Religion & Belief (Alor Pothay) > Allah: My belief

আল্লাহর জন্য ভালোবাসা

<< < (21/26) > >>

Md. Zakaria Khan:
 আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : পূর্ব ও পশ্চিম দিকে মুখ ফিরানোর মধ্যে নেক আমল বা সৎকাজ সীমাবদ্ধ নয়। বরং প্রকৃত সৎকর্ম পরায়ণ তারাই, যারা ঈমান আনয়ন করে আল্লাহ, আখেরাত, ফিরিশ্তা, আসমানী কিতাব ও নবীগণের প্রতি। আর আল্লাহর মহব্বতের প্রেরণার মাল-সম্পদ খরচ করে নিকটাত্মীয় ইয়াতীম, মিসকীন, অসহায় পথিক, অভাবীলোকজন এবং ক্রীতদাসদের মুক্তির জন্যে। আর তারা নামাজ কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং অঙ্গীকার পুরণ করে। আর সবর ও ধৈর্য ধারণ করে বিপদ-আপদে ও যুদ্ধের ময়দানে। তারাই প্রকৃত ঈমানদার এবং তারাই সত্যিকারের মুত্তাকী ও পরহেজগার। (সূরা আল বাকারাহ : আয়াত ১৭৭)।

Md. Zakaria Khan:

রাসূল (সা:) বলেছেন, খেজুরের এক টুকরো দান করে হলেও জাহান্নাম থেকে  আত্মরক্ষা কর। যদি সেইটুকু সামর্থ্যও না থাকে, তবে ভালো কথার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা কর।"
[বুখারী : খন্ড-১, ১৯০, খন্ড-২, ৮৯০]

Md. Zakaria Khan:
ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে ; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
সহীহ, সহীহাহ্ (৯৪৬) তিরমিযি হাদিস নং 2416

Md. Zakaria Khan:
মাসয়ালা :
১. সামর্থ থাকলে দ্বিতীয় বিয়ে করা জায়েয৷ চারজন পর্যন্ত স্ত্রী একসাথে বিবাহবন্ধনে রাখা বৈধ৷ তবে সকলের মাঝে সমতা রক্ষা আবশ্যক। (সূরা নিসা-৩)
২. বিধবা মহিলাকে বিয়ে করা নবীর সুন্নত। আয়েশা রা. ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল স্ত্রী বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত ছিলেন। কুরআনে এ ধরণের মহিলাকে বিয়ে, সহযোগিতা, সদাচারণ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে৷ অভিভাবককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এমন নারীকে পুনরায় বিয়ে করতে বাঁধা না দেয়৷ (সূরা বাকারা-২৩৪, সূরা নিসা: ১৯)
৩. আন্দোলন, যুদ্ধ-বিগ্রহ বা কোন বেদনার বিষয় সামনে আসার কারণে স্ত্রীসঙ্গ থেকে দূরে থাকা ইসলামের শিক্ষা না। বরং এরূপ করা কাফেরদের কাজ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধ থেকে ফিরে মসজিদে দু রাকাত নামায পড়তেন। তারপর ঘরে যেতেন।
আওতাসের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে তিনদিনের জন্য নিকাহে মুতআর অনুমতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিদায় হজ্বের সময় তিনি মুতআ বিয়েকে চিরদিনের জন্য হারাম ঘোষণা করেন৷ (সহীহ মুসলিম- ১৪০৫)
৪. দ্বিতীয় বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি জরুরি না। তবে সাংসারিক মনোমালিন্য যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রথম স্ত্রীকে জানানো উচিৎ। (ফতোয়া লাজনাতিত দায়ীমাহ লিল বুহুসিল ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা- ১৯/৫৩)
৫. শরঈভাবে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার জন্য দুজন সাক্ষীর সামনে বিয়ের উপযুক্ত স্বামী স্ত্রীর প্রস্তাব সম্মতিই যথেষ্ট। মোহরের উল্লেখ না থাকলেও বিয়ে হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মেয়ের সমপর্যায়ের অন্যান্য মহিলাদের মোহর পরিমাণ টাকা/আসবাব/অলঙ্কার স্ত্রীকে মোহর হিসেবে দিতে হবে। (আল মুহীতুল বুরহানী- ৩/৫৬)
৬. কাবিননামা একটা ডকুমেন্ট মাত্র। শরঈ বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার জন্য কাবিননামা জরুরি না। (রদ্দুল মুহতার- ৩/৯)
৭. কোন সৎ নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া জঘণ্যতম অপরাধ। ইসলামী আইন অনুযায়ী কেউ যদি কোন মহিলাকে যিনার অপবাদ দেয়, তাহলে যিনা করতে দেখেছে এমন চারজন সাক্ষী তার কাছে তলব করা হবে। চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারলে বা তিনজন সাক্ষী হলে তাদের সবাইকে ৮০টি করে চাবুকাঘাত করতে হবে।
শরীয়তে তারা ফাসেক বলে বিবেচিত হবে। তওবার আগ পর্যন্ত তাদের অন্য কোন সাক্ষ্য আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

Md. Zakaria Khan:

ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻰَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ

- রব্বিগফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহীম।
-‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’
[আবু দাউদ : ১৫১৬]

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version