Religion & Belief (Alor Pothay) > Allah: My belief
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
Md. Zakaria Khan:
লূত (আঃ) এর জাতির ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
----------------------_-----------_------------_--------
হযরত লূত (আঃ) এর সম্প্রদায় বসবাস করত সাদ্দূম নগরীতে।। তারা ডাকাতি করত, প্রকাশ্য সভা বানিয়ে অশ্লীলতা বেহায়াপনা করত।। তারা সর্বপ্রথম এমন ১টি গর্হিত পাপ করে যা এর পূর্বে কোন আদম সন্তান করে নি।।
লূত (আঃ) এর পাপী সম্প্রদায়-ই প্রথম সমকামীতা (অর্থাৎ পুরুষ-পুরুষ এবং মহিলা-মহিলা যৌন আচরণ করা) শুরু করে।।
লূত (আঃ) যখন তাদের-কে ইসলামের দাওয়াত দেন, তখন তারা লূত(আঃ) কে নির্বাসন দিতে চায় এবং উপহাস করে বলে -"এরা নিজেদের বেশী পবিত্র রাখতে চায়।।"
তাফসীরে পাওয়া যায়, হযরত জিব্রাইল (আঃ), ইস্রাফীল (আঃ) ও মিকাঈল(আঃ)সুদর্শন পুরুষের রূপ ধরে হযরত লূত (আঃ) এর এলাকায় উপস্থিত হন, এবং মেহমান হন।। লূত(আঃ) গোপনে তাদের-কে আশ্রয় দেন, কিন্তু লূত(আঃ) এর এক স্ত্রী এই খবর পাপাচারী সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেয়।।
পাপাচারী সম্প্রদায় তাদের বিকৃত রুচি চরিতার্থ করার জন্য লূত (আঃ) এর বাসস্থান আক্রমন করে।। শেষ পর্যায়ে লূত (আঃ) আল্লাহের কাছে দোয়া করেন তাঁর মেহমানদের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য, তখন ফেরেশতাগণ বলে উঠেন-
"ফেরেশতাগন বলল-হে লূত (আঃ) আমরা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ হতে প্রেরিত ফেরেশতা।। এরা কখনো তোমার দিকে পৌঁছাতে পারবে না।। ব্যস তুমি কিছুটা রাত থাকতে থাকতে নিজের লোকজন নিয়ে বাইরে চলে যাও।। আর তোমাদের কেউ যেন পিছনে ফিরে না তাকায়।। কিন্তু নিশ্চয় তোমার স্ত্রী উপরও তা আপতিত হবে, যা ওদের উপর আপতিত হবে।। ভোর বেলাই তাদের প্রতিশ্রুতির সময়, ভোর কি খুব নিকটে নয়??"
[সূরা হুদঃ আয়াত-১১]
মুফাসসিরগন বলেন- এরপর প্রথম জীব্রাইল (আঃ) তাদের সামনে আসেন এবং তাঁর ডানা দ্বারা হালকা আঘাত করেন এতেই সকল পাপাচারী অন্ধ হয়ে যায়।। এরপর জিব্রাইল (আঃ) লূত(আঃ) এর নিরাপদে সরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।। এরপর ডানা দিয়ে সমগ্র সাদ্দূম নগরীকেই গোড়া সহ তুলে ফেলেন, এত উচুতে নিয়ে যান যে প্রথম আসমানের রক্ষী ফেরেশতা-রাও সাদ্দূম নগরীর কুকুর আর মোরগের ডাক শুনতে পাচ্ছিল।।
এবার পুরো জনপদকে উল্টো করে সজোরে জমিনে ধ্বসিয়ে দেয়া হয়, এবার আল্লাহের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পাপীর নাম লেখা পাথর বর্ষণ করা হয়, এমনকি যেসব পাপী বাসিন্দা কোন কাজে সেই নগরীর বাইরে ছিল তাদের উপর-ও প্রস্তর খন্ড এসে পড়ে।। এরপর আল্লাহ সে স্থানে দূষিত পানির জলাধার প্রবাহিত করে দেন।।
সমকামীতার শাস্তিঃ
----------------------
১. ঈমাম এ আযম আবু হানিফা (রহঃ) এর মত সমকামিকে পাহাড় (বা উঁচু স্থান) থেকে ফেলে দিয়ে তারপর পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে এটাই আল্লাহের বিধান।।
২. ঈমাম শাফিঈ(রহঃ), ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল(রহঃ) ও অন্যান্যদের মত কেবলমাত্র পাথর নিক্ষেপে হত্যা করাই যথেষ্ট।।
[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া]
Md. Zakaria Khan:
বেহেশ্ত দোযখ বিষয়ে বলা হয়েছে :-
~~~~~~`>>~~~~>>>>~~~~~~~
" দোযখকে চিত্তাকর্ষক বস্তুু দ্বারা এবং বেহেশ্তকে
কষ্টদায়ক জিনিস দ্বারা আবৃত করা হইয়াছে । "
:::::;;;বুখারী ও মুসলিম ::::::ঃ:
Md. Zakaria Khan:
"তাওয়াক্কুল এর পুরষ্কার হল পাখির মত রিজিক"
================================
"হজরত উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি : তোমরা যদি আল্লাহর ওপর ‘তাওয়াক্কুল’ করার হক আদায় করতে, তাহলে তিনি পাখিকুলকে রিজিক দেয়ার মতো তোমাদেরও রিজিক দান করতেন। ‘তোমরা লক্ষ্য করে থাকবে’ পাখিকুল অতি প্রত্যুষে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে তারা বাসায় ফিরে আসে ( ইবনে মাজাহ্ : ৪১৬৪, তিরমিযি : ২৩৪৪)।
*
অপর এক হাদীসে রয়েছেঃ
------------------------------------
الرابع: عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "يدخل الجنة أقوام أفئدتهم مثل أفئدة الطير" ((رواهمسلم)).আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘জান্নাতে এমন লোক প্রবেশ করবে, যাদের অন্তর হবে পাখীর অন্তরের মত।
(রিয়াযুস সালেহীনঃ ৭৮)
কারো নিকট এর অর্থ হল এই যে, তারা পাখীর মত আল্লাহর উপর নির্ভরশীলহবে। আর অনেকের নিকট এর অর্থ এই যে, (পাখীর অন্তরের মত) তাদের অন্তরনরম হবে।
*
পাখিরা আগামী দিনের জন্য খাবার মওজুত করে রাখে না। তারা যথাযথভাবেই আল্লাহর ওপর ভরসা করে—এ হাদিসগুলো তা-ই প্রমাণ করে। আল্লাহ্ বুঝার ও আমল করার তওফিক দান করুন। আমিন।।
Md. Zakaria Khan:
রাগ হলে কী করবেন?
আবু হুরাইরা রা. বলেন, একদিন রাসূল সা. এর কাছে এক লোক এসে বললেন, “হে আল্লাহ্র রসূল, আপনি আমাকে কিছু ওয়াসিয়ত করুন।”
উত্তরে রাসূল সা. বললেন, “তুমি রাগান্বিত হয়ো না” লোকটি একথাটি কয়েকবার বলল। তিনি (প্রত্যেকবারই একই কথা) বললেন, “তুমি রাগান্বিত হয়ো না”। [সহীহ বুখারী ৫৬৮৬]
নবী করিম সা. আরও বলেন-
“সে প্রকৃত বীর নয়, যে কাউকে কুস্তীতে হারিয়ে দেয়। বরং সেই প্রকৃত বাহাদুর, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।” [সহীহ বুখারী ৫৬৮৪]
নবী করিম সা. এই উপদেশটি দিয়েছিলেন কারণ তিনি জানতেন, কেউ রাগান্বিত হয়ে পড়লে তা তার এবং তার আশেপাশের লোকজনের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে কতটা ক্ষতিকর ও বিপদজনক। কিন্তু তিনি এটাও জানতেন যে, রাগের মুহূর্তে এই উপদেশটা মেনে চলা এত সহজ নয়। তাই তিনি রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়ও শিখিয়ে দিয়েছেন আমাদেরকে।
তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “হে আল্লাহ্র রসূল(সঃ), তাহলে (রাগের) চিকিৎসা কি?” উত্তরে নবী করিম(সঃ) বললেন-
“কেউ যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগান্বিত হয়ে পড়ে তার উচিত সাথে সাথে বসে পড়া, আর রাগ না কমা পর্যন্ত ওই অবস্থায় থাকা। অন্যথায় তার উচিত শুয়ে পড়া।” [আবু দাউদ ৪৭৬৪]
kanis:
Thanks for sharing...
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
[*] Previous page
Go to full version