আমরা ধার্মিক আমরা নামাজ পড়ি, বোরকা হিজাব, পাঞ্জাবি টুপি ইসলামী শরিয়াত মেনে পোশাক পরিধান করি, ও ভুলে গেছি আমার রোযা রাখি সুযোগ ফেলে বা কেউ চাইলে দান ও করি এখন কথা হচ্ছে তার পর ও কেন এক হাজার জনের মধ্যে ৯৯৯ জন জাহান্নামী হবে, শুধু একজন জান্নাতি যার ভেতরে মহিলারা বেশী জাহান্নাম্ পুরুষরা কম। ধনীরা বেশী জাহান্নামী, গরিবরা কম......কেন? কখনও প্রশ্ন জেগেছিল মনে? এই যে আল্লাহ মুলত তার বান্দার কাছ থেকে কি চায়???
১। আল্লাহ অন্তর্যামী তুমি কততুকু আল্লাহ্র সাথে সংযুক্ত যা তুমি উপরে উপরে যতয় লেবাস ধরে থাকনা কেন আল্লাহ্ তোমার মনের উপর নির্ভর করে তোমার সাজা কিংবা পুরষ্কার প্রদান করবে। এই যেমন যেখানে ইসলামে খুব সহজ ভাবেই বলে দিয়েছে, মানুষের উপর প্রত্যেকটা বিপদ আপদ, পেরেশানি, হয়রানি পরীক্ষা সরূপ আবর্তিত হয়, যা টাকা হারানো থেকে শুরু করে আপন জনের মিত্রু পর্যন্ত সব ই হল আমার পক্ষ থেকে তাদের জন্য ঈমানের পরীক্ষা। কিন্তু আমরা আল্লাহ্ কে বিপদে আপতিত হলে কতটুকু স্মরণ করি, মনে মনে আল্লাহ্ দরবারে কতবার বলি যে আল্লাহ্ আমার এই কষ্ট, পেরেশানি , অসহ্য যন্ত্রণা অবশ্যয় আমার মঙ্গল এর জন্যই দিয়েছো। কতবার বলি??? আপনি এক্ষণই নিজেকে প্রশ্ন করুন, একবার ও কি বলি?? না বলি না। তবে আমি কিন্তু ধার্মিক বলে নিজেকে দাবি করি।
২। যেখানে ইসলামে বলা আছে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে আল্লাহ্ জন্যই ভালোবাসো এবং আল্লাহ্ জন্য ঘৃণা কর। সেখানে আমরা নিজের স্বার্থে নিজের ভাল লাগে বলেই একজন অন্য জনের সহিত মিশি এবং ভালবাসি। আর নিজের ভেতরেই হিংসা, সন্দেহ, রাগ এসব কে প্রাধন্য দিয়েই ঘৃণা করি।
বর্তমান সমাজের কঠিন আরেক টা ব্যাধি হচ্ছে তেলবাজি করার জন্য তার সাথে আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে ভালবাসার সম্পর্ক প্রদ্রশন করি কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারে আমি পশুর নাম উল্লেখ করে গালি দিতে ও দুবার ভাবি না।
৩। আমাদের সমাজের আরেক শ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা আল্লাহ্ কিছু আইন , নিয়ম কানুন মানে আবার কিছু নিয়ম কানুনের পাল্টা আইন ধার করার। যেমন কিছু দিন আগেই কেউ কেউ আমাকে বলছিলো ইসলামের নারীদের তালাক দিতে না পারার নিয়ম, তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী গ্রহণের নিয়ম, ছেলেদের বহু বিবাহের নিয়ম ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে আমার মেনে নিতে কষ্ট হয়, তাদের উদেশ্য কোরআনে সম্পূর্ণ একটা আয়াত নাজিল হয়েছে.....যার মূল অর্থ হলো "তোমাদের ভেতরে এমন অনেকে আছে যে আমার কিছু আইন বিশ্বাস করে কিছু আইন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তাদের কাছে এই সু সংবাদ পৌঁছে দাও তাদের জন্য আছে জাহান্নামের উত্তপ্তত আগুন বরাদ্ধ।
৪. আমরা যারা মুখে আর অন্তরে দুই রূপ নিয়ে চলি তারা কি চোগলখোর নয়? অবশ্যয় আল্লাহ তোমার মনের ও বাহিরের সকল ব্যাপারে অবগত।
৫। আরেক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা যে যায় বলে সত্যতা যাচায় না করেই বিশ্বাস করে আর অকারণেই সেই সকল ব্যাপার নিয়ে সবার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলে। তাদের জন্য কোরআনে আয়াত নাজিল হয়েছে। .....প্রকৃত অর্থে তারায় মূর্খ যারা লোকে যা বলে তায় বিশ্বাস করে,
আমি বলব নামাজ রোযা পর্দা দান ছদকা পাশাপাশি আর ও মৌলিক কিছু জিনিস মেনে চলো দেখবে সব দিক থেকে সবাই উপকৃত হবে
>সন্দেহ পরিহার যা শুননি যা দেখনি তা লোকের মুখে শুনে কিংবা >ধারণার বশীভূত হয়ে কারো সম্পর্কে বিরুপ ধারণা পোষণ করোনা।
>>চিৎকার চেঁচামেচি রাগ ক্রোধ মানুষের কাছে গিয়ে গিয়ে অন্যের সম্পর্কে গিয়ে কুৎসা রটনা করা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখো
>সত্যমিথ্যার পার্থক্য বুঝার ক্ষমতা অর্জন করো যার একমাত্র সহজ উপায় হল কোরআন তেলয়াত করতে হবে অর্থ সহকারে।
>জীবনের প্রত্যেক টা স্তরে ধৈর্যশীলতা পরীক্ষা দিতে হবে।
>মূর্খদের এবং কম বুঝা লোকদের সাথে তর্ক থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখো...
......... সর্ব অবস্থায় আল্লাহ্ প্রতি বিশ্বাস রাখতেইইইই হবে কারন একমাত্র আল্লাহ্ই উত্তম পয়সালা কারী।।
সামিয়া