Faculty of Humanities and Social Science > Law
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ [১৯৯০ সনের ২&
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা -৪১ (প্রকাশ্য স্থান ইত্যাদিতে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষমতা )
যদি ধারা ৩৬-এ উল্লেখিত কোনো কর্মকর্তার এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো প্রকাশ্য স্থানে বা কোনো চলমান যানবাহনে-
(ক) এই আইনের পরিপন্থী কোনো মাদকদ্রব্য বা বাজেয়াফতযোগ্য কোনো বস্তু বা এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ প্রমাণের সহায়ক কোনো দলিল-দস্তাবেজ রক্ষিত আছে, তাহা হইলে, তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত মাদকদ্রব্য বস্তু বা দলিল তল্লাশি করিয়া আটক করিতে পারিবেন;
(খ) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনকারী বা সংঘটনে উদ্যত কোনো ব্যক্তি আছেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি তাহাকে আটক করিয়া তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং তাহার নিকট দফা (ক)-এ উল্লেখিত মাদকদ্রব্য বা বস্তু বা দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া গেলে তাহাকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন ।
ধারা -৪২ ( তল্লাশি ইত্যাদির পদ্ধতি )
এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে এই আইনের অধীন জারিকৃত সকল পরোয়ানা এবং তল্লাশী, গ্রেফতার ও আটকের ব্যাপারে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898)-এর বিধান অনুসরণ করা হইবে ।
ধারা-৪৩ ( পারস্পরিক সহযোগিতায় বাধ্যবাধকতা )
এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ব্যাপারে অনুরুদ্ধ হইলে ধারা ৩৬-এ উল্লেখিত কর্মকর্তাগণ পরস্পরকে সর্ব প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করিতে বাধ্য থাকিবেন ।
ধারা-৪৪ ( মামলার তদন্ত হস্তান্তর )
এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের তদন্তকালীন সময়ে যদি মহাপরিচালক লিখিতভাবে অনুরোধ জানান, তাহা হইলে তদন্তকারী কতৃ॔পক্ষ মহাপরিচালক কতৃ॔ক নিদি॔ষ্টকৃত কোন কম॔কতা॔র নিকট তদন্তকায॔ হস্তান্তর করিবেন এবং যে কম॔কতা॔র নিকট উক্ত তদন্তকায॔ হস্তান্তর করা হইবে তিনি প্রয়োজনবোধে শুরু হইতে বা যে পযা॔য়ে তদন্তকায॔ হস্তান্তর হইয়াছে সে পযা॔য়ে হইতে তদন্তকায॔ পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
ধারা -৪৫ ( গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও আটককৃত মালামাল সম্পর্কে বিধান )
(১) ধারা ৪০-এর অধীন জারিকৃত কোনো পরোয়ানার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে বা কোনো বস্তু আটক করা হইলে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে এবং আটককৃত বস্তুটিকে অনতিবিলম্বে পরোয়ানা প্রদানকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে ।
(২) মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কোনো কর্মকর্তা ধারা ৩৬ এবং ৪১-এর অধীন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিলে বা কোনো বস্তু আটক করিলে তিনি অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে বা আটক করিলে তিনি অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে বা আটককৃত বস্তুটিকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কর্তা অথবা ধারা ৩৯-এর অধীন থানার ভারপ্রাপ্ত নিকটস্থ কোনো কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন ।
(৩) উপধারা (১) ও (২)-এর অধীন কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে যে কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হইবে তিনি যতশীঘ্র সম্ভব, উক্ত ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে আইনানুগ যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা -৪৬ ( ব্যাংক-হিসাব ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা )
(১) যদি মহাপরিচালক বা তদধীন কোনো কর্মকর্তার এইরূপ বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের সহিত জড়িত থাকিয়া অবৈধ অর্থ ও সম্পদ সগ্রহে লিপ্ত আছেন এবং উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের বিধান অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তাহার ব্যাংক হিসাব বা আয়কর বা সম্পদ কর সম্পর্কীয় রেকর্ডপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন তাহা হইলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত হিসাব বা রেকর্ডপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিবার অনুমতি প্রদানের জন্য সেশন জজের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন ।
তবে শর্ত থাকে যে, মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোনো কর্মকর্তা উক্তরূপ আবেদন করিবার পূর্বে মহাপরিচালকের নিকট হইতে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করিবেন ।
(২) উপধারা (১)-এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারীকে শুনানির সুযোগ দিয়া, সেশন জজ আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবেন এবং যদি তিনি প্রার্থীত অনুমতি যুক্তিসঙ্গত বলিয়া মনে করেন তাহা হইলে অনুমতি প্রদান করিবেন এবং উহার একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও কর কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন ।
(৩) উপধারা (২)-এর অধীন অনুমতি প্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাহার পরীক্ষা-নিরীক্ষার অগ্রগতি ফলাফল সম্পর্কে সেশন জজকে, তত্কতৃর্ক নির্র্ধারিত সময়ে অবহিত করেবন ।
ধারা-৪৭ (সম্পত্তি হস্তান্তর ইত্যাদি নিষিদ্ধ )
১) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের তদন্তকালে যদি তদন্তকারী কর্মকর্তার এই বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তির নিকট উক্ত অপরাধের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পত্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত সম্পত্তি বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর বা অন্য কোনো প্রকার লেনদেন তদন্তকার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদানের জন্য তিনি সেশন জজের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন ।
(২) উপধারা (১)-এর অধীন পেশকৃত আবেদন পর্যালোচনা করিয়া এবং আবেদনকারী ও যাহার বিরুদ্ধে আবেদন করা হইয়াছে তাহাকে শুনানির যুক্তসঙ্গত সুযোগ দিয়া, সেশন জজ আবেদনটি নিষ্পত্তি করিবেন এবং যদি তিনি প্রার্থীত আদেশ প্রদান যুক্তিসঙ্গত বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি প্রার্থীত আদেশ প্রদান করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, তিন মাসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন না হইলে সেশন জজ আবেদনকারী কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে উক্ত সময় অনূর্ধ্ব তিন মাস পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবেন ।
তবে আরও শর্ত থাকে যে, উভয় পক্ষের শুনানির পর আবেদনটির নিষ্পত্তি সাপেক্ষে বিশেষ বিশেষ কারণে কেবলমাত্র আবেদনকারীকে শুনানি প্রদান করিয়া সেশন জজ আবেদনটির ব্যাপারে সাময়িক আদেশ জারি করিতে পারিবেন ।
(৩) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের জন্য দায়েরকৃত কোনো মামলা চলাকালীন সময়ে অভিযোগকারী যদি আদালতের নিকট এই মর্মে আবেদন করেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হইলে তাহার সম্পত্তি বাজেয়াফত করিবার প্রয়োজন হইবে এবং সেই কারণে তাহার সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক, হস্তান্তর বা অন্য কোনো প্রকার লেনদেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিবার আদেশ প্রদান প্রয়োজন, তাহা হইলে আদালত উভয়পক্ষকে যুক্তসঙ্গত শুনানির সুযোগ দিয়া প্রয়োজনবোধে উক্তরূপ আদেশ প্রদান করিবেন ।
ধারা -৪৮ ( মাদকাসক্তের তালিকা )
(১) মাদকাসক্তদের চিকিত্সার প্রয়োজনে মহাপরিচালক তাহাদের জেলাওয়ারী তালিকা প্রস্তুত করিবেন ।
(২) কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তি বা তাহার তত্ত্বাবধায়ক বা অভিভাবক বা চিকিত্সক ইচ্ছা করিলে লিখিতভাবে মহাপরিচালকের নিকট তাহার নাম উপধারা (১)-এর অধীন প্রস্তুতকৃত তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ আবেদনের পরিপেক্ষিতে মহাপরিচালক তাহার নাম তালিকাভুক্ত করিতে পারিবেন ।
(৩) এই ধারার অধীন তালিকাভুক্ত মাদকাসক্তদের চিকিত্সার জন্য বোর্ড যতদূর সম্ভব যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।
ধারা-৪৯ (কতিপয় লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ )
(১) কোনো ব্যক্তি এই আইনের ধারা ২৪ ব্যতীত কোনো ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত হইলে অথবা ধারা ১৬-এর অধীন বাধ্যতামূলকভাবে চিকিত্সাধীন থাকিলে অথবা ধারা ৪৮-এর অধীন মাদকাসক্তদের দেওয়া যাইবে না এবং তাহার উক্তরূপ কোনো লাইসেন্স থাকিলে উহা বাতিল হইয়া যাইবে ।
(২) উপধারা (১)-এর অধীন কোনো ব্যক্তির লাইসেন্স বাতিল হইলে তিনি বা ক্ষেত্রমত, তত্ত্বাবধায়ক বা অভিভাবক লাইসেন্সটি বাতিল হওয়ার দিন হইতে পনের দিনের মধ্যে লাইসেন্স প্রদানকারী কর্মকর্তা বা নিকটস্থ থানায় জমা দিবেন এবং যদি লাইসেন্সটি আগ্নেয়াস্ত্রটিও তাহাসহ জমা দিতে হইবে ।
ধারা -৫০ (রাসায়নিক পরীক্ষক ও তাহার রিপোর্ট )
(১) এই আইনের প্রয়োজনে সরকার মাদকদ্রব্য বা মাদকদ্রব্যের কোনো উপাদানের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগার স্থাপন করিতে পারিবে এবং উহার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে ।
(২) এই আইনের অধীন পরিচালিত কোনো কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে কোনো বস্তুর রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন দেখা দিলে উহা উপধারা (১)-এর অধীন স্থাপিত রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিতে হইবে ।
(৩) রাসায়নিক পরীক্ষাকের স্বাক্ষরযুক্ত রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট এই আইনের অধীন কোনো তদন্ত, বিচার বা অন্য কোনো প্রকার কার্যক্রমে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে ।
(৪) এই ধারার অধীন রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে নির্র্ধারিত যেকোনো পরীক্ষাগারে এই ধারায় উল্লিখিত রাসায়ানিক পরীক্ষা করা যাইবে ।
Sultan Mahmud Sujon:
ধারা -৫১ ( সরল বিশ্বাসকৃত কাজ কার্যকরণ )
এই আইনের বা কোনো বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজের ফলে কোনা ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য সরকার, বোর্ড বা কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না ।
ধারা-৫২ ( বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কতিপয় বিষয়ের নিষ্পত্তি )
এই আইনের কোনো কিছু করিবার জন্য বিধান থাকা সত্ত্বেও যদি উহা কোনো কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক বা কি পদ্ধতিতে করা হইবে তত্সম্পর্র্কে কোনো বিধান না থাকে, তাহা হইলে উক্ত কাজ বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক এবং বিধি দ্বারা নির্র্ধারিত পদ্ধতিতে করা যাইবে ।
ধারা -৫৩ (ক্ষমতা অর্পণ )
মহাপরিচালক এই আইনের অধীন তাহার কোনো ক্ষমতা বা দায়ত্বি প্রয়োজনবোধে, লিখিত আদেশ দ্বারা, তাহার অধঃস্তন যেকোনো কর্মকর্তাকে অর্পন করিতে পারেন ।
ধারা -৫৪ (ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির দাবি অগ্রহণযোগ্য )
ধারা ২৭ বা ২৮-এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের ফলে কোনো লাইসেন্স, পারমিট বা পাশধারী ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি তজ্জন্য অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করিতে পারিবেন না বা তত্কতৃর্ক প্রদত্ত কোনো ফী ফেরত চাহিতে পারিবেন না ।
ধারা-৫৫ ( বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা )
এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।
ধারা -৫৬ (রহিতকরণ ও হেফাজত )
(১) এই আইন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে Opium Act, 1857 (Ben. Act XII of 1857), Opium Act, 1878 (1 of 1878) Excise Act, 1909 (Ben. Act V of 1909) Dangerous drugs Act, 1930 (II of 1930) এবং Opium smoking Act, 1932 (Ben. Act X of 1932), অতঃপর উক্ত আইনগুলি বলিয়া উল্লেখিত, রহিত হইবে ।
(২) উক্ত আইনগুলি উক্তরূপে রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে--
(ক) Department of Narcotics and Liquar, অতঃপর বিলুপ্ত ডিপার্টমেন্ট বলিয়া উল্লেখিত, বিলুপ্ত হইবে;
(খ) বিলুপ্ত ডিপার্টমেন্টের সমস্ত সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কতৃর্ত্ব ও সন্নিবদ্ধ এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অধিদফতরে হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইবে;
(গ) বিলুপ্ত ডিপাঠৃমেন্টের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী অধিদপ্তরে বদলী হইবেন এবং উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন এবং তাঁহারা উক্তরূপ বদলীর পূর্বে যে শর্তে চাকুরীতে ছিলেন; সরকার কর্তৃক যথাযথভাবে পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত সেই একই শর্তে উহার অধীনে চাকুরীতে থাকিবেন;
(ঘ) উক্ত আইনগুলির অধীন প্রণীত সমস্ত বিধি, প্রদত্ত সকল আদেশ, জারিকৃত সমস্ত প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ এবং মঞ্জুরীকৃত সমস্ত লাইসেন্স, পারমিট, পাস ও অনুমতি, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জ্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবত থাকিবে এবং এই আইনের অধীন প্রণীত, প্রদত্ত জারিকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
(ঙ) বিলুপ্ত ডিপার্টমেন্ট কতৃর্ক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বা মোকদ্দমা অধিদফতর কর্র্র্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বা মোকদ্দমা বলিয়া গণ্য হইবে ।
(৩) উক্ত আইনগুলির কোন একটির দ্বারা বা উহার অধীন আরোপিত কোন কর, শুল্ক বা ফী বা অন্য কোন পাওনা, এই আইন প্রবত॔নের অব্যবহিত পূর্বে অনাদায়ী থাকিলে উহা উক্ত আইন অনুযায়ী আদায় করা হইবে যেন উক্ত আইন রহিত হয় নাই ।
(৪) Excise Act, 1909 (Ben. Act V of 1909)-এর অধীন প্রণীত আবগারী শুল্ক (Excise duty) সংক্রান্ত বিধিমালা এই আইনের অধীন আরোপিত মাদক শুল্ক সংক্রান্ত বিধিমালা বলিয়া গণ্য হইবে এবং মাদক শুল্ক সংক্রান্ত স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিধিমালা, প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে বহাল থাকিবে এবং উহাতে যেখানে 'আবগামী শুল্ক' শব্দগুলি রহিয়াছে, সেখানে অসংগতি না হইলে 'মাদকশুল্ক' পড়িতে হইবে ।
(৫) মাদক দ্র্ব্য নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮৯ (অধ্যাদেশ নং ১৯, ১৯৮৯) এতদ্বারা রহিত করা হইল ।
(৬) উপধারা (৫)-এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।
Sultan Mahmud Sujon:
তফসিল - ১
(ধারা ২(৬) দ্রষ্টব্য)
'ক' শ্রেণীর মাদকদ্রব্য
১৷ অফিয়াম পপি (Opium popy) বা তত্ নিঃসৃত আঁঠালো পদার্থ ।
২৷ পরিশোধিত, আপরিশোধিত, তৈয়ারকৃত যেকোনো আফিম সহযোগে তৈরয়ার যে কোন পদার্থ ।
৩৷ আফিম উদ্ভূত মাদকদ্রব্যসমূহ (Opium Derivatives); যথা: মরফিন (Morphine), কোডিন (Codeine), থিবাইন (Thebaine), নোজকাপাইন (Noscapaine), নারকটিন (Narcotine), প্যাপাভারিন (Papavarine) ইত্যাদি ।
৪৷ শতকরা ০.২-এর অধিক মরফিনযুক্ত যেকোন পদার্থ ।
৫৷ আফিমের সমধর্মী কৃত্রিম উপায়ে তৈয়ার যেকোন মাদকদ্রব্য । যথাঃ পেথিডিন মেপারডাইন (Mepardine), মেথাডন (Methadone), ডেকসট্রোমোরামাইড (Dextromoramide), ডাইহাইড্রোকোডিন (Dihydrocodine), মেপারডাইন ফেনটানাইল (Meperdine Fentanyl), পেন্টাযোকাইন (Pentazocaine), হাইড্রোমরফিন (Hydromorphine), অমনোপন (Omnopone), আলফাপ্রোডাইন (Alphaprodine), ডিমেরাল (Demeral), অস্কিকোডম (Oxycodone), এট্রোফাইন (Etrophine), লোফেন্টানাইল (Lofentanyl), আলফেন্টানাইল (Alfentanyl), আলফামিথাইল ফেন্টানাইল (Alphamethyl Fantanyl), ৩-মিথাইন ফেন্টানাইল (3-Menthyl Fentanyl), এ্যাসসিট্রোফাইন (Asscetrophine), এসিটাইল মেথাডল (Acetymethadol), আলফাসিটাইল মেথাডল (Alphacetyl methadon), বেটাপ্রোডাইন (Betaprodine) ইত্যাদি ।
৬৷ কোকাপাতা, কোকেন (Cocaine) বা কোকা উদ্ভূত সকল মাদকদ্রব্য (Cocaine Derebatives)
৭৷ শতকরা ০.১-এর অধিক কোকেনযুক্ত যেকোন পদার্থ অথবা কোকেনের যেক্ষেত্রে ক্ষার ।
৮৷ যে কোনরূপে টেট্রাহাইড্রোকেনাবিনল (Tetrahydrocanabinal) ক্যানাবিন রেসিন (Cannebis resin) বা চরস (Charas) বা হাশিশ (Hashish) ইত্যাদি ।
৯৷ এ্যাসিটিক এ্যানহাইড্রাইড (Acetic anhydride), কিংবা হিরোইন, মরফিন ও কোকেন তৈরিতে অত্যাবশ্যকীয় অন্য কোন উপাদান (যদি উহা এ্যাসিটিক, এ্যানহাইড্রাইড আফিম, মরফিন, হিরোইন কিংবা কোকেন-এর সঙ্গে একত্রে পাওয়া যায়) ।
১০৷ মেসকালাইন (Mescaline)৷
'খ' শ্রেণীর মাদকদ্রব্য
১৷ গাঁজা গাছ (Hema plant), গাজা (Herbal cannabis) ভাং গাছ অথবা গাজা বা ভাং সহযোগ প্রস্তুত যেকোন পদার্থ
২৷ নেশার উত্সরূপে ব্যবহৃত হইতে পারে (তামাক ব্যতীত) এমন অন্যান্য যেকোন উদ্ভিদ ।
৩৷ এ্যালকোহল (Alchohol) সকল প্রকার মদ, রেক্টিফাইড স্পিরিট (Rectified Spirit) রেক্টিফাইট স্পিরিট সহযোগে প্রস্তুত যেকোন ঔষধ বা তরল পদার্থ ।
৪৷ এল, এস, ডি, (L.S.D) কিংবা এল, এস, ডি, যুক্ত যেকোনো পদার্থ ।
৫৷ বারবিচুরেটস (Barbiturates) বা সমগোত্রীয় যেকোন পদার্থ ।
৬৷ এ্যামফিটামিন (Amphetamine), মিথাইল এ্যালফিটামিন (Methyl amphetamine) বা এ্যামফিটামিন যুক্ত যেকোনো বস্তু ।
৭৷ ফেনসাইকিডাইন (Phencykidine), সাইলো সাইবিন (psilocybin) নিউকোকোডাইন (Nicocodine) বা এইগুলি যুক্ত যেকোনো বস্তু ।
৮৷ মেথাকোয়ালন (methaqualone) বা মেথাকোয়ালন যুক্ত যেকোন বস্তু ।
'গ' শ্রেণীর মাদকদ্রব্য
১। তাড়ী, পচুই ইত্যাদি ।
২। ডিনেচাড স্পিরিট (Denatured Spirit) বা মেথিলেটেড স্পিরিট ।
৩। ক্লোরাডায়াজিপস্কাইড (Chlordiazcpoxide), ডায়াজিপাম (Diazepam), অস্কাজিপাম (Oxazepam) লোরা জিপাম (Lorazepam) ফ্লুরাজিপাম, (Flurazepam), ক্লোরোজিপেট (Clorozepate), নাইট্রাজিপাম (Nitrazepam), ট্রায়াজোলাম (Triazolam), টেমাজিপাম (Temazepam) ইত্যাদি ।
৪। 'খ' শ্রেণীতে উল্লেখিত হয় নাই এমন যেকোন সিডেটিভ, ট্রাংকুইলাজার বা হিপানোটিক ঔষধ ।
৫। 'ক' বা 'খ' শ্রেণীতে উল্লেখিত হয় নাই এমন যেকোন স্টিমুল্যান্টস বা ডিপ্লেজ্যান্ট ঔষধ ।
তফসিল -২
(ধারা ১৮ দ্রষ্টব্য)
মাদক শুল্ক আরোপ দ্রব্যাদির বিবরণ
মাদক শুল্কে হার
১। দেশী মদ
(ক) চা বাগান ব্যতীত দেশের অন্যান্য সকল এলাকার জন্য প্রতি এল.পি.জি. - টাকা ৩০০.০০
(খ) চা বাগান এলাকার জন্য প্রতি এল.পি.জি. - টাকা ১৫০.০০
(২) মিথাইল এ্যালকোহল প্রতি এল.পি.জি. - টাকা ২২৫.০০
(৩) রেকটিফাইড স্পিরিট
(ক) Bangladesh Homeophatic প্রতি এল.পি.জি. - টাকা ৫০.০০
Practitioners Ordinance, 1983 (XLI of 1983)-এর অধীন রেজিস্ট্রিকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সকের সর্বোচ্চ ৮ লন্ডন প্রুপ গ্যালন ।
(খ) অন্যান্য প্রতি এল.পি.জি. - টাকা ২২৫.০০
(৪) বাংলাদেশে প্রস্তুত বিলাতি মদ প্রতি এল.পি.জি. - টাকা ৭৫০.০০
(৫) ডিনেচার্ড স্পিরিট প্রতি বাল্ক গ্যালন - টাকা ৫০.০০
sazzadte:
i thing high penalty must me at least 10 years kept in prison.
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version