গর্ভকালীন সমস্যা

Author Topic: গর্ভকালীন সমস্যা  (Read 77180 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2668
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: গর্ভকালীন সমস্যা
« Reply #15 on: October 22, 2011, 01:14:11 PM »
প্রসবত্তোর সেবা

সন্তান জণ্ম দেওয়াই শেষ নয়৷ সন্তান জণ্ম দেওয়ার পর দায়িত্বটা আরো একগুন বেড়ে যায়৷ সন্তান এবং নিজেকে কীভাবে সুস্থ রাখা যায় সে জন্য কি করণীয় তা জানা প্রয়োজন৷
 সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো


১. প্রসবোত্তর পরিচর্যা

মায়ের এবং শিশুর স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে প্রসূতি মায়ের বিশেষ যত্ন -

    *      সন্তান জণ্মানের পর মায়ের অন্তত ছয় ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে৷ এ সময়ে অত্যধিক রক্তস্রাব বা অন্য কোনও কষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিতে হবে৷ মায়ের ক্ষিদে থাকলে সামান্য কিছু খাবার দেওয়া যেতে পারে৷
    *      ছয় বা আট ঘণ্টা বিশ্রামের পর বাথরুমে যাওয়া, নবজাতককে বুকে নেওয়া ইত্যাদি কাজ শুরু করা উচিত৷    যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হঁাটাচলা শুরু করা উচিত তাহলে নিজেকে সুস্থ মনে হবে যেমন
    *      অসুস্থ ভাব চলে গিয়ে সদ্য মা হওয়ার সুখ অনুভূত হয়৷
    *      পায়খান বা প্রস্রাব করতে কম অসুবিধা হয়
    *      জরায়ুতে রক্ত ও অন্যান্য স্রাব জমা না থেকে সহজে বেরোতে পারে৷ ফলে জরায়ু দ্রুত ছোট হয়ে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসে৷
    *      শিরাতে রক্ত জমাট বেঁধে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবন কমে যায়৷ তবে কোনও অবস্থাতেই অন্তত ছয় সপ্তাহের আগে মায়েদের সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করা উচিত নয়৷ এ সময়ে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে৷ দিনের বেলা খাওয়ার পর অবশ্যই দু-ঘণ্টা ঘুমানো দরকার৷ এ ছাড়া কোনও ভারী জিনিস তোলা বা ঠেলা অথাবা বেশি পরিশ্রমের কাজ করা উচিত নয়৷
    *      সন্তান জণ্মানোর দিন সাধারণত হাল্কা খাবার দিলেও পরদিন থেকেই মায়েদের স্বাভাবিক খাবার েদওয়া উচিত৷ কারণ বাচ্চাকে বুকের দুধ দেওয়ার জন্য বেশি পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং প্রচুর পরিমাণ তরল পানীয় খেতে দিতে হবে৷
    *      অনেক সময় মূত্রথলিতে জমা থাকলেও প্রস্রাবের অসুবিধা হতে পারে৷ সেজন্য সন্তান জণ্ম হওয়ার ছয়-আট ঘণ্টা পর এবং তারপর প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টায় মেয়েদের নিজের চেষ্টায় প্রস্রাব করা উচিত৷ অন্যথায় মূত্রনালীতে সহজেই জীবাণু সংক্রমণ ঘটতে পারে৷ প্রয়োজনে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
    *      সন্তান জণ্ম হওয়ার পর কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা৷ পেট এবং কোমরের মাংসপেশীর শিথিলতা, জননদ্বার ও তার চারপাশের ব্যথা ইত্যাদি কারণে পায়খানা করতে অসুবিধা হতে পারে৷ তবে স্বাভাবিক খাবার ও প্রচুর পানি খেলে এবং তাড়াতাড়ি হঁাটাচলা শুরু করলে এ অসুবিধা দূর হয়৷ প্রয়োজনে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
    *      এ সময়ে শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম অত্যন্ত জরুরি৷ অত্যধিক কায়িক শ্রম অথবা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার জন্য যথেষ্ট ঘুম দরকার৷ প্রয়োজনে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
    *      সন্তান জণ্ম হওয়ার পরপরই জননদ্বার/মলদ্বার এবং তার চারপাশ পরিষ্কার সাবান পানি বা ডেটল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় বা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা৷ প্রতিবার পায়খানা/প্রস্রাবের পর একইভাবে যত্ন নেওয়া উচিত৷ জায়গাগুলো যতটা সম্ভব শুকনো রাখা এবং নিয়মিত কাপড় বা প্যাড পাল্টানো উচিত৷ এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে জননদ্বারে সেলাই দেওয়া থাকে৷ সেক্ষেত্রে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত৷ দিনে অন্তত দুবার গরম পানিতে ডেটল এসব অঙ্গ ধোয়া উচিত৷
    *      জননদ্বার সেলাই থাকলে সাধারণত পঁাচ থেকে সাত দিনের মধ্যে তা শুকিয়ে যায়৷ যতদিন পর্যন্ত ক্ষত না শুকোয় বা জরায়ু থেকে স্রাব বন্ধ না হয় ততদিন পুকুরে গোসল করা উচিত নয়৷
    *      স্তনের যত্ন বিশেষভাবে নেওয়া উচিত৷ কারণ শিশুর জন্য মায়ের দুধ আদর্শ খাবার৷ তাছাড়া শিশু দুধ ঠিকমতো না টানতে পারলে দুধ জমে স্তনে ব্যথা বা মারাত্মক ফেঁাড়া হতে পারে৷ প্রতিবার শিশুকে স্তনে দেওয়ার আগে পরিষ্কার পানি দিয়ে স্তনের বেঁাটা ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হয়৷ শিশুর খাওয়া শেষ হলে শুকনো কাপড়ে মুছে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে দিয়ে          স্তনের বেঁাটা ঢেকে রাখ দরকার৷
    *      মা যদি সুস্থ থাকেন, তবে শিশুকে মায়ের কাছেই রাখা উচিত৷ এতে মা ও শিশু দুজনেরই মানসিক ও শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সহজে তৈরি হয়৷
    *      প্রতিদিন অন্তত কিছুক্ষণ উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস করা উচিত৷ এতে জরায়ু স্বাভাবিক অবস্থানে সহজে ফিরে আসে৷
    *      সন্তান জণ্ম হওয়ার পর ছয় সপ্তাহ স্বামী সহবাস বন্ধ রাখা উচিত৷
    *      সন্তান হওয়ার পর দু থেকে চারwদন পর্যন্ত তলপেটে মাঝে মাঝে কামড়ে ধরার মতো ব্যথা   হয়৷ দুটি কারণে এ রকম হতে পারে৷ প্রথমত, জরায়ুর মধ্যে রক্ত জমে থাকলে তা বের করে দেওয়ার জন্য জরায়ুতে সংকোচন হয়৷ একাধিকবার সন্তানের জণ্ম দিয়েছেন এমন মায়েদের  সন্তান হওয়ার পর জরায়ুর অতি সংকোচনের ফলে জরায়ুতে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার জন্য ব্যথা হয়৷ উভয় ক্ষেত্রেই শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় ব্যথা সামান্য বাড়তে পারে৷ তলপেটে আলতো করে চাপ দিয়ে জরায়ুতে ম্যাসেজ করলে অনেক সময় জমে থাকা রক্ত বেরিয়ে যায়৷ প্রয়োজনে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
    *      জননদ্বার বা তার চারপাশে সন্তান জণ্মের সময় অত্যধিক চাপ পড়ায় যে আঘাত লাগে, তার জন্য কয়েকদিন ব্যথা থাকতে পারে৷ যদি ব্যথা খুব বেশি হয় বা ক্রমশ বাড়তে থাকে, তবে দ্রুত চিকিত্‌সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
    *      আমাদের দেশে সব মহিলা কমবেশি রক্তাস্বল্পতায় ভোগে৷ সন্তান জণ্মানোর পর তা হঠাত্‌ বেড়ে যেতে পারে৷ রক্তাস্বল্পতা থাকলে চিকিত্‌সকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে৷

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসুত্র-ড্রাগ ডিরেক্টরী,
নারী, ডা. সুমন চৌধুরী

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2668
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: গর্ভকালীন সমস্যা
« Reply #16 on: October 22, 2011, 01:14:42 PM »
২. প্রসবোত্তর মা ও শিশুর সাধারণ সমস্যার সমাধান
 

মায়ের সাধারণ সমস্যা বা করণীয় দুধ জমে যাবার কারণে স্তন ফুলে উঠলে আপনার করণীয়-

    *      নিয়মিতভাবে দুধ বের করে ফেলা এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে৷
    *      প্রয়োজন হলে চিপে বা পাম্প দিয়ে জমাট দুধ বের করে ফেলতে পারেন
    *      বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি মাকে জানতে হবে এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ নিতে পারেন৷


স্তনের বোঁটায় ঘা বা ফেঁটে যাওয়া

    *      স্তনের বোঁটা শুস্ক এবং পরিষ্কার রাখতে হবে৷
    *      তৈলাক্ত জিনিস ব্যবহার না করা যেমন - ভেসলিন, ক্রিম, অলিভ অয়েল ইত্যাদি৷
    *      বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি মাকে জানতে হবে
    *      আয়রন ও ক্যালসিয়াম সমৃন্ধ খাবার খেতে হবে (সবুজ শাক-সব্জি, সীম, ডিম, দুধ, মাছ, মাংস)৷
    *     প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৷

পিঠের ব্যথা, শরীরের ব্যথা, তলপেটের ব্যথায় করণীয়

    *      মাকে আশ্বস্ত করতে হবে যেন দুশ্চিন্তা না করে
    *     গরম পানিতে গোসল বা গরম সেক নিতে হবে৷
    *     ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং পাশাপাশি ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে৷
    *     যৌনীপথে ক্ষত থাকলে ডাক্তারের পরামশ নিতে হবে

প্রসোবত্তর মায়ের জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা

    *     প্রসব পরবর্তী রক্তস্রাব (যৌনীপথে অস্বাভাবিক রক্তপাত)
    *     প্রসব পরবর্তী খিঁচুনি
    *     পেরিনিয়াম (জননেন্দ্রিয়ের মধ্যবর্তী স্থান) বা সারভিক্স ছিঁড়ে যাওয়া
    *     প্রসব পরবর্তী সংক্রমণ
    *     দুর্গন্ধযুক্ত যোনিস্রাব
    *     জরায়ুর বাইরের দিকে বেরিয়ে আসা
    *     যোনিপথে মল বা প্রস্রাব বের হওয়া (ভেসিকো/রেক্টো ভেজাইনাল ফিস্টুলা)
    *     স্তনে প্রদাহ, ফেঁাড়া বা চাকা
    *     মূত্রনালীর সংক্রমণ

পরামর্শ
এ ধরনের যে কোনও সমস্যায় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে সঙ্গে যোগযোগ করতে হবে

নবজাতক শিশুর সাধারণ সমস্যা
নাভির সংক্রমণ হলে কী করবেন

পরামর্শ
ক্ষত স্থানটি দিনে ২-৩ বার বিশুদ্ধ ফুটানো পানি ঠাণ্ডা করে অথবা স্পিরিট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং খোলা রাখতে বলেত হবে৷ প্রয়োজনে শিশু ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে
নবজাতকের জণ্মগত জন্ডিস (২-৫ দিন)হলে করণীয়

মাকে আশ্বস্ত করতে হবে৷ বুকের দুধ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে, শিশুকে সকালে খালি গায়ে চোখ ও যৌনাঙ্গ ঢেকে রোদে রাখতে হবে (৩০-৬০ মি.)

প্রয়োজনে শিশু ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

শিশুকে উষ্ঞ রাখতে হবে৷

জণ্মকালীন কম ওজনের শিশু (২.৫ কে.জি) হলে করণীয়

    *      মাকে আশ্বস্ত করতে হবে৷
    *     বুকের দুধ যদি চুষে খেতে না পারলে বুকের দুধ চেপে বের করে ঘন ঘন খাওয়াতে হবে৷
    *     নিয়মিত ওজন নিতে হবে৷
    *     প্রয়োজনে শিশু ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে নবজাতক শিশুর জটিল সমস্যা
    *     জণ্মগত ত্রুটি
    *     জণ্মের সময় আঘাত পাওয়া
    *     শ্বাসকষ্ট
    *     অপরিণত শিশু
    *     বাচ্চা যদি সবসময় কান্না করে এবং খেতে না চায়
    *     বাচ্চার খিঁচুনি
    *     জণ্মের সময় জণ্ডিসে আক্রান্ত হওয়া এবং ১০ দিনের বেশী স্থায়ী হওয়া পরামর্শ িশু ডাক্তারের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

বাচ্চার জ্বর হলে করণীয়
প্রয়োজনে শিশু ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

শরীরের তাপ কমে গেলে করণীয়

    *      শিশুর শরীর উষ্ঞ বা গরম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে
    *     প্রয়োজনে শিশু ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে চোখে পুঁজ নিঃসরণ হলে করণীয়
    *     চোখ পরিস্কার রাখতে হবে৷ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনে চোখের মলম বা ড্রপ ব্যবহার করতে হবে৷
    *     প্রয়োজনে শিশু ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসুত্র-ড্রাগ ডিরেক্টরী,

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2668
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
Re: গর্ভকালীন সমস্যা
« Reply #17 on: October 22, 2011, 01:16:30 PM »
৪. প্রসবের পর ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ

  প্রসবের পর ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ

প্রসব পরবর্তী সময়ে মা ও শিশুর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠাকে নিশ্চিত করতে প্রসব পরবর্তী ভিজিট প্রয়োজন৷ মা এই সময় বুকের দুধ খাওয়ানো, টিকা দান, যৌন সম্পর্ক ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিতে পারেন৷

    * প্রসবের ৬ সপ্তাহের মধ্যে মাকে অন্তত দুবার হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে যেতে হবে৷
    * প্রথম বার যাওয়া উচিত প্রসবের প্রথম সপ্তাহের৷ প্রথম তিন দিনের মধ্যে হলে ভাল হয় (অধিকাংশ সময় প্রসব পরবর্তী জটিলতা এই তিন দিনের মধ্যেই দেখা যায়)৷
    * দ্বিতীয় বার যাওয়া উচিত প্রসবের ৬ সপ্তাহ পরে৷
     

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসুত্র-
ড্রাগ ডিরেক্টরী,
 

৫. প্রসোবত্তর বিপদজনক লক্ষণ

প্রসোবত্তর বিপদজনক লক্ষণ

    *

      জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার চেয়ে বেশি৷
    *

      রক্তস্রাব হ্রাস না পেয়ে যদি বৃদ্ধি পায় তবে
    *

      জমাট রক্ত বা গর্ভফুলের অংশ দেখা যায় বা বের হয়ে আসে৷
    *

      যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব৷
    *

      তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা অথবা ব্যথা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে৷
    *

      মারাত্মক রক্তস্বল্পতার চিহ্ন (হিমোগ্লোবিন ৭ গ্রাম %বা তারচেয়ে কম, শ্বাস কষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, ক্লান্তিভাব)
    *

      মূর্ছা, ফিট বা খিঁচুনি৷
    *

      প্রচণ্ড বুকে ব্যথা, স্তনে লালচে ভাব, বা ফুলে যাওয়া৷
    *

      সেলাইয়ের স্থানে ফোলা, লালচে হওয়া এবং সেলাইয়ের জায়গা থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হওয়া (যদি ঐ মহিলার সিজারিয়ান অপারেশন বা এপিসিওটমি হয়)
    *

      বমি এবং ডায়রিয়া - ঘন ঘন হলে৷
    *

      যোনিপথ ছিঁড়ে প্রস্রাব বা মল বের হওয়া (RVF অথবা VVF)৷
    *

      প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালা অনুভূত হওয়া৷

পরামর্শ
যদি কোনও মহিলার প্রসোত্তর কোনও একটি বিপদজনক লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া উচিত৷

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসুত্র-ড্রাগ ডিরেক্টরী,
ডা. সুমন চৌধুরী :

৬. প্রসবের পর রক্তপাত

প্রসবের পর রক্তপাত

বাচ্চা প্রসবের পর জননেন্দ্রিয় থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত (৫০০ মি.লি) হওয়া৷
প্রকার প্রাথমিক প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রক্তপাত শুরু হওয়া

সেকেন্ডারি : প্রসবের ২৪ ঘণ্টা হতে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রক্তপাত হওয়া

কারণসমূহ
১.প্রাথমিক রক্তপাতের কারণসমূহ

    * গর্ভফুলের স্থান হতে
    * জননেন্দ্রিয়ের আঘাত জনিত কারণে
    * অধিক বাচ্চা ধারণ
    * জমজ বাচ্চা
    * অধিক সময় প্রসব ব্যাথা
    * গর্ভফুল তাড়াতাড়ি বের করে আনা
    * রক্ত জমাট বাধাজনিত সমস্যা৷

২.সেকেন্ডারি

    * গর্ভফুলের অংশ বিশেষ জরায়ুতে থেকে গেলে
    * জরায়ু রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে৷

লক্ষণসমূহ

    *      জননেন্দ্রিয় থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া
    *     রোগীকে ফ্যাকাসে দেখানো
    *     জ্বর আসা
    *     রোগী শক এ চলে যেতে পারে৷

করণীয়
রোগীকে দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে৷

প্রতিরোধ
গর্ভকালীন রক্তশূন্যতা যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা৷
গর্ভকালীন নিয়মিত চেক আপে থাকা৷
হসপিটালে/ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসব করানো৷
প্রসব ব্যথা অধিক সময় ধরে হতে থাকলে অবশ্যই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীকে নিয়ে যাওয়া৷

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবেনা৷

তথ্যসূত্র :
Aids to Principles of Obstetrics and GynaecologyDr. C M Enayet