Art of Living (AoL) > Art of Living - Doers' Den

নিজেকে অযোগ্য মনে হয়?

(1/1)

Jasia.bba:
কখনও কি এমন অনুভব করেছেন যে আপনি যে অবস্থানে আছেন, সে অবস্থানের যোগ্য নন এবং আপনার বন্ধু বা সহকর্মীরা আপনাকে আদতে ধোঁকাবাজ মনে করছে? যদি এমন অনুভূতি কাজ করে থাকে, তাহলে আশঙ্কা রয়েছে আপনি ‘ইমপোস্টার সিনড্রোম’-এ ভুগছেন। টাইম ম্যাগাজিনের বরাতে জানা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনও কোন পর্যায়ে এসে, এই ধরনের অনুভূতি হয়। এরকম অনুভূতির হাত থেকে নারী, পুরুষ, শিশু কেউই রেহাই পায় না। চলুন জেনে নেই ‘ইমপোস্টার সিনড্রোম’ আদতে কী-

‘ইমপোস্টার সিনড্রোম’ হচ্ছে এমন একটি অনুভূতি, যেটিতে ভুগলে মানুষ মনে করেন, পরিশ্রম বা মেধার কারণে তিনি সফলতা অর্জন করেননি। তার মধ্যে অনেক দোষত্রুটি রয়েছে যা অন্যদের চোখ এড়িয়ে গেছে। ১৯৭৮ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সাধারণত নারীরাই এই রোগের শিকার বেশি হন।

‘ইমপোস্টার সিনড্রোম’-এ বিশেষজ্ঞ গবেষক ভ্যালেরি ইয়ং সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে এর একাধিক উপসর্গ সম্পর্কে জানিয়েছেন। উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. সব কাজে নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা এবং তাতে ৯৯ শতাংশ সফল হলেও নিজেকে ব্যর্থ মনে করা। ছোটখাট বিষয় নিয়ে নিজের কর্মদক্ষতা সম্পর্কে সন্দিহান হওয়া।

২. কোনও কাজে হাত দেওয়ার আগে সেটির খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানার প্রবল ইচ্ছা এবং সবসময় নিজের দক্ষতার প্রশংসা শুনতে আগ্রহ বোধ করা। এরা সাধারণত অফিস মিটিং বা ক্লাসরুমে কোনও প্রশ্ন করেন না। ভয় কাজ করে, যদি ওই প্রশ্ন তাকে অন্যদের সামনে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে দেয় বা সবাই তাকে বোকা মনে করেন।

৩. কোনও কাজ বা পারিবারিক বিষয়ে চেষ্টার সময়, ক্রমাগত অনুভব করা যে তিনি সে চেষ্টার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি নন।

৪. কোনও বিষয়ে সাহায্যের প্রয়োজন পড়লেও তাকে ধোঁকাবাজ বা ব্যর্থ মনে করতে পারে এমন ভয়ে সহায়তা না চাওয়া।

৫. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে হবে এমন চিন্তাধারা পোষণ করা। আর এর কোনও একটি অংশে ব্যর্থ হলে বিষণ্ণতায় ভোগা।

‘ইমপোস্টার সিনড্রোম’-থেকে বেরিয়ে আসার অন্যতম কার্যকরী ঔষধ হচ্ছে, মানসিক দৃঢ়তা। মানসিকতার মধ্যে- কোনও ব্যাপার নয় এমনটি হতেই পারে, পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক, ভুল হওয়া দোষের কিছু নয় এ বিষয়গুলো মাথায় গেঁথে নিতে হবে শুধু। আর এটি শুধু মানসিক দৃঢ়তার মাধ্যমেই করা সম্ভব।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version