Faculty of Humanities and Social Science > Law
চাকুরীর শর্তাবলী সম্পর্কিত
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা-২৫। অভিযোগ উত্থাপনের পদ্ধতি (Grivance procedure) :
(১) কোনো শ্রমিকের১ [বরখাস্ত, কর্মচ্যুত ছাঁটাই, লে-অফ বা অন্যভাবে চাকুরী হইতে অপসারিত শ্রমিকসহ] এই আইন অনুসারে কোনো বিষয়ে ব্যক্তিগত কোনো অভিযোগ করিবার থাকিলে এবং এই ধারার অধীনে উহার প্রতিকার পাইতে ইচ্ছুক হইলে, নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে :
(ক) অভিযোগের কারণ উদ্ভবের পনেরো দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক লিখিতভাবে ২[রেজিস্টার্ড ডাকযোগে] স্বীয় অভিযোগ মালিকের নিকট পেশ করিবে এবং মালিক উক্ত অভিযোগ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করিবেন এবং এই শ্রমিককে তাহার বক্তব্য পেশের সুযোগ দিবেন এবং নিজের সিদ্ধান্ত উক্ত শ্রমিককে লিখিত ভাবে জ্ঞাপন করিবেন।
(খ) অনুচ্ছেদ (ক) অনুযায়ী যদি মালিক তাহার সিদ্ধান্ত জ্ঞাপন করিতে ব্যর্থ হন, অথবা শ্রমিক যদি মালিকের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় এবং ১৯৫৮ সালের শিল্প বিরোধ অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে বিষয়টি যদি শ্রম বিরোধ হিসাবে ইতিমধ্যে উত্থাপিত না হইয়া থাকে বা উত্থাপনের উদ্যোগ না লইয়া থাকে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অনুচ্ছেদে (ক) অনুসারে শেষ দিন হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে অথবা সিদ্ধান্তের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে (এই বিষয়ে যাহার এই খতিয়ার রহিয়াছে) অভিযোগ দায়ের করিতে পারে।
তবে শর্ত এই যে, সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকলাপের দরুন ১৯ ধারা অনুসারে তাহার চাকুরী অবসানের অভিযোগ না থাকিলে বা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে উক্ত ধারার নির্দিষ্ট সুবিধা হইতে বঞ্চিত করা না হইয়া থাকিলে, তাহার চাকুরীর অবসানের আদেশের বিরুদ্ধে কোনো নালিশ করিবে না।
(গ) অনুচ্ছেদ (খ) অনুসারে কোনো অভিযোগ প্রাপ্তির পর আদালত নোটিশ জারি এবং পক্ষসমূহের বক্তব্য শ্রবণের পর নিজ বিবেচনা মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন;
(ঘ) অভিযোগ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আদালত নিজ বিবেচনা মোতাবেক যতটা ন্যায় সঙ্গত মনে করিবেন, বাদীকে বিবাদী কর্তৃক তদনুরূপ মামলার খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ চূড়ান্ত হইবে।
তবে শর্ত এই যে, এই ধারা অনুসারে আনীত কোনো অভিযোগ এই আইনের ২৭ ধারা অনুসারে ফৌজদারীতে সোপর্দকরণ বিবেচিত হইবে না;
(ঙ) আদালতে অভিযোগ দায়েরের জন্য বা কোনো কাগজপত্র দাখিল বা একজিবিট করিবার জন্য কোনোরূপ কোর্ট ফী দিতে হইবে না।
ধারা-২৬। ২৫ ধারা অনুসারে আদালতের আদেশ অমান্য করিবার শাস্তি (Penalty for non-compliance of Court’s order under section 25) :
(১) ২৫ ধারা অনুসারে প্রদত্ত আদালতের আদেশ কেহ পালন করিতে অস্বীকার করিলে বা পালন করিতে ব্যর্থ হইলে, সে অনধিক তিন মাস পর্যন্ত বিনা শ্রমে কারাদণ্ড বা অনধিক এক হাজার টাকার পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।
(২) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগ ব্যতীত উপধারা (১) অনুসারে অপরাধ আদালত কর্তৃক আমলে গ্রাহ্য হইবে না।
ধারা-২৭। শাস্তি ও উহার পদ্ধতি (Penalties and procedure) :
(১) কোনো মালিক তাহার দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য এই আইনের কোনো বিধান অমান্য করিলে প্রথমবারের অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উপর্যুপরি অপরাধ করিতে থাকিলে, প্রথম অপরাধের পর পরবর্তী অপরাধসমূহের জন্য প্রতিদিন অনধিক পঞ্চাশ টাকা করিয়া জরিমানায় দণ্ডনীয় হইবেন এবং পরবর্তী দিনগুলির অপরাধের প্রতিটির জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানায়, অথবা অনধিক এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে, অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত পরবর্তী অপরাধ হইতে উদ্ভত অব্যাহত অপরাধের জন্য প্রতিদিন পঞ্চাশ টাকা করিয়া জরিমানায় দণ্ডনীয় হইবেন।
(২) এই আইনের অন্যত্র বর্ণিত বিধান অনুসারে অন্য কোনোরূপ শাস্তির ব্যবস্থা না থাকিয়া থাকিলে, এই আইনের যেই কোনো বিধান যেই কেহ ভঙ্গ করিলে প্রথম বারের অপরাধের জন্য দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানাদণ্ডে এবং পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের জন্য দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা অনধিক এক মাসে বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে।
(৩) এই ধারা অনুসারে দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ সম্পর্কে কেবল চীফ ইন্সপেক্টর বা তাঁহার দ্বারা ভারপ্রাপ্ত কোনো অফিসার ছাড়া বা তাঁহার লিখিত পূর্ব অনুমতি ছাড়া অন্য কেহ বা অন্য কোনভাবে কেহ অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবে না।
(৪) এই ধারা এবং ২৬ ধারা অনুসারে দণ্ডনীয় কোনো অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অধস্তন কোনো আদালতে করিতে পারিবেন না।
ধারা-২৮। এই আইনের সংক্ষিপ্ত-সার বিজ্ঞাপিত করা (Display of notice of abstracts of the Act) :
এই আইনের বিধানসমূহ এবং তদানুসারে প্রণীত বিধিমালা এবং ৩ ধারার শর্ত মোতাবেক চাকুরীর কোনো নিয়ন্ত্রণবিধি প্রণীত হইয়া থাকিলে, উহার সারমর্ম বাংলায় ও [ইংরেজিতে]* স্পষ্টাক্ষরে লিখিয়া মালিক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট দোকানের বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকাশ্য স্থানে উক্ত উদ্দেশ্যে রক্ষিত বিশেষ বোর্ডে প্রাধান্য সহকারে লটকাইয়া রাখিতে হইবে।
তবে শর্ত এই যে, নিযুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা সাত জনের কম হইলে সেই সকল দোকান বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেলায় এইই ধারা প্রযোজ্য নয়।
ধারা-২৯। মালিকের দায়-দায়িত্ব (Liability of employer) :
এই আইনের বিধানসমূহ যথাযথভাবে এবং বিশ্বস্ততার সহিত পালনের ব্যাপারে প্রত্যেক দোকানের বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন।
ধারা-৩০। চীফ ইন্সপেক্টর ও ইন্সপেক্টরগণ (Chief Inspector and inspectors) :
[কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের চীফ ইন্সপেক্টর] এই ক্ষেত্রে চীফ ইন্সপেক্টর হইবেন এবং এই আইন অনুসারে প্রদত্ত চীফ ইন্সপেক্টরের ক্ষমতা ছাড়াও [বাংলাদেশ] সর্বত্র এ ক জ ন ইন্সপেক্টরের ক্ষমতাও তাহার থাকিবে এবং অন্যান্য ইন্সপেক্টরের উপর নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির ক্ষমতাও তাহার থাকিবে।
তবে শর্ত এই যে, চীফ ইন্সপেক্টর তাঁহার ক্ষমতা বা কোনো আংশিক ক্ষমতা তাহার অধীনস্থ যেই কোনো অফিসার বা অফিসারদের উপর ন্যস্ত করিতে পারিবেন।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সরকার নিজ পছন্দ মোতাবেক ইন্সপেক্টর পদে লোক নিয়োগ করিতে এবং তাহাদের স্ব-স্ব স্থানীয় সীমানা নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।
(৩) একজন ইন্সপেক্টর যেই কোনো যুক্তিসঙ্গত সময়ে যেই কোনো স্থানে প্রবেশ করিয়া এই আইনের বিধানসমূহ কার্যকরকরণের সহিত সম্পর্কযুক্ত যেই কোনো রেকর্ড, রেজিস্টার বা অন্য যেই কোনো দলিলপত্র পরীক্ষা করিতে এবং উক্ত স্থানে বা অন্যত্র যেই কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং সংশ্লিষ্ট মালিক বা দখলকারী এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তাহাকে যেই কোনো যুক্তিসঙ্গত সহায়তা প্রদানে বাধ্য থাকিবেন।
ধারা-৩১। বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা (Powers to make rules) :
(১) এই আইনে উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পূর্বাহ্নে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের শর্ত সাপেক্ষে সরকার বিধানমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
(২) পূর্বে বর্ণিত কোনো ক্ষমতা ক্ষুন্ন না করিয়া এই আইন অনুসারে নির্দিষ্ট সমস্ত বা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিধিমালা প্রণয়ন করা যাইবে।
(৩) এই ধারার অধীনে প্রণীত বিধিমালায় এই বিধানও রাখা যাইতে পারে যে , বিধিমালা অমান্য করা হইতে অনধিক একশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাইবে।
ধারা-৩২। বাতিল এবং সংরক্ষণ (Repeal and savings) :
(১) ১৯৬০ সালের দি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্শিয়াল এমপ্লয়মেন্ট (স্ট্যান্ডিং অর্ডার্স) অর্ডিন্যান্স এতদ্বারা বাতিল করা হইলো।
(২) বাতিল সত্ত্বেও কোনো কিছু করা হইয়া থাকিলে, কার্যসম্পাদন হইয়া থাকিলে,বিধিমালা প্রণীত হইয়া থাকিলে অথবা উক্ত অধ্যাদেশের অধীনে বিজ্ঞপ্তি বা অআদেশ প্রদান করা হইয়া থাকিলে, যতখানি এই আইনের বিধানসমূহের সহিত অসঙ্গতিপূর্ নহে এই আইনের অনুরূপ বিধান মোতাবেক হইয়াছিল, সম্পাদন করা হইয়াছিল, প্রণীত হইয়াছিল, গণ করা হইবে।
(৩) সাময়িকভাবে কার্যকর অন্য যেই কোনো আইনে ১৯৬০ সালের দি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্শিয়াল এমপ্লয়মেন্ট (স্ট্যান্ডিং অর্ডার্স) অর্ডিন্যান্সের উল্লেখ থাকিলে এই আইনের উল্লেখস্বরূপ ব্যাখ্যা করিতে হইবে।
Navigation
[0] Message Index
[*] Previous page
Go to full version