Faculties and Departments > Accounting – The Language of Business
একাউন্টিং এ প্রফেশনাল ডিগ্রী!
(1/1)
Tanvir Shifat:
প্রতিযোগিতার এই সময়ে কোন বিষয়ে পড়লে কর্মজীবনে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই। আর তাদের চিন্তার অবসান হতে পারে এসিসিএ, সিএটি, এফআইএ-এর মতো কোর্স। এসব কোর্স করে পেশাগত জীবনে সফলতার হার বেশি। সাধারণ শিক্ষায় অনেক খরচ এবং সময় ব্যয় করেও ক্যারিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। তবে তুলনামূলকভাবে কম খরচ এবং সময়েই ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হয় এসিসিএ, সিএটি, এফআইএ’র মতো কোর্সে।
ACCA
এসিসিএ এবং সিএটি—দৃ’টিই প্রফেশনাল কোর্স। এসিসিএ কোর্সটি সিপিএ, সিএ, সিএমএ প্রভৃতি কোর্সের সমমানের। এটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন আব অ্যাকাউন্ট্যান্টস-এর সদস্য। এই কোর্সের শিক্ষার্থী এবং সদস্যদের ৮৩টি এসিসিএ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১৭০টি দেশে ফিন্যান্স এবং অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করা হয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক ডিগ্রি, যে কারণে পুরো বিশ্বজুড়েই শিক্ষার্থীর কর্মক্ষেত্র বিদ্যমান থাকে। সিএ এবং এসিসিএ’র মধ্যে মূল পার্থক্য হলো সিএ স্থানীয় কারিকুলাম আর এসিসিএ এচ্ছে ব্রিটিশ কারিকুলাম। এসিসিএ একমাত্র কোর্স, যা যেকোনো পর্যায়ে ইংল্যান্ডসহ ১৭৩টি দেশে ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায়।
FIA
এফআইএ হচ্ছে এসিসিএ’র এন্ট্রি লেভেলের স্যুট অব কোয়ালিফিকেশনস যা থেকে শিক্ষার্থীরা পূর্বের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চমত্কার কোর্স বেছে নিতে পারে। যারা একেবারেই এন্ট্রি লেভেল থেকে শুরু করতে চায়, তাদের এফআইএ’র ইন্ট্রোডাক্টরি সার্টিফিকেট লেভেল থেকে শুরু করতে হবে। যাদের কিছুটা অ্যাকাউন্টিং ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, তারা এফআইএ’র ইন্টারমিডিয়েট সার্টিফিকেট লেভেল থেকে শুরু করতে পারে। অ্যাকাউন্টিংয়ের বেসিক যাদের শক্তিশালী কিন্তু গ্র্যাজুয়েশন নেই, তারা এফআইএ’র ডিপ্লে¬ামা লেভেল থেকে শুরু করতে পারে। যেকোনো শিক্ষার্থী ডিপ্লে¬ামা শেষ করে সরাসরি এসিসিএ’র স্কিল মডিউলে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সিএটি সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না। যেসব শিক্ষার্থী সিএটি সার্টিফিকেট নিতে চায় তাদের আগের মতোই ৯টি বিষয় সম্পন্ন করতে হবে।
CAT
এসএসসি/এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সিএটি কোর্সে ভর্তি হতে পারে। সিএটি হচ্ছে অ্যাকাউন্টিং কোয়ালিফিকেশন যেখানে অ্যাকাউন্টিংয়ের বেসিক থেকে শেখানো হয়। এটি করার পর দ্রুত এসিসিএ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। অন্যদিকে এইচএসসি বা ও লেভেল শেষে এফআইএ-তে ভর্তি হয়ে সিএটি সম্পন্ন করা যায়। আবার এ-লেভেল বা যেকোনো বিভাগ থেকে ব্যচেলর ডিগ্রি করা থাকলে সরাসরি এসিসিএ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। কারও অনার্স, মাস্টার্স, সিএ, আইসিএমএ কোয়ালিফিকেশন থাকলে ৯টি বিষয় পর্যন্ত অব্যহতি পেতে পারে। এসব কোর্স সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ৮১৪১৬০১, ০১৭২০৫৫৩২৭৪ নম্বরে ফোন করে। কোর্সের মেয়াদসহ সব তথ্যই মিলবে এসব নম্বরে।
BBA/MBA OR CAT/ACCA??
BBA/MBA পড়তে হলে এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও সর্বমোট ৬/৭ বছর সময় লাগে। খরচও রয়েছে। তবে এসএসসি/এইচএসসি’র পর ৪/৫ বছরেই এসব কোর্স করে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়া যায়, সাথে আছে অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড অ্যাকাউন্টিংয়ে অনার্স ডিগ্রি। আবার BBA/MBA করতে সময়ের সাথে সাথে খরচও বেশি। অন্যদিকে আনুমানিক চার লাখ টাকায় সিএটি/এসিসিএ সম্পন্ন করা যায়। সময়ও লাগে অনেক কম। আমাদের দেশে এই আন্তর্জাতিক প্রফেশনাল ডিগ্রি সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজ। এখানে টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
ACCA/CIT/FIA কোর্স করে অ্যাকাউন্টিং সংশ্লিষ্ট ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ উন্মুক্ত হয়। বহুজাতিক কোম্পানি বা কর্পোরেট অফিসে চিফ ফিন্যান্স অফিসার, অডিটর, আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং ফার্মে পার্টনার, ফিন্যান্স ডিরেক্টর, সিনিয়র ইন্টারনেল অডিটর, বিজনেস অ্যাডভাইজর প্রভৃতি পদে চাকরির সুযোগ মিলবে এসব কোর্স করে। তুলনামূলক বিচারে এসব কোর্স উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
[গ্লোবাল একাউন্টিং জার্নাল থেকে অনুবাদকৃত]
Navigation
[0] Message Index
Go to full version