Health Tips > Health Tips
দৈনন্দিন অভ্যাসে মেরুদণ্ডের ক্ষতি
(1/1)
710001658:
হয়তো খেয়ালও করছেন না অথচ কোনো না কোনোভাবে মেরুদণ্ডে প্রভাব ফেলছেন প্রতিদিন। শরীরের কাঠামো ঠিক রাখার পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের ওপরেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই মেরুদণ্ডের সামান্য ক্ষতিও সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অজান্তে প্রতিদিনের সাধারণ কিছু কাজ মেরুদণ্ডের যে ক্ষতি করছে তার কয়েকটি উদাহরণ এখানে দেয়া হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
উঁচু হিলের জুতা: নিয়মিত উঁচু হিলের জুতা পরার কারণে মেরুদণ্ডের বাঁক সারিবদ্ধ অবস্থা থেকে সরে যেতে পারে। এতে শরীরের স্বাভাবিক গড়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বেঁকে যেতে পারে পিঠ ও নিতম্বের হাড়গুলো। তাই প্রতিদিন পরার জুতা হিসেবে বেছে নিন ‘প্ল্যাটফর্ম হিল’, ‘ফ্ল্যাটস’, আর এড়িয়ে চলুন তীক্ষ্ম হিলের জুতা।
ভারোত্তোলন ব্যায়াম: ব্যায়ামাগারে ভারি ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে তা অবশ্যই প্রশিক্ষকের তদারকিতে করা উচিত। অভ্যস্ত না হলে ভারি ওজন ওঠানো মেরুদণ্ডের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ভারি ব্যাগ বহন: ভারি ব্যাগ বহন করার সময় শরীর একদিকে কাত হয়ে থাকে কিংবা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ শরীর বাঁকা হয়ে থাকার কারণে দেখা দেয় ঘাড় ব্যথা, ক্ষতিগ্রস্ত হয় মেরুদণ্ড। তাই হাতে ঝুলিয়ে ভারি ব্যাগ বহনের সময় দুই হাতে ওজন ভাগ করে নিতে হবে, আর যতটা সম্ভব ভারি ব্যাগ বহন করা এড়িয়ে চলতে হবে।
মোবাইলে কথা বলা: এই অভ্যাস আমাদের জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। তবে এর কারণে হওয়া স্বাস্থ্যগত ক্ষতির দিকগুলো আমরা হেলায় উড়িয়ে দেই। ঘাড় সামনের দিকে নামিয়ে স্মার্ট ফোন ব্যবহার এবং মাথা একপাশে কাত করে ফোনে কথা বলা মেরুদণ্ডের ওপর চাপ ফেলে।
ভুলভাবে শোয়া: পেটের ভরে উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানো মেরুদণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই অভ্যাসের কারণে ঘাড় ও মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁকের ওপর চাপ পড়ে। ফলাফল হতে পারে ঘাড় কিংবা পিঠ ব্যথা।
ঘরোয়া কাজ: কিছু গৃহস্থালি কাজ মেরুদণ্ডের জন্য ক্ষতিকর। ঘরের কাজ না করে তো আর উপায় নেই, তাই এমনভাবে করতে হবে যাতে মেরুদণ্ডের ক্ষতি না হয়। যেমন, ঝাড়ু দেয়ার সময় বা মপ দিয়ে ঘর মোছার সময় আমরা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকি যা মেরুদণ্ডের জন্য অপকারী। আবার ভারি হাঁড়ি মাটি থেকে কোমরে ওঠানোর কারণেও মেরুদণ্ডের ক্ষতি হয়।
Navigation
[0] Message Index
Go to full version