বাংলাদেশ অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রী

Author Topic: বাংলাদেশ অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রী  (Read 3138 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
বাংলাদেশ অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রী

(মওজুদ রাখা ও বিলি-বন্দেজ) আদেশ, ১৯৭৩

------------------------------------------------------------------
 

ধারা-১ ( সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রারম্ভ )

(১) অত্র আদেশ বাংলাদেশ অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রী (মওজুদ রাখা ও বিলি-বন্দেজ) আদেশ নামে অভিহিত হইবে ।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে ।

 

ধারা-২ (সংজ্ঞা )

কোনো কিছু বিষয় বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী না হইলে এই আইনে-

(ক) সীমান্ত এলাকা বলিতে সীমান্ত হইতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৫ মাইল এলাকাকে বুঝায়৷ কিন্তু এইরূপ এলাকার মধ্যে (অবস্থিত) জেলা সদর দফতর ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

(খ) ডিলার বলিতে অত্র আদেশে বর্ণিত কোনো ব্যক্তির কোনো অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রীর বিক্রিকে বুঝায় উহা পাইকারী হউক বা খুচরা হউক এবং তাহা কোনো ব্যক্তি বা কার্যের হউক বা না হউক ।

(গ) পরিচালক বলিতে অত্র আইনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ব্যবসায় বাণিজ্যের পরিচালককে বুঝায় এবং উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং পরিচালকের পক্ষে সবরকম বা যেকোনো কাজ করার জন্য তাহার দ্বারা লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত ।

(ঘ) আমদানিকারক বলিতে অত্র আদেশে বর্ণিত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো ব্যক্তির অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রীর আমদানিকে বুঝায়, তাহা সরকারের প্রদত্ত কোনো আমদানি লাইসেন্সের অধীনে বা অন্যভাবে বাহির হইতে আমদানি হউক এবং কোনো ক্রয় করার এজেন্ট, কোনো মালপত্রের ফরমাশদার বা কোনো উত্পাদনকারীর এজেন্টের অন্তর্ভুক্ । কিন্তু ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন আদেশ (পি, ও ৬৮/১৯৭২) বলে স্থাপিত বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন ইহার অন্তর্ভুক্ত নহে ।

(ঙ) উত্পাদন বলিতে অত্র আদেশে বর্ণিত পণ্যসামগ্রীর উত্পাদনে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তিকে বুঝায় ।

 

ধারা-৩ ( শিশু খাদ্য, রোগীর খাদ্য এবং মওজুদ ও এর সম্বন্ধযুক্ত পণ্যদ্রব্য রাখা ও বিলি-বন্দেজ )

(১) শিশু রোগীর খাদ্য ও ইহার সম্বন্ধযুক্ত পণ্যদ্রব্য আমদানিকারক, অথবা উত্পাদক, অথবা ডিলারদের বিশেষ এই সমস্ত খাদ্য ও পণ্যদ্রব্য গ্রহণের ৩০ দিনের বেশি তাহার দখলে অথবা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) শিশু, রোগীর খাদ্যের বা উহার সম্বন্ধযুক্ত পণ্য দ্রব্যের ডিলার তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে এক সঙ্গে ৭৫০ পাউণ্ড বা সীমান্ত এলাকায় ২৫ পাউণ্ডের বেশি রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা-৪ ( কাপড় এবং তুলার সুতা মওজুদ, সঞ্চয় বা গচ্ছিত এবং হস্তান্তর, বিলি )

(১) এই ব্যাপারে বিশেষভাবে পরিচালকের নিযুক্ত ডিলার ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন কতৃর্ক আমদানিকৃত কোনো কাপড় বিক্রি বা মওজুদ করিতে পারিবে না ।

(২) কোনো কাপড়ের ডিলার কাপড় গ্রহণের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে উহা রাখিতে পারিবে না ।

(৩) যদি না অন্যভাবে পরিচালক অনুমতি দেন, কোনো কাপড় উত্পাদক তাহার উত্পাদিত কাপড় উত্পাদনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(৪) কোনো কার্পাস সুতা আমদানীকারক বা উত্পাদক বা ডিলার ক্ষেত্র বিশেষে সুতা পাওয়ার বা উত্ পাদনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে উহা রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা-৫ ( সিমেন্ট মওজুদ রাখা এবং বিলি-বন্দেজ )

(১) সিমেন্টের ডিলার একসঙ্গে ১০০ টনের বেশি সিমেন্ট তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) সিমেন্টের কোনো আমদানিকারক বা উত্পাদক সিমেন্ট গ্রহণের বা উত্পাদনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে এই সমস্ত সিমেন্ট রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা-৬ ( সিগারেট মওজুদ রাখা এবং বিলি-বন্দেজ )

(১) সিগারেটের কোনো ডিলার সিগারেট গ্রহণের ১৫ দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে ঐসব সিগারেট রাখিতে পারিবে না;

(২) কোন সিগারেট উত্পাদক সিগারেট উত্পাদক সিগারেট উত্পাদনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে ঐ সমস্ত সিগারেট রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা- ৭ ( ড্রাইসেল ব্যাটারীর মওজুদ রাখা ও বিলি-বন্দেজ )

(১) ড্রাইসেল ব্যাটারীর কোনো ডিলার ১০০ ডজনের বেশি, অথবা সীমান্ত এলাকায় ১২ ডজনের বেশি ড্রাইসেল ব্যাটারী তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) ড্রাইসেল ব্যাটারীর কোনো ডিলার ড্রাইসেল ব্যাটারী গ্রহনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে ঐ সমস্ত ড্রাইসেল ব্যাটারী রাখিতে পারিবে না ।

(৩) ড্রাইসেল ব্যাটারীর কোনো আমদানিকারক বা উত্পাদক ক্ষেত্রবিশেষে তাহা গ্রহণের বা উত্পাদনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি ঐ সমস্ত ড্রাইসেল ব্যাটারী তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা -৮ (নিরাপদ) রেজর ব্লেডের মওজুদ রাখা ও বিলি-বন্দেজঃ

(১) কোনো নিরাপদ রেজর ব্লেডের ডিলার ১০০ ডজনের এবং সীমান্ত এলাকায় এক সঙ্গে/সময়ে ১২ ডজনের বেশি (নিরাপদ) রেজার ব্লেড তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) কোনো (নিরাপদ) রেজর ব্লেডের আমদানিকারক বা উত্পাদক ক্ষেত্রবিশেষে গ্রহণ বা উত্পাদনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি (নিরাপদ) রেজর ব্লেড তার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা-৯ ( লোহা ও ইস্পাতের মওজুদ রাখা ও বিলি-বন্দেজ )

(১) কোনো ঢেউ টনের ডিলার ৫০ টনের অথবা সীমান্ত এলাকায় ৫ টনের বেশি কোন ঢেউ টিন এক সময়ে তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) কোনো ঢেউ টিনের ডিলার কোনো ঢেউ টিন গ্রহণের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি ঐসব তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না  ।

(৩) কোনো লোহা এবং ইস্পাত সামগ্রীর আমদানিকারক বা উত্পাদক ক্ষেত্রবিশেষে লোহা ও ইস্পাত সামগ্রী গ্রহণের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(৪) কোনো লোহা এবং ইস্পাত সামগ্রীর ডিলার লোহা ও ইস্পাত সামগ্রী গ্রহণের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি উহা তাহার দখলে রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা-১০ ( নারিকেল তৈলের মওজুদ রাখা ও বিলি-বন্দেজ )

(১) কোনো নারিকেল তৈলের ডিলার দুইশত পঞ্চাশ পাউণ্ডের বেশি নারিকেল তৈল তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) নারিকেল তৈলের কোনো ডিলার নারিকেল তৈল গ্রহনের তারিখ হইতে ১৫ দিনের বেশি তাহা তাহার দখলে রাখিতে পারিবে না ।

(৩) নারিকেল তৈলের কোনো আমদানিকারক কোনো নারিকেল তৈল গ্রহণের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের তাহা তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা-১১ ( কাপড় ধোয়ার সাবান এবং গোসলের (টয়লেট) সাবানের মওজুদ/রাখা ও বিলি-বন্দেজ )

(১) কাপড় ধোয়ার সাবান অথবা গোসলের সাবানের ডিলার এককালীন ৫০ ডজনের বেশি কাপড় ধোয়ার সাবান অথবা গোসলের সাবান তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) কাপড় ধোয়ার সাবান অথবা গোসলের সাবানের কোনো ডিলার কাপ ধোয়ার সাবান অথবা গোসলের সাবান গ্রহণের তারিখ হতে ২৫ দিনের বেশি তাহা তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(৩) কাপড় ধোয়ার সাবান অথবা গোসলের সাবানের উত্পাদক কাপড় ধোয়ার সাবান অথবা গোসলের সাবান উত্পাদনের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহা দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা-১২ ( সোডা ছাই-এর মওজুদ/রাখা ও বিলি-বন্দেজ )

(১) সোডা ছাই-এর কোনো ডিলার এককালীন তিনশত পাউন্ডের বেশি তাহা তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) সোডা ছাই-এর কোনো ডিলার সোডা ছাই গ্রহনের তারিখ হইতে তাহা পনের দিনের বেশি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(৩) সোডা ছাই-এর কোনো আমদানিকারক কোনো সোডা ছাই গ্রহণের তারিখ হইতে ৩০ দিনের বেশি তাহা তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা -১৩ ( বাইসাইকেলের টায়ার এবং টিউব এবং যন্ত্রচালিত যানবাহনের মওজুদ, সঞ্চয় রাখা ও বিলি-বন্দেজ )

(১) বাইসাইকেলের টায়ার এবং টিউব এবং যন্ত্রচালিত যানবাহনের কোনো ডিলার এককালীন দুইশত সেটের বেশি কোনো সাইকেলের টায়ার এবং টিউব অথবা এককালীন দুইশত সেটের বেশি যন্ত্রচালিত যানবানের টায়ার ও টিউব তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

(২) সাইকেলের টায়ার এবং টিউব অথবা যন্ত্রচালিত যানবাহনের কোনো আমদানিকারক উত্পাদক বা ডিলার কোনো টায়ার এবং টিউব ক্ষেত্রবিশেষ গ্রহণ বা উত্পাদনের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের বেশি তাহা তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবে না ।

 

ধারা-১৪ ( আমদানিকারক, উত্পাদক বা ডিলারের প্রদেয় বিবরণী )

অত্র আদেশে বর্ণিত অত্যাবশ্যক পণ্যের আমদানিকারক উত্পাদক বা ডিলারকে প্রত্যেক সপ্তাহ শেষে অত্র আদেশে দেওয়া ফরমে পরিচালকের সমীপে এক বিবরণী প্রদান করিতে হইবে ।

 

ধারা-১৫ (তল্লাশি বা পরিদর্শন ইত্যাদির ক্ষমতা )

পরিচালকের অত্র আদেশ প্রতিপালনের উদ্দেশ্যঃ

(ক) অত্র আদেশে বর্ণিত অত্যাবশ্যক পণ্যের কোনো আমদানিকারক উত্পাদক ও ডিলারকে তাহার ব্যবসায়ের ব্যাপার পরিচালক যেভাবে উল্লেখ করিবেন সেইভাবে তথ্য প্রদানের নিমিত্তে তলব করিতে পারিবেন ।

(খ) অত্র আদেশে বর্ণিত অত্যাবশ্যক পণ্যের কোনো আমদানিকারক, উত্পাদক ও ডিলার তাহার ব্যবসা সম্পর্কিত কোনো বই বা অন্য নথি বা দলিলপত্র পরিদর্শনন করিতে বা পরিদর্শন করাইতে পারিবেন ।

(গ) অত্র আদেশে বর্ণিত অত্যাবশ্যক পণ্যের বা ইহার কোনো নথি সম্পর্কে অত্র আদেশ লংঘন হইয়াছে বা হইবে মর্মে যদি বিশ্বাসের কারণ থাকে সেইক্ষেত্রে কোনো বাড়ি, যানবাহন বা জাহাজে প্রবেশ এবং তল্লাশির জন্য কতৃর্ত্ব প্রদান করিতে বা অধিকারে (দখলে) আনিতে বা কোনো ব্যক্তিকে আটক করিতে বা অধিকার (দখলে) আনিতে বা কোনো ব্যক্তিকে আটক করিতে বা অধিকার (দখলে) আনার বা কতৃর্ত্ব প্রদান করিতে পারিবেন ।

 

ধারা-১৬ ( অব্যাহতি দানের ক্ষমতা )

সরকার অফিসিয়াল গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে অত্র আদেশে বর্ণিত অত্যাবশ্যক পণ্যের কোনো আমদানিকারক বা উত্পাদক বা ডিলারকে অত্র আদেশের এই সমস্ত বিধান হইতে এবং বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি দিতে পারিবেন ।

 

ধারা- ১৭ ( বাজেয়াফতরকরণ )

কোনো আদালত যেই সমস্ত শাস্তি দিতে পারেন উহার কোনো হানি না করিয়া অত্র আদেশের কোনো বিধান ভঙ্গের অপরাধের জন্য যেই সম্পত্তির সম্পর্কে বিধান লংঘন করা হইয়াছে তাহা সরকারের বাজেয়াফত করিবেন ।