Faculty of Humanities and Social Science > Career and Development

কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ এখন গুরুত্বপূর্ণ

(1/1)

Md. Fouad Hossain Sarker:
চাকরি খুঁজছেন? চাকরি পেতে কী জানা লাগবে, সে বিষয়ে আপনার ধারণা আছে তো? ভবিষ্যতে চাকরির এমন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে, যাতে আপনার প্রচলিত দক্ষতার পাশাপাশি সফটস্কিলকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। আপনাকে দ্রুত চিন্তাভাবনা করে খুশি করতে হবে আপনার বসকে। সেই বসের হাতে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের সুযোগ। অর্থাৎ, চাকরিপ্রার্থীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, করপোরেট খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নজরদারি বাড়ছে।

এই সফট স্কিল হচ্ছে যেকোনো সমস্যা সমাধানে দক্ষতা, কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতা আর নেতৃত্বগুণ।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ থেকে চার বছর আগে চাকরির ওয়েবসাইট গ্লাসডোর ডটকমের গবেষণা দলে চাকরি শুরু করেছিলেন অ্যান্ড্রু চেম্বারলেন। তিনি তখন প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা স্ট্যাটা নিয়ে কাজ করতেন। এরপর এল আর ডট। তারপর এল পাইথন, পেস্পার্ক। চেম্বারলেন বলেন, তাঁর বাবা বাণিজ্যিক ছাপার কাজ করতেন। ৩০ বছর ধরে তিনি একই কাজ করে গেছেন। কিন্তু চেম্বারলেনকে ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। বর্তমানে গ্লাসডোরের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

চেম্বারলেনের হাতে বর্তমানে এমন এক চাকরি রয়েছে, যা ভবিষ্যতের চাকরিগুলো সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। যে চাকরি ক্রমাগত রং পরিবর্তন করে, কাজের পুরো ধরনই বদলে যায়। কর্মীকে হতে হয় গুরুতর চিন্তাশীল এবং পরিবর্তনের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয়।

এখনকার চাকরিদাতারা এমন কর্মীর খোঁজ করেন, যিনি নমনীয় হবেন। অর্থাৎ তাঁকে যে খাঁজে রাখা হবে, তিনি সে আকার ধারণ করবেন। তাঁকে ক্রমাগত শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা এবং দ্রুত সে প্রযুক্তিগুলো দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন—এমন কর্মীই চান তাঁরা। এ ধরনের কর্মী বাছাই করার ক্ষেত্রে তাই অনেক প্রতিষ্ঠান এখন অটোমেটেড সফটওয়্যার বা বট ব্যবহার করছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মীর নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান বা নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে দক্ষতা আর গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এর চেয়ে বরং কর্মীর সফটস্কিল বিশেষ বিবেচনায় ধরা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন সেন্টার অন এডুকেশনের পরিচালক অ্যান্থনি কার্নাভেল বলেন, কর্মক্ষেত্রে সব সময় একই জিনিস ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বারবার করার চেয়ে মানুষের দায়িত্ব আরও বেশি থাকে। কাজে নতুন মূল্য যোগ করে এমন কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তাই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে আকর্ষণীয় চাকরি পাওয়া গেলেও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দোষারোপ করে। বলে, সেখান থেকে শুধু প্রকৌশলী তৈরি হচ্ছে, চাকরিদাতাদের কাজে লাগে, এমন দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে না। তাই অ্যালগরিদম তৈরির পরিবর্তে অ্যালগরিদমিক চিন্তা করা বেশি যুক্তিপূর্ণ বলে মনে করেন কার্নাভেল।

Source: http://www.prothomalo.com/technology/article/1481331/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A3-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3

Navigation

[0] Message Index

Go to full version