শেষ কবে আপনার চাকরির রেজুমি, সিভি বা বায়োডাটা আপডেট করেছেন মনে আছে? ক্যারিয়ার বিষয়ক ওয়েবসাইট মনস্টারের এক জরিপে দেখা যায়, মাত্র ৩৯ শতাংশ মানুষ চাকরির আবেদন করার সময়ে রেজুমি নতুন করে গুছিয়েছেন। ৮ শতাংশ তো মনেই করতে পারেন না শেষ কবে রেজুমি পাল্টেছিলেন। মনস্টারের ক্যারিয়ার এক্সপার্ট ভিকি সালেমি জানান, প্রতি ছয় থেকে বারো মাস পর পর রেজুমি আপডেট করা উচিত। সে সময়েই এমন সব তথ্য বাদ দেওয়া উচিত যেগুলো আপনার উপকারের বদলে ক্ষতিই করতে পারে। জেনে নিন এমন তথ্যগুলো-
১) নিজের ছবি
যেসব চাকরিতে চেহারার গুরুত্ব রয়েছে, সেগুলো বাদে অন্য কোথাও আবেদন করার সময়ে নিজের ছবি না দেওয়াই ভালো। এছাড়া যদি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বলে দেওয়া হয় রেজুমির সাথে ছবি দিতে হয়, তাহলেও ছবি দেবেন। নয়তো নিজের ছবি না দেওয়াই ভালো।
২) পড়াশোনার ব্যাপারে বেশি তথ্য
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাসের বছর এবং ফলাফল রেজুমিতে থাকাটাই যথেষ্ট। এর বেশি তথ্য দেওয়াটা অপ্রয়োজনীয়।
৩) অপ্রাসঙ্গিক চাকরির তথ্য
আপনার অতীতে যত কাজের অভিজ্ঞতা আছে, সবই দেওয়ার দরকার নেই রেজুমিতে। যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন, তার সাথে সংশ্লিষ্ট চাকরিগুলোর তথ্যই দিন। আপনি কোনো একটা কফি শপে কাজ করতেন, কিন্তু আইটি সেক্টরে আবেদন করার সময়ে সে অভিজ্ঞতা উল্লেখ করার কোনও দরকার নেই।
৪) টাইপো
বেখেয়ালে চোখে এড়িয়ে যাওয়া ছোটোখাটো বানান ভুল আপনার ক্যারিয়ারের সর্বনাশ করে ফেলতে পারে। রেজুমিতে টাইপো দেখলে অনেকেই তা বাতিল করে দেন। বিশেষ করে অ্যাকাউন্টিং বা ব্যাংকিং ধরণের চাকরিতে আবেদন করার সময়ে তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রেজুমি লেখার পর দুই-তিনজনকে দিয়ে চেক করিয়ে নিন যাতে কোনো ভুল না থাকে।
৫) চটকদার ফরম্যাট ও ভাষা
সহজ সরল রেজুমি সবাই পছন্দ করে। ঝলমলে রঙ, বিভিন্ন ধরণের ফন্ট এবং গ্রাফিক্স ব্যবহার করে রেজুমি সাজিয়ে তোলাটা অনেকেরই বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। এছাড়া “team player,” “outside-the-box thinker,” “self-motivated,” “go-getter,” “hardworking” and “detail oriented” এ ধরণের ভাষা ব্যবহারটাও সেকেলে হয়ে এসেছে। রেজুমি পরিষ্কার ও সহজবোধ্য রাখুন।
৬) রেফারেন্স ব্যবহার করুন
রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় দেওয়া হয় রেজুমিতে। অনেকেই রেফারেন্স দেওয়ার বদলে লিখে দেন ‘References available upon request’, অর্থাৎ প্রয়োজন হলে রেফারেন্স দেওয়া হবে। এটা লেখার কোনো দরকার নেই। রেফারেন্স দেবেন অথবা একেবারেই বাদ দেবেন।
৭) বিব্রতকর ইমেইল অ্যাড্রেস
প্রফেশনাল ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করার গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। তরুণরা অনেক সময়েই মজাদার বা চটকদার শব্দ ব্যবহার করে ইমেইল অ্যাড্রেস তৈরি করেন। কিন্তু তা রেজুমিতে না দেওয়াই ভালো। রেজুমিতে ব্যবহারের জন্য আলাদা একটা ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহারই ভালো। নিজের পুরো নাম ব্যবহার করে ইমেইল অ্যাড্রেস সেট করতে পারেন।
সুত্র: হাফিংটন পোস্ট