Faculty of Allied Health Sciences > Pharmacy

এইচপিভি (HPV) সংক্রমণ ও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা

(1/1)

farjana aovi:
HPV বা হিউম্যান পেপিলোমা নামক এ ভাইরাসটি যৌন বাহিত রোগের একটি অন্যতম প্রধান কারণ। শতকরা ৮০ জন মহিলা তাদের জীবদ্দশার যেকোন সময় এ ভাইরাসটি দিয়ে সংক্রমিত হতে পারে। বেশীর ভাগ  ক্ষেত্রে এই ভাইরাস জনিত সংক্রমন আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। তবে অল্প কিছু ক্ষেত্রে এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কোষগুলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে ক্যান্সারে পরিনত হয়।  জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী  টিকা এই হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জরায়ুকে রক্ষা করে।
প্রায় ৭০ ধরনের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে HPV-16 ও HPV-18 এই দুটি টাইপকে প্রায়  দুই-তৃত্বীয়াংশ জরায়ুর ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয়। এদের প্রতিরোধে দুই ধরনের টিকা FDA (U.S. Food and Drug  Administration) কতৃক অনুমোদিত যা Gardasil  ও Cevarix  নামে বাজারে পাওয়া যায়। এ দুটি টিকাই hpv-16 ও hpv-18 এর সংক্রমণ  প্রতিরোধে প্রায় ১০০ ভাগ কার্যকরী এবং ভবিষ্যতে জরায়ু ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৭০ ভাগ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই টিকা HPV জনিত জেনিটাল এবং অ্যানাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১১ থেকে ১৪ বছরের যেকোন বালক-বালিকা এই টিকা নিতে পারবে। অর্থাৎ সেক্সুয়াল  এক্সপোজার বা  এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের পূর্বেই এর টিকা নিতে হয়। তবে ২৬ বছর পর্যন্ত টিকাটি নেয়া যায়। এরপর এ টিকাটি নিতে চাইলে HPV DNA টেস্ট করে দেখে নেয়া যেতে পারে ইতিপূর্বেই সে এই জীবাণুটি দ্বারা সংক্রমিত কিনা। তিনটি ডোজ-এ এই টিকা দেয়া হয়। প্রথম ডোজ-টি দেয়ার এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং ছয় মাস পর পরবর্তী ডোজ-টি দিতে হয়। এই টিকার কোন সাইড ইফেক্ট নাই। এটি দেয়ার পর বড় কোন শারীরিক সমস্যা হয় না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন-এর  স্থানে ব্যথা ও প্রদাহ, ঝিমুনি ভাব, মাথা ব্যথা বা এলার্জি-এর সমস্যা হতে পারে।

মনে রাখতে হবে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক এই টিকা অন্যান্য কারণ জনিত জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম না। তাই এ টিকা নেয়ার পরও জরায়ু ক্যান্সার সনাক্তকরণের জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট (পেপ বা ভায়া টেস্ট) নিয়মিতভাবে করে যেতে হবে।

Sabreena Chowdhury Raka:
Very informative and helpful.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version