ঢাকায় শুরু ই-এশিয়া
ঢাকায় এশিয়ার অন্যতম বড় তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ই-এশিয়া শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের এ আয়োজন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এসব তথ্য জানান। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ই-এশিয়ার আয়োজক।
রতিমন্ত্রী তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিভিত্তিক (আইসিটি) উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য ও সক্ষমতা বহির্বিশ্বের প্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপন, দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পথ খোঁজা এবং প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করা।
সম্মেলনে জানানো হয়, তিন দিনের এই মেলায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাঁচটি কক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে ৩০টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভিন্ন দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহার তুলে ধরা হবে। এই সেমিনার থেকে প্রাপ্ত তথ্যও সবার সামনে তুলে ধরা ও বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও সম্মেলনে জানানো হয়। প্রদর্শনীতে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, থাইল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের কান্ট্রি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এ ছাড়া তাঁবুতেও স্টল থাকবে, যেখানে বাংলাদেশের আউটসোর্সিংয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সক্ষমতা তুলে ধরবে। আগামীকাল এশিয়ার সেরা ই-উদ্যোগগুলোকে পুরস্কার দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় নেতা, দেশ ও বিদেশের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান এবং বরেণ্য আইসিটি নেতারাসহ প্রায় দুই হাজার জনপ্রতিনিধি অংশ নেবেন। এর মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনাও তৈরি হবে। মেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা প্রদর্শন করা হবে। মেলার প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। তবে শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ও পেশাজীবীরা তাঁদের ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে মেলায় বিনা মূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। মেলার ওয়েবসাইটে মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব রফিকুল ইসলাম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক মুনীর হাসান, মেলার মূলপৃষ্ঠপোষক জিপি আইটির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা রনি রিয়াদ রশিদ এবংএটুআই কর্মসূচির নীতিমালা উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী।
— প্রথম আলো'র সৌজন্যে