Faculty of Science and Information Technology > Science and Information

নিম্ন রক্তচাপও ঝুঁকিপূর্ণ

(1/1)

tany:
চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্যানুসারে একটি হৃদস্পন্দনের সক্রিয় ও শিথিল অবস্থায় ধমনিতে রক্তের চাপ পরিমাপই হল রক্তচাপ।

যন্ত্রে যখন রক্তচাপ মাপা হয় তখন যে দুটি সংখ্যা পাওয়া যায়, তার মধ্যে উপরের সংখ্যাটি ‘সিস্টোলিক প্রেশার’ ও নিচেরটি ‘ডায়াস্টোলিক প্রেশা্র’ বলে।

হৃৎপিণ্ড শরীরে রক্ত সঞ্চালনের জন্য যে রক্তচাপ সৃষ্টি করে তা হল ‘সিস্টোলিক’ আর দুটি হৃদস্পন্দনের মাঝের বিরতির সময় রক্তের চাপ হল ‘ডায়াস্টোলিক’।

১২০/৮০ বা তার কম হল বর্তমানে আদর্শ রক্তচাপ। তবে এর নিচে সকল সংখ্যাই নিরাপদ নয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতালের ‘কার্ডিওলজি’ বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. প্রশান্ত নাইর বলেন, “একজনের জন্য স্বাভাবিক রক্তচাপ আরেকজনের জন্য নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। রোগী অবসাদ ও ক্লান্তি অনুভব করলেই বেশিরভাগ চিকিৎসক নিম্ন রক্তচাপের কথা ভাবেন। ‘সিস্টোলিক পেশার’ ৯০ এর নিচে কিংবা ‘ডায়াস্টোলিক প্রেশার’ ৬০ এর কম হলেই নিম্ন রক্তচাপ।

ভারতের জাসলোক হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের ‘কার্ডিও-মেটাবলিক’ ডায়াবেটিস ও স্থূলতা বিষয়ক পরামর্শদাতা ডা. রোহান সিকুইরা বলেন, “নিম্ন রক্তচাপও ঝুঁকিপূর্ণ। পানিশূন্যতা থেকে প্রাণঘাতি রোগের কারণ হতে পারে নিম্ন রক্তচাপ। তাই চিকিৎসকদের উচিত নিম্ন রক্তচাপের কারণ খুঁজে বের করা। মানুষেরও জানতে হবে, হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া বিপদজনক।”

“যেমন, ‘সিস্টোলিক প্রেশার’ ১১০ থেকে ৯০-তে নেমে গেলে মাথা ঘোরানো কিংবা জ্ঞান হারাতে পারেন রোগী। কারণ রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছে না। আর বেশি নেমে গেলে অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত, প্রচণ্ড পানিশূন্যতা, অ্যালার্জি এমনকি প্রাণও হারাতে পারে রোগী।”

অনেক চিকিৎসকই নিম্ন রক্তচাপকে গুরুত্ব দেন না, যতক্ষণ না কোনো বিপদজনক উপসর্গ দেখা দেয় এবং রোগী স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে ও কথা বলতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের কিছু সাধারণ কারণ হল-

* স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় বিছানায় শুয়ে থাকা, যাতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়।

* হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হওয়া।

* স্বাভাবিকের চেয়ে কম সক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থি।

* গর্ভাবস্থার প্রথম ২৪ সপ্তাহ।

* বড় ধরনের আঘাত, পানিশূন্যতা, অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ।

* উচ্চ রক্তচাপ, হতাশা, পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হওয়ার সমস্যা সমাধান ইত্যাদির ওষুধ সেবন।

* ভিটামিন বিটুয়েলভ ও ফোলিক অ্যাসিডের অভাব।

* প্রচণ্ড অ্যালার্জি।
source:bdnews24

Navigation

[0] Message Index

Go to full version