Faculties and Departments > Faculty Forum
গরমে শিশুকে কতটা পানি পান করাবেন?
khadija kochi:
প্রচণ্ড গরমে বাচ্চারা অল্পতেই ঘেমে যায়। তাদের দুষ্টুমি আর ছোটাছুটি বেশি। ঘামের ফলে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কখনো তা আধা লিটার থেকে এক লিটারও হতে পারে। এই পানিশূন্যতা পূরণ করা জরুরি। কিন্তু পানি পানের প্রতি বাচ্চাদের আছে অদ্ভুত এক অনীহা। স্কুলব্যাগে পানির ফ্লাস্কভরা অবস্থাতেই ফেরত আসে। অনেকে আবার জুস বা কোমল পানীয় পানে যত আগ্রহী, পানি পানে ততটা নয়। যদিও এগুলো পানির অভাব পূরণ করে না।
আমাদের শরীরের ৬০ শতাংশই পানি। শিশুদের ক্ষেত্রে কোষের বাইরে (এক্সট্রা সেলুলার) তরল বেশি থাকে। তাই অল্পতেই তারা পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়।
কতটুকু পানি প্রয়োজন, তা নির্ভর করে শিশুর ওজন ও বয়সের ওপর। সাত থেকে বারো মাস বয়সী শিশুর প্রতিদিন আধা লিটার থেকে পৌনে এক লিটার, এক থেকে তিন বছরের শিশুর এক থেকে সোয়া এক লিটার, চার থেকে আট বছরের শিশুর দেড় থেকে দুই লিটার এবং নয় থেকে ষোলো বছরের শিশুর জন্য দুই থেকে আড়াই লিটার পানি প্রয়োজন। এই পরিমাণটা হলো মোট জলীয় অংশের। অর্থাৎ এটা যে কেবল পানিই হতে হবে, এমন নয়। যেমন: দুধে ৮৭ শতাংশই জলীয় অংশ, আবার নানা ধরনের ফলমূলেও আছে যথেষ্ট জলীয় অংশ। সুতরাং পানির সঙ্গে তাজা ফলমূল, সবজি ও দুধকেও হিসাবে ধরুন। কিন্তু পানির অভাব পূরণের জন্য কোল্ড ড্রিংকস বা প্যাকেটজাত জুস পান করাবেন না।
এবার জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন শিশুর পানি যথেষ্ট খাওয়া হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে বুঝবেন তার প্রস্রাব দেখে। শিশু প্রতিদিন যে পরিমাণ প্রস্রাব করত, পানিশূন্যতা হলে তার চেয়ে কম করবে। পানিশূন্যতার অন্যান্য লক্ষণ হলো অস্থিরতা, চোখ ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, জিভ শুকিয়ে যাওয়া, দ্রুত নাড়ির স্পন্দন ইত্যাদি।
ছয় মাসের পর থেকেই শিশুকে বাড়তি পানি পান করাতে হবে। এর আগ পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। এক বছর বয়সে শিশুরা সাধারণত নিজে নিজে পানি পান করতে পারে। শিশুকে রঙিন আকর্ষণীয় মগ বা গ্লাসে পানি ঢেলে ধীরে ধীরে পানি পান করতে শেখান। চুষনিযুক্ত বোতল স্বাস্থ্যসম্মত নয়। শিশুকে পানির উপকারিতা সম্পর্কে বলুন ও পানি পান করতে উৎসাহ দিন।
ডায়রিয়া, বমি বা জ্বর হলে দৈনিক চাহিদার চেয়ে বেশি পানি পান করতে হবে।
murshida:
:)
murshida:
:)
murshida:
:)
Nusrat Jahan Bristy:
Thanks...
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version