Faculties and Departments > Allied Health Science
চুল ঝলমলে রাখুন শীত মৌসুমে
saima rhemu:
একেক ঋতুতে চুলে একেক সমস্যা হয়ে থাকে। গরমের সময় ঘামের জন্য চুল নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষার সময় ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার জন্য চুল নষ্ট হয়। আবার শীতের সময় বেশি শুষ্কতার কারণে চুলের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই সব ঋতুতে চুলের নিতে হয় আলাদা আলাদা বিশেষ যত্ন। এই শীতে আপনার চুলে যেন সবসময় ঝলমলে থাকে সে জন্য আজ জেনে নিন কিছু টিপস।
অন্য সময়ের তুলনায় শীতকালে আমাদের ত্বক ও চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ, শুষ্ক। সঠিকভাবে যত্ন না নিলে চুল পড়া বেড়ে যায় অনেকখানি। তাই শীতকালে চুলের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। জেনে রাখুন কিছু টিপস, যা শীতকালেও আপনার চুল রাখবে স্বাস্থ্যোজ্বল এবং সুন্দর।
চুল কাভার করুন:
. বাতাসের আর্দ্রতা থেকে চুলকে রক্ষার জন্য মাথায় স্কার্ফ বা হ্যাট ব্যবহার করুন।
. এটি আপনার চুলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে থাকবে।
. সিল্কের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুল রক্ষা করার সাথে সাথে ফ্যাশনও করা হবে।
চুল ধোয়ার নিয়ম:
. চুলে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
. আমাদের মাথার ত্বক সাধারণত শুষ্ক থাকে, গরম পানি ব্যবহারে ত্বক আরো বেশি শুষ্ক করে তোলে। . গরম পানি ব্যবহার করার পরিবর্তে গরম এবং ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।
. গরম এবং ঠাণ্ডা পানি চুলের ত্বকের ময়োশ্চারাইজ ধরে রেখে চুল পরিষ্কার করে থাকে।
শ্যাম্পু/কন্ডিশনার:
. শ্যাম্পু করার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই শীতকালে যতবার শ্যাম্পু করবেন ততবার কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।
. বিশেষ করে এই সময় ক্রিমি কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
. কন্ডিশনার হিসেবে আপনি ডিমের কসুম ব্যবহার করতে পারেন।
তেলের ব্যবহার:
. শ্যাম্পু করার আগে তেল ম্যাসাজ করুন।
নারকেল তেল, বাদাম তেল বা সরিষার তেল যেকোনো তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে ম্যসাজ করে নিন।
. তেল মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে।
. আপনি চাইলে যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার অয়েল, ব্যবহার করতে পারেন।
. নারকেল তেলের সাথে অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
. চা গাছের তেল বেশ উপকারী।
হেয়ার প্যাক:
. শীতে চুলের যত্নে নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করুন। তা যেকোনো কিছুর প্যাক হতে পারে। কলা, মধু, অ্যাডোকোডা, নিম পাতা এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।
. এটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রাখুন। কলা এবং মধু চুল ময়োশ্চারাইজ করে থাকে।
. অ্যাডোকোডাতে আছে ভিটামিন এ যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গোঁজাতে সাহায্য করে।
. নিম পাতা ত্বকের সকল প্রকার জীবাণু দূর করে চুলাকানি রোধ করে থাকে।
. শীতে কাবু হয়ে শ্যাম্পু করা বন্ধ করা যাবে না।
. সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত।
. এই সময় চুলে বেশি ময়লা হয়ে থাকে, তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা উচিত।
. ১টি ডিমের কসুম, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ কাপ পানি মিশিয়ে নিন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। ঘরোয়া কন্ডিশনার হিসেবে এটি বেশ কার্যকরী।
akhi:
Thanks for sharing
saima rhemu:
Welcome :)
Masuma Parvin:
Good information.
saima rhemu:
Thanks :)
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version