DIU Activities > Permanent Campus of DIU

Ask thyself.

(1/1)

Reza.:
পড়াশোনা নিয়ে ভাবতেছিলাম। বিভিন্ন বইয়ের এক একটি চ্যাপ্টারের শেষে বা প্রথমে প্রশ্ন দেয়া থাকে। এই চ্যাপ্টার পড়ার পর কি কি জিনিসের সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে - সেইটার লিস্ট। আমি স্টুডেন্টদের আগে প্রথমেই বিভিন্ন চ্যাপ্টারে কি কি পড়ানো হবে তার প্রশ্ন লিস্ট আকারে দিয়ে দেই। পড়ানোর পর তাদেরকে এই গুলোর সমাধান লিখে জমা দিতে হত এসাইনমেন্ট আকারে। সবাই তা জমা দিত। যদিও জানতাম সবাই হয়তো নিজে থেকে লিখে না - তারপরও। কেননা এই এসাইনমেন্ট করার ফলে সবারই একবার করে প্রিপারেশন হয়ে যাবে। একবার উল্টোটা করলাম। পড়ানোর পর তাদেরকেই বললাম এই চ্যাপ্টার থেকে কি কি প্রশ্ন হতে পারে - সেইটা লিস্ট আকারে আমাকে জমা দিতে। এইটাই একটি এস্যাইনমেন্ট। সেইবার হাতে গোনা অতি নগণ্য কয়জন প্রথমে জমা দিতে পারলো।
অনেক ভেবে দেখলাম এই প্রশ্নের লিস্টের এসাইনমেন্ট যদিও এক পাতাতেই শেষ হয়ে যায় - তার পরও পুরো চ্যাপ্টার তাকে পড়ে বুঝে তার পর প্রশ্ন বের করতে হবে।
আমরা সারাজীবন উত্তর খুঁজি। পড়াশুনার বেলায় যেমন। ঠিক তেমন বাস্তব জীবনেও। প্রশ্ন করতে হলে আগে নিজেকে পুরোটা বুঝতে হবে। আমাদের জীবনে ভেবে প্রশ্ন করার কোন সময় নাই। জীবনটাও এমন প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করাটাও এক রকম বিলাসিতা। নিউটনের মত আপেল গাছের নীচে বসে থাকার মত সময় আমাদের নাই। আমরা জীবনের উত্তর খুঁজি আর শিখি। অনেক ক্ষেত্রেই অন্যের অভিজ্ঞতা বা সমাধান আমরা জীবনে কপি করি। কেন করি - তা আমরা জানি না - জানতেও চাই না। আমাদের জীবনে প্রতিদিনই পরীক্ষা। উত্তর মুখস্থ করতেই আমাদের সময় চলে যায়। আমরা যে যেভাবে পারি পার হতে চাই। জীবন নিয়ে ভাবা আমাদের কাছে বিলাসিতা। কেউ নিজের জীবন নিয়ে এক্সপেরিমেন্টে রাজি নই। অন্যেরা এক্সপেরিমেন্ট করুক। তারাই ভাবুক। নিজেকে প্রশ্ন করুক। অন্যের সমাধান শিখে পার হওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version