শরীরে শর্করা কম থাকলে আরও বেশি ক্ষতি:
ওজন অনেকটাই বেড়ে গেছে বা বেড়ে যাচ্ছে? আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে অনেকটা বেঢপ লাগছে? বিশেষ করে পেটের দিকে জামাটা আঁটো হয়ে বিষফোড়ার মতো উঁকি দিচ্ছে। পছন্দের জামাটা পরতে গিয়েও আবার আলমারিতে রেখে দিতে হচ্ছে। চোঁ করে চাঁদি গরম। কিড়বিড়ে রাগের সঙ্গে ধনুক-ভাঙা পণ—আজ থেকে কম খেতে হবে।
সবার আগে কাটছাঁটের কাঁচি চালানো হয় শর্করার (কার্বোহাইড্রেট) ওপর। অনেকে ভাত, রুটি, চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেন। অনেকে এর পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দেন। অনেকে শর্করাবর্জিত শুধু প্রোটিন ও ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করেন। হয়তো দু-চার দিন এ ধরনের খাবার গ্রহণ করা যায়, দিনের পর দিন নয়। ভাবুন তো ভাত, রুটি বা কার্বোহাইড্রেট খাবারের অভাবে আয়ু কমে যাচ্ছে।
পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, শর্করা হচ্ছে শরীরে শক্তির মূল জোগানদাতা। শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ একাই স্নায়ুতন্ত্রের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। তাই মানুষের প্রতিদিনের খাবারে মোট ক্যালরির ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা থাকা উচিত। চাল ও আটাজাতীয় খাবার হলো শর্করা মূল উৎস।