ভাবিয়া সেন্ড চাপিও চাপিয়া ভাবিও না

Author Topic: ভাবিয়া সেন্ড চাপিও চাপিয়া ভাবিও না  (Read 2243 times)

Offline Fahmi Hasan

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 136
  • Test
    • View Profile
ইউটিউবে একবার ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। ভূমিষ্ঠ হয়েই শিশু নার্সের পকেট থেকে মুঠোফোন তুলে নেয়। গুগল ঘেঁটে, নির্দেশিকা দেখে, নিজেই নিজের আমবিলিক্যাল কর্ড কেটে ফেলে। এরপর সেলফি তোলে। কম্পিউটার চালায়। আবার জিপিএএস দেখে দেখে পথ চিনে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। আর তা দেখে মূর্ছা যান ডাক্তার।

প্রতীকী অর্থে চিন্তা করলে এই ভিডিওতে খুব অবাক হওয়ার কিছু নেই। এখন শিশুরা আশৈশব বাবা-মায়ের মুঠোফোনের ব্যবহার দেখে অভ্যস্ত। হয়তো সে থেকেই খুব অল্প বয়সে তারা প্রযুক্তির ব্যবহার শিখে নেয়। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তৈরি হয় নতুন একটা জগৎ। তবে সে জগতেরও যে কিছু শিষ্টাচার থাকে বা থাকতে পারে, তা অনেক অভিভাবকই ভুলে যান। অবশ্য বুড়ো-বড়রাও যে খুব সচেতন, তা-ও না।

ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বিষয়টা মোটামুটি সবারই জানা আছে। যে জিনিস একবার হাতের মুঠো (পড়ুন টেক্সট বক্স) থেকে বেরিয়ে গেছে, তা আর ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। আর তাই সেন্ড বোতাম চাপার আগে বারবার দেখুন, বারবার ভাবুন আর মনে রাখুন নিচের বিষয়গুলো—

১. এসএমএস পাঠানোর আগে সময় দেখে নিন। কাজের এসএমএস কাজের সময়ের মধ্যে রাখলেই ভালো। আর ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে সময়ে বুঝে এসএমএস পাঠান। তবে ঘুমের সময় কাউকেই এসএমএস করা উচিত না।
২. প্রাপ্তিস্বীকার গুরুত্বপূর্ণ। এসএমএস কিংবা ই-মেইলের উত্তর দিতে ভুলবেন না। আর কিছু না হোক, শুধু ‘ধন্যবাদ’ হলেও লিখে পাঠান।
৩. এসএমএস সব সময় সংক্ষিপ্ত ও সুনির্দিষ্ট হওয়া উচিত। ই-মেইলও তা-ই।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের শুরুটা এসএমএসের মাধ্যমে হওয়া উচিত না। আগে থেকে চেনেন, ফোনে কথা কিংবা ই-মেইলে যোগাযোগ হয়েছে, এমন কাউকে এসএমএস করতে পারেন।
৫. কোথাও মুঠোফোন চার্জ হতে দেখলে এক টানে খুলে ফেলে নিজের মুঠোফোন চার্জে দেওয়া ঠিক না। খুব প্রয়োজন হলে যার মুঠোফোনে চার্জ হচ্ছিল তাঁকে ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করুন।
৬. কর্মক্ষেত্রে বসে শুধু ভালো লাগছে বলে ওয়েব ব্রাউজ করা মোটেই যুক্তিসংগত না। সেটা বাসায় করতে পারেন।
৭. ২০১৫ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বর্ষসেরা শব্দ আদতে কোনো শব্দ ছিল না। সেটা ছিল চেহারায় আনন্দের অশ্রুর ইমোজি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগে ইমোজির ব্যবহার করার আগে ভেবে দেখুন।
৮. মিটিংয়ে ফোন বন্ধ (নিদেনপক্ষে সাইলেন্ট মোডে) রাখুন। আর জরুরি ফোন কলের আশা করলে তা জানিয়ে দিন এবং কথা বলার সময় অন্যরা বিরক্ত হবেন না, এমন কোথাও গিয়ে কথা বলুন।
৯. সহকর্মী তার কম্পিউটার বা মুঠোফোনে কী করছে, তা দেখার জন্য উঁকিঝুঁকি মোটেই কাম্য না। যদিও কর্মক্ষেত্রে কাজের বাইরে অন্য কাজ সাধারণত কেউ করে না, তবু নাক না গলানোই উচিত।

১০. যেকোনো যোগাযোগে কখনোই রুক্ষ মেজাজে কথোপকথন চালানো উচিত না। এতে আপনার ভাবমূর্তি এবং সম্পর্ক, দুটোই নষ্ট হতে পারে।
১১. ইংরেজিতে যেকোনো লিখিত যোগাযোগে সব বড় হাতের কিংবা সব ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করা ঠিক না।
১২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু পোস্ট করার আগে অডিয়েন্স, প্রাইভেসি সেটিংস, লেখার ক্ষেত্রে বানান ও ভাষা ভালো করে খতিয়ে দেখুন।
১৩. কাজের ই-মেইল ঠিকানায় ব্যক্তিগত যোগাযোগ না করাই ভালো।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, লাইফ হ্যাক
http://www.prothomalo.com/life-style/article/1544661/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A6%BE
Fahmi Hasan
Senior Administrative Officer,
Office of the Director of Students' Affairs
Daffodil International University.

Offline parvez.te

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 335
  • Nothing is impossible...
    • View Profile
Very good...
Manik Parvez