অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত, প্রাপ্ত বা সহিমোহরকৃত দলিলপত্রাদি ও নকশাসমূহের এবং উক্ত জরিপ সম্পর্কিত নথির কোন অংশ, অথবা

    (গ) বর্তমানে প্রচলিত কোনো আইন অনুযায়ী গ্রামাঞ্চলের নথিপত্র প্রস্তুত করিবার ভারপ্রাপ্ত পাটোয়ারী বা অন্যান্য অফিসার কতৃর্ক নির্র্দিষ্ট সমায়ন্তর রাজস্ব অফিসে দাখিলকৃত দলিলপত্রাদি, অথবা

    (ঘ) সরকার কতৃর্ক জমি বা জমিতে কোনোরূপ সুবিধা প্রদান বা সমর্পণের সাক্ষ্য হিসাবে সনদ, উপঢৌকন; মালিকানা দলিল এবং অন্যান্য দলিলপত্র, অথবা

    (ঙ) অপ্রয়োজনীয় ।

উপধারা-(২) ঐরূপ দলিলপত্রাদি এবং নকশাসমূহ ৪৮ এবং ৫৯ ধারার উদ্দেশ্যে এই আইনের বিধান অনুযায়ী রেজিস্ট্রিকৃত হইয়াছে বা হইবে বলিয়া গণ্য হইবে ।

ধারা-৯১ (অনুরূপ দলিল পরিদর্শন ও উহাদের নকল গ্রহণ)

ঐরূপ বিধান এবং এই মর্মে সরকার কতৃর্ক নির্র্ধারিত ফী পূর্বাহ্নে প্রদানসাপেক্ষে কোনো ব্যক্তি দরখাস্ত করিলে ৯০ ধারার (ক), (খ) এবং (গ) দফায় উল্লিখিত দলিলপত্রাদি এবং নকশাসমূহ দেখিতে হইবে এবং উপরোক্ত বিধান এবং ফী প্রদান সাপেক্ষে নকল লইবার জন্য দরখাস্তকারীকে ঐ সমস্ত দলিলপত্রের নকল প্রদান করিতে হইবে ।

ধারা-৯২ (বাতিল)

ধারা-৯৩ (বাতিল)

তথ্যসুত্র : রেজিস্ট্রেশন অাইনের ভাষ্য , লেখক- গাজী শামসুর রহমান।

farzanamili:
thanks for such an important post.

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version