Health Tips > Beauty Tips

জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে

(1/1)

Mafruha Akter:
নারীর ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অনেক। পিরিয়ডের দিনগুলোতে জীবাণুমুক্ত পরিবেশ বজায় না থাকলে নানা ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস। তাই অপরিচ্ছন্নতা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষ করে জরায়ুমুখের ক্যানসার। কিশোরী বয়স থেকে তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি।

এইচপিভি নামের দুষ্ট ভাইরাস: জরায়ুমুখের ক্যানসারের পেছনে নাটের গুরু হিসেবে ধরা হয় এই ভাইরাসকে। পুরো নাম হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কোষের গঠনকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়। নানা স্তর পেরিয়ে একসময় রূপ নেয় আগ্রাসী ক্যানসারে। এইচপিভি ভাইরাস আছে এক শর বেশি ধরনের। এর মধ্যে এইচপিভি ১৬ ও ১৮ মূলত ক্যানসারের জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ দায়ী।আশার কথা, বেশির ভাগ এইচপিভি সংক্রমণ আপনাআপনি সেরে যায়। কিছু সংক্রমণ যেতে পারে ক্যানসারের দিকে।
সুরক্ষার আছে উপায়: জরায়ুমুখের ক্যানসার থেকে সুরক্ষা পাওয়ার উপায় আছে। ঝুঁকিগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। বাল্যবিবাহকে না। বেশি সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নজর দিতে হবে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে। কন্যাসন্তানের জন্য এইচপিভি টিকা। বড়দের জন্য ক্যানসার স্ক্রিনিং।

বিশেষ সময়ে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ: মাসের বিশেষ সময়টি একসময় ছিল বিব্রতকর, নানা বিড়ম্বনায় ভরা। স্কুল কামাই, কাজে বিরতি। পুরোনো ন্যাকড়ার অস্বাস্থ্যকর ব্যবহার। প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে জ্ঞানের অভাব। এখন অন্তত দু–একটা শ্রেণির নারীদের আর পুরোনো কাপড়ে নির্ভরতা নেই। স্কুল কামাই, কাজে বিরতির দরকার নেই। আধুনিক জীবাণুমুক্ত ন্যাপকিনে স্বাচ্ছন্দ্য আর স্বাস্থ্যকর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কিন্তু এর জন্য যে আর্থিক সামর্থ্যটুকু চাই, সবার তা নেই। গ্রাম ও শহরের অগণিত দরিদ্র নারীর জন্য চাই অক্ষয়কুমাররূপী একজন ‘প্যাডম্যানের’।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version