Faculty of Engineering > Textile Engineering

Eyes never lies.

(1/2) > >>

Reza.:
কিভাবে অন্যজনকে ভাল ভাবে বোঝা যায়? সে কতটুকু সত্য বলতেছে? বিশেষতঃ একেবারে সামনাসামনি? সেই বোঝা যা কিনা সবাই সমান ভাবে বুঝতে পারে।
মুখের কথা শক্তিশালী। কিন্তু অনেকেই মুখের কথা বিশ্বাস করতে চায় না। মুখের কথায় অনেক কিছু বানানো যায় - আবার অনেক কিছু লুকিয়েও রাখা যায়। বাক্য বলার সময় অনেকেই কৌশলে অনেক কিছু বুঝিয়ে অন্যকে বোকা বানান - এইটা আমরা সবাই জানি। একজায়গায় পেয়েছিলাম মানুষের কথা বলার সাথে সাথে তার প্রেশার মেপে সত্য মিথ্যা যাচাই করা যায়। কেননা মিথ্যা কথা বলার সময় তার প্রেশার বেড়ে যায়।
লেখার মাধ্যমে মিথ্যা বলা খুব কঠিন। কেননা লেখনী হল স্থায়ী। তাই লেখনীর মাধ্যমে মিথ্যা বলা অনেক কঠিন।
আমার পর্যবেক্ষণ মতে - মানুষের চোখ কখনো মিথ্যা ঢেকে রাখতে দেয় না। চোখের দৃষ্টি ঝিলিক দিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে - তার ব্রেন অন্যরকম কাজে ব্যস্ত।
আমাদের চোখের সাথে আমাদের ব্রেনের সরাসরি যোগাযোগ। চোখ অনেক সংবেদনশীল। মানুষ মারা গেলে তার চোখে হঠাৎ আলো ফেলে চোখের মনির পিউপিল পরিবর্তন হয় কিনা তা দেখা হয়।
চোখের সাথে মনেরও সরাসরি যোগাযোগ। আমরা মানুষের মাঝে দেখি হাস্যজ্জল চোখ, ক্লান্ত চোখ, দুখী চোখ বা আনমনা চোখ। কখনো চোখেই প্রশ্ন ফুটে উঠে। মনের আশ্চর্যও ফুটে উঠে চোখে। ভয়, অহংকার, তাচ্ছিল্য, প্রতিহিংসা কারো না কারো চোখে আমরা দেখেছি। মায়া মমতা, বন্ধুত্ব এই গুলোও আমরা আমাদের কাছের মানুষের মাঝে দেখি।
তাই কথা বলার সময় অন্যের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা ভাল। কেননা ওখানেও অনেক তথ্য থাকে। অনেক সময় মুখে যা বলা হচ্ছে তার থেকেও বেশী। মিথ্যাবাদীরা বেশীক্ষণ সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারে না। অপরপক্ষে সত্য বলার সময় মানুষ সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। কেননা তার লুকানোর কিছু নাই।

subrata.te:
অনেক সুন্দর কথা, স্যার । প্রতিনিয়ত আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল। নিজেদের উপর অন্যের ধারণা বোঝার চেষ্টায় আমরা সর্বদাই সচেষ্ট। চোখের ভাষা বুঝে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত। শ্রোতার চোখের অভিব্যক্তি বুঝে বক্তা যেমন নিজের অবস্থান জানতে পারে তেমনি বক্তার দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করতে পারে শ্রোতার অবস্থান।

তবে চোখের ভাষা বা অভিব্যক্তির সাথে সাথে বয়সের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। কেননা ছোটবেলায় বাচ্চাদের মনের অবস্থা চোখ দেখে খুব সহজেই বোঝা যায়। তারা কী দেখে খুশি হয়? কী না পেলে কষ্ট পায়? কখন ক্ষুধা লাগে? কখন শরীর খারাপ হয়? এসব খুব সহজেই বাড়ির লোকে বুঝতে পারে। কেননা শিশু অবস্থায় বাচ্চাদের মন অনেকটাই সরল হয়। তারা কিছু লুকোতে চায় না। অন্যদিকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অঙ্গভঙ্গি থাকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নিয়ে তারা সবসময় শঙ্কিত থাকে। তাই চোখের ভাষার উপর যদি কাউকে বিচার করতে হয় তাহলে অবশ্যই পারিপার্শ্বিক অন্যান্য বিষয়, যেমন মানুষটির লিঙ্গ এবং বয়স ইত্যাদি মাথায় রাখা উচিত।

parvez.te:
Nice writing, sir.....

Kazi Rezwan Hossain:
Nice post, sir :)

Reza.:
Thank you for your comment.

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version