Educational > You need to know
শল্য চিকিত্সা / সার্জারী
Sultan Mahmud Sujon:
শল্য চিকিত্সা
যে সকল রোগ ঔষধের মাধ্যমে সারানো সম্ভব নয় সে সকল রোগের চিকিত্সার ক্ষেত্রে আমরা শল্য চিকিত্সা বা অপারেশনের ওপর নির্ভর করি৷ শরীরের কোনো অংশ যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কেটে যে চিকিত্সা দেওয়া হয় সেটাই শল্য চিকিত্সা৷ আগেকার দিনে অপারেশন বা শল্য চিকিত্সা বললে লোকজন ভীত হয়ে পড়তো৷ কিন্তু বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির কারণে অপারেশনের বা শল্য চিকিত্সার জটিলতা অনেক খানি কমে এসেছে৷
আগে শল্য চিকিত্সা কে দুই ভাগে ভাগ করা হতো:
১.বড় ধরনের অপারেশন: যেমন-এ্যাপেনডিসাইটিস, পিত্তথলির পাথর, মূত্রথলির পাথর ইত্যাদি৷
২.ছোট ধরনের অপারেশন: যেমন-ফোঁড়া কাটা কিন্তু বর্তমানে আরেকটি উন্নত ধরনের অপারেশন পদ্ধতি বের হয়েছে তা হলো মাইক্রো সার্জারি৷ এই অপারেশনের সবথেকে বড় সুবিধা হলো রক্তপাত কম হয়৷ প্রস্টেট অপারেশন, পিত্তথলির পাথর ইত্যাদি অপারেশন বর্তমানে মাইক্রো সার্জারির মাধ্যমে করা যায়৷যেগুলো সাধারনত ওষুধের মাধ্যমে সারানো সম্ভব নয় এবং অপারেশন এর মাধ্যমে চিকিত্সা করতে হয় ৷
এরকম কিছু রোগ এবং তার চিকিত্সা পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হলো :
১. এ্যাপেনডিসাইটিস
২. গ্যাংগ্রিন
৩. বার্জার রোগ
৪. পাইলস বা অর্শ রোগ
৫. হার্নিয়া
৬. হাইড্রোসিল
৭. সিজারিয়ান অপারেশন
Sultan Mahmud Sujon:
অ্যাপেনডিসাইটিস
অ্যাপেনডিক্স কথার অর্থ হল উদ্বৃত্ত অংশ৷ পরিপাকতন্ত্রের একটি ছোট বাড়তি অংশ আছে, যাকে বলা হয় অ্যাপেনডিক্স৷ পেটের ডানপাশের নিচের অংশে এটির অবস্থান৷ এই বাড়তি অংশটি বের হয় ক্ষুদ্রান্ত্রের গা ঘেঁষে৷ অ্যাপেনডিক্স শরীরের কোনো উল্লেখযোগ্য উপকার করে না৷ কিন্তু এটি নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে৷ কোনো কারণে অ্যাপেনডিক্সে প্রদাহ হলে তাকে বলা হয় অ্যাপেনডিসাইটিস৷
কারণ
অ্যাপেনডিসাইটিস হওয়ার কোনো যথার্থ কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
লক্ষণ
হঠাত্ করেই এ রোগের উত্পত্তি হয়৷পেটব্যথা, জ্বর ও বমি-এ তিনিটি এ রোগের প্রধান উপসর্গ৷ পেটের ব্যথা শুরু হয় নাভির চারপাশ থেকে, তারপর ব্যথা আস্তে আস্তে সরে গিয়ে তলপেটের ডান দিকের নিচের অংশে গিয়ে স্থির হয়ে যায়৷ পেটের ডানদিকের নিচের অংশে চাপ দিলে রোগী তীব্র ব্যথা অনুভব করেন৷
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা করলে রোগ নির্ণয় সহজ হয়৷ প্রদাহের জন্য রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়৷ পুরুষদের অ্যাপেনডিসাইটিস রোগ নির্ণয় করা সহজ কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে একটু জটিল৷ কিশোরী, যুবতী অথবা মধ্যবয়সী মেয়েদের ডানদিকের ওভারি বা ডিম্বাধারে প্রদাহ এবং ডিম্ববাহী নলের প্রদাহের জন্য একই রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷ তাই মেয়েদের অ্যাপেনডিসাইটিস রোগ নির্ণয়ের সময় আলট্রাসনোগ্রাম করা দরকার হতে পারে৷
চিকিত্সা
অ্যাপেনডিসাইটিসের একমাত্র চিকিত্সা অপারেশন করে অ্যাপেনডিক্স কেটে ফেলা৷ অ্যাপেনডিক্স কেটে ফেলে দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না৷
ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷
Sultan Mahmud Sujon:
গ্যাংগ্রিন বা পচা ঘা
গ্যাংগ্রিন অর্থ শরীরের কোনো অংশের পচনশীল ঘা৷ এটা সাধারণত ক্লোসটিডিয়া গ্রুপের বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা ঘটে থাকে৷
gangreen.jpg
চিত্র:গ্যাংগ্রিন রোগে আক্রান্ত পা
চিত্র সুত্র-© ডি.নেট
কারণ
রক্ত আমাদের দেহের প্রতিটি অংশ বঁাচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সরবরাহ করে৷ শরীরে কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে আক্রান্ত স্থানের কোষ বা কলাগুলোর মৃতু্য ঘটে৷ আঘাতজনিত কারণে দেহের কোনো অংশের রক্তনালী ছিড়ে গেলে ঐ অংশে পচনশীল ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে৷ আবার কিছু কিছু রোগ, যেমন- ডায়ডবেটিস, বার্জার রোগ ইত্যাদিতে দেহের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে হাত পায়ে পচনশীল ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে৷ ভীর কোনো ক্ষত ময়লা মাটি, রোগজীবাণু ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হলে গ্যাস গ্যাংগ্রিন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
প্রকারভেদ
পচনশীল ক্ষতকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায় ৷
১. শুকনো গ্যাংগ্রিন
২. ভেজা গ্যাংগ্রিন
৩. গ্যাস গ্যাংগ্রিন
১. শুকনো গ্যাংগ্রিন
আক্রান্ত চামড়া শুকনো এবং কালো থাকে৷
সাধারণত ইনফেকশন থাকে না৷
খুব বেশি দুর্গন্ধ থাকে না৷
রোগের বিস্তার হয় ধীরে ধীরে ৷
ডায়বেটিস রোগীদের বেলায় বেশি দেখা যায়৷
২.ভেজা গ্যাংগ্রিন
* সূচনাতে আক্রান্ত স্থানের চামড়া লালচে এবং উষ্ঞ থাকে পরে তা ঠাণ্ডা এবং নীলাভ হয়ে যায়
* আক্রান্ত চামড়া ভিজে স্যঁাতস্যঁাতে থাকে৷
* ক্ষতস্থান থেকে বুঁদবুদ বের হতে পারে
* সাধারণত ইনফেকশন থাকে৷
* ক্ষতস্থান থেকে দুর্গন্ধ বের হবে
* রোগের বিস্তার হয় দ্রুত৷
৩. গ্যাস গ্যাংগ্রিন
* আক্রান্ত্ত স্থানের চামড়া লালচে এবং উষ্ঞ থাকে৷ চাপ দিলে ভেতর থেকে গরগরে অনুভুতি হয়৷
* ক্ষতস্থানে ইনফেকশন থাকে৷
* দুর্গন্ধ বের হয়৷
* সাধারণত যুদ্ধের সময় যে সকল বড় ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং ক্ষতস্থান কাদামাটি দিয়ে অপরিষ্কার হয়ে পড়ে তখন ক্ষতস্থান জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গ্যাস গ্যাংগ্রিন হয়৷
* দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর মৃতু্য হতে পারে৷
চিকিত্সা
চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে৷ প্রয়োজনীয় এ্যান্টিবায়েটিক চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে৷ গ্যাস গ্যাংগ্রিন হবার সম্ভাবনা থাকলে এ্যান্টিটক্সিন ইনজেকশন নিতে হবে৷ ক্ষতস্থান অপারেশনের মাধ্যমে কেটে বাদ দেবার প্রয়োজন হতে পারে৷ ডায়বেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন নিতে হবে এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷ কোন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হলে ক্ষতস্থান পরিষ্কার রাখতে হবে৷ টিটেনাস প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে৷ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷
তথ্যসূত্র :
ড্রাগ ডিরেক্টরি
DAVIDSON’S Principles and Practice of Medicine
Sultan Mahmud Sujon:
বার্জার রোগ
এটি রক্তনালীর একটা রোগ৷ রক্ত আমাদের দেহের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বয়ে নিয়ে যায়৷ বার্জার রোগের ফলে রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায়৷ ফলে শরীরের ওই অংশের প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ হয় না৷ রোগ মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেলে রক্ত সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং পচনশীল ক্ষত হয়৷
berger.jpg
কাদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশী
* যারা অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপায়ী
* পায়ের যত্নে সচেতনতার অভাব
* যারা সবসময়ে খালি পায়ে চলাফেরা করে থাকেন
* যাদের বয়স সাধারণত ৩০-৪০ বছরের মধ্যে
* অধূমপায়ীদের সাধারণত বার্জার রোগ হয় না৷ তবে কখনো কখনো অধূমপায়ীদের এরোগ হয়ে থাকে৷ সেক্ষেত্রে রোগী নিজে ধূমপান না করলেও রোগীর আশেপাশের লোকজন ধূমপান করায় সে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার৷
রোগের ক্রমবিকাশ
বার্জার রোগের প্রকাশ ঘটে অত্যন্ত ধীর প্রক্রিয়ায়৷ উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে তীব্রতর হতে থাকে৷ প্রাথমিক অবস্থায় অনেকক্ষণ হাটার পর হঁাটুর পিছনের পেশীগুলোতে ব্যথা হয়৷ হঁাটার সময় শরীরের যেহেতু পরিশ্রম বেশি হয় তাই তখন শরীরে বাড়তি রক্ত সরবরাহের দরকার হয়৷ সরু হয়ে যাওয়া রক্তনালী চাহিদা অনুযায়ী রক্ত সরবরাহ করতে পারে না৷ রোগ যত বাড়তে থাকে রোগীর চলাফেরাও ততো কমতে থাকে৷ তখন রোগী ব্যথা কমানোর জন্য আগের তুলনায় বেশি বিশ্রাম গ্রহণ করে৷ ক্রমে ব্যথা বাড়তে থাকে এবং পরে বিশ্রামরত অবস্থাতেও ব্যথা হয়৷ কখনো কখনো পায়ের বুড়ো আঙুলের বা অন্য কোনো আঙুলের মাথা কালো হয়ে যায়৷ এটা মূলত পচনশীল ক্ষত৷ রক্ত সরবরাহের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে এটা ঘটে৷
উপসর্গ
ব্যথা : প্রাথমিক অবস্থায় অনেকক্ষণ হঁাটার পর হঁাটুর পিছনের পেশীগুলোতে ব্যথা হয়৷ কিছু সময় বিশ্রাম নিলে ব্যথা চলে যায়৷ক্রমে ব্যথা বাড়তে থাকে এবং পরে বিশ্রামরত অবস্থাতেও ব্যথা হয়৷ রোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে এমনটি ঘটে৷
ক্ষত: কখনো কখনো পায়ের বুড়ো আঙুলের বা অন্য কোন আঙুলের মাথা কালো হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়৷ রক্ত সরবরহের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে এটা ঘটে৷এই সকল স্থানের বোধ শক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়৷
চিত্র:বাজাᐂর রোগে আক্রান্ত পা
চিত্র সুত্র-© ডি.নেট
পরীক্ষা নিরীক্ষা
* পায়ের বিভিন্ন স্থানের নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করা
* বার্জার পরীক্ষা৷
চিকিত্সা
* রোগীকে ধূমপান সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে৷
* পায়ের যত্ন নিতে হবে৷
* খালি পায়ে হঁাটা যাবে না৷
* খোলামেলা আরামের জুতা পরতে হবে৷
* মোজা সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে৷
* খুব সাবধানে নোখ কাটতে হবে৷ পায়ের রঙের কোনো পরিবর্তন দেখলে চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে৷
* পানি দিয়ে পরিষ্কার করে পা ধুতে হবে৷
* সার্জারির ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷
ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷
তথ্যসূত্র :
ড্রাগ ডিরেক্টরি
Sultan Mahmud Sujon:
পাইলস
পাইলস অতিপরিচিত একটি রোগ, যা অর্শ্ব নামেও পরিচিত৷
কাদের বেশি হয়
এটাকে বলা হয় সভ্যতার রোগ৷ অর্থাত্ এ রোগটি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শহুরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত লোকের মাঝেই বেশি দেখা যায়৷ তার প্রধান কারণ, তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি- যেমন কম পানি, কম শাকসবজি, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং সময়মতো মলত্যাগ না করা৷ ওপরে উল্লেখিত জীবনযাপনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এবং মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দিতে হয়৷ ফলে মলদ্বারের চারদিকে অবস্থিত রক্তনালী ও মাংসপিণ্ড ফুলে গিয়ে পাইলস সৃষ্টি করে৷ গর্ভাবস্থায় এ রোগের প্রকোপ বাড়ে৷
লক্ষণ
পায়খানার সময় বিশেষ করে কষা পায়খানার সময় পাইলসের রক্তনালী ছিঁড়ে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়৷ পায়খানার সময় ব্যথামুক্ত, টাটকা রক্তক্ষরণই পাইলসের প্রধান ও প্রাথমিক লক্ষণ৷ তবে ধীরে ধীরে চিকিত্সার অভাবে এ রোগ জটিল আকার ধারণ করে ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷ যেমন-
ক. পাইলস মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসা,
খ. বের হওয়ার পর ভেতরে না প্রবেশ করা,
গ. ব্যথা ও ইনফেকশন দেখা দেয়া ইত্যাদি৷
চিকিত্সা
উপসর্গ বা জটিলতা দেখা দিলে চিকিত্সা জরুরি৷
প্রথমিক পর্যায় অর্থাত্ শুধু শক্ত পায়খানার সময় ব্যথামুক্ত রক্তক্ষরণ হলে
* পায়খানা নরম ও নিয়মিত রাখুন৷
* প্রয়োজন হলে ইসুবগুলের ভুষি বা লেকজেটিভ খান৷
* প্রচুর পানি ও শাকসবজি খান, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন৷
* নিয়মিত মল ত্যাগ করুন৷
জটিল আকার ধারণ করলে অর্থাত্ পাইলস বেরিয়ে আসলে এবং উপরের চিকিত্সা যদি কাজ না করে তবে -
* ইনজেকশন
* ব্যান্ড লাইগেশন
* অপারেশন ইত্যাদি চিকিত্সা গ্রহণ করতে হবে৷
জটিল পাইলসের ক্ষেত্রে ব্যান্ড লাইগেশন ও ইনজেকশন একটি কার্যকর সফল চিকিত্সা পদ্ধতি৷ এটা ব্যথামুক্ত এবং রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না৷
উপদেশ
পাইলস রোগের রোগীরা সবচেয়ে বেশি অপচিকিত্সা বা ভুল চিকিত্সার শিকার হন৷ কারণ বেশিরভাগ রোগী হাতুড়ে চিকিত্সকের দ্বারা এসিড জাতীয় অত্যন্ত ক্ষতিকর জিনিস দিয়ে চিকিত্সা করে থাকেন৷ যার ফলে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা নিয়ে রোগীরা চিকিত্সকের দ্বারস্থ হন৷ যেমন :
* পায়খানার রাস্তায় ঘা হওয়া
* মলদ্বার চিকন হয়ে যাওয়ার ফলে মলত্যাগে প্রচণ্ড ব্যথা হয়
* মলদ্বারে ক্যান্সার হতে পারে
* মলদ্বারের ক্যান্সারকে পাইলস মনে করে ভুল চিকিত্সা করা ইত্যাদি৷
অতএব পাইলস সন্দেহ হলে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের শরণাপন্ন হোন ও জটিলতা কমান৷
ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version