Faculties and Departments > Life Science

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার সীমিত রাখার পরামর্শ

(1/1)

tnasrin:
 
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট দীর্ঘ সময় ব্যবহারে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কখনো শারীরিক বা কখনো মানসিক সমস্যা তৈরি হয় এ থেকে। কিন্তু ফেসবুক বা কোনো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট কতক্ষণ ব্যবহার করা যুক্তিসংগত?

এত দিন নির্দিষ্ট করে কোনো সময়সীমার কথা বলেননি বিশেষজ্ঞরা। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফল বলছে, দৈনিক আধা ঘণ্টার মতো সময় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহারের জন্য সীমাবদ্ধ করে রাখা ভালো। এতে একাকিত্ব ও বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গত সপ্তাহে জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪৩ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ওই গবেষণা করা হয়। তাঁদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। একটি দল সামাজিক যোগাযোগের তিন ওয়েবসাইট ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটে প্রতিদিন ১০ মিনিট করে কাটায়। তিন সপ্তাহের ওই পরীক্ষায় আরেকটি দল ইচ্ছামতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে।

গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট কম সময় ধরে ব্যবহার করেন, তাঁরা কম একাকিত্বে ভোগেন। তাঁদের বিষণ্নতা বোধ কম হয়। এ ছাড়া কোনো কিছু নজর এড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বা উদ্বেগ কমে। এ ধরনের স্বনজরদারির বিষয় থেকে সুবিধা আসতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

পিউ রিসার্চের গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট এখন মানুষের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। এর মধ্যে এক–তৃতীয়াংশ মানুষ প্রতিদিন ফেসবুকে ঢোকেন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ ও যুবকের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারের হার বেশি। তাঁদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ স্ন্যাপচ্যাট, ৭১ শতাংশ ইনস্টাগ্রাম ও ৪৫ শতাংশ টুইটার ব্যবহার করেন।

গত মে মাসে ক্লেইনার পারকিনস যে তথ্য জানিয়েছিল, তা চমকে ওঠার মতো। তাদের তথ্য অনুযায়ী, মানুষ এখন ডিজিটাল মিডিয়াতে সময় কাটাচ্ছেন বেশি। গত বছর প্রাপ্তবয়স্করা দিনে গড়ে ৫ দশমিক ৯ ঘণ্টা ফোন, ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, ২০০৮ সালে যা ২ দশমিক ৭ ঘণ্টা মাত্র। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিলোইটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এখন দিনে গড়ে ৫২ বার ফোন চেক করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা, যা গত বছর ছিল ৪৭ বার।

প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এর প্রভাব নিয়ে এখন উদ্বেগ বাড়ছে। প্রযুক্তিতে আসক্তির বিষয়টি সেন্টার ফর হিউম্যান টেকনোলজির মতো প্রতিষ্ঠানের নজরে এসেছে। এ বছরের শুরুতে শিশুদের ওপর প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে ট্রুথ অ্যাবাউট টেক নামে একটি প্রচার কর্মসূচি শুরু করে সংস্থাটি। এর আগে শিশুদের নিয়ে কাজ করা অলাভজন সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর আ কমার্শিয়াল-ফ্রি চাইল্ডহুডের পক্ষ থেকে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে মেসেঞ্জার ফর কিডস বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। তাদের দাবি, শিশুরা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারে প্রস্তুত নয়।

কয়েকটি গবেষণায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আসক্তির কারণে বিষণ্নতার উপসর্গের যোগসূত্র পাওয়া যায় বলে পেনসিলভানিয়ার গবেষকেরা দাবি করেন। তাঁরা বলেন, ফেসবুকে আসক্তিতে একাকিত্ব বাড়ে এবং কর্মস্পৃহা কমে। অতিরিক্ত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে নিজের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।

Md. Alamgir Hossan:
Informative

Raisa:
 :) :)

farjana yesmin:
 Thanks

Rumu:
Informative

Navigation

[0] Message Index

Go to full version