চিহ্নিত কবীরা গুনাসমুহ

Author Topic: চিহ্নিত কবীরা গুনাসমুহ  (Read 1218 times)

Offline rumman

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1020
  • DIU is the best
    • View Profile
১- আল্লাহ তাআলার সাথে শিরক করা,

২- মানুষ হত্যা কর,

৩- যাদু করা (ভান, টোনা মেরে মানুষের ক্ষতি করা)

৪- নামাজ না পড়া,

৫- জাকাত আদায়ে অস্বিকার করা,

৬- কোন বৈধ কারণ ছাড়া রমজানের রোজা না রাখা,

৭- শক্তি ও সামর্থ থাকা সত্বেও হজ্ব না করা,

৮- পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া,

৯- স্বজনদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা এবং আত্মীয়তা ছিন্ন করা,

১০- জিনা বা ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়া,

১১- সমকামিতা বা মহিলার পেছন পথে সংগম করা,

১২- সুদ খাওয়া,

১৩- এতিমের সম্পদ ভক্ষণ (ভোগ) করা,

১৪- আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাঃ এর উপর মিথ্যা আরোপ করা,

১৫- রাষ্ট্র প্রধান কতৃক প্রজাদের সম্পদ ও অধিকার আত্মসাত এবং প্রজাদের উপর অত্যাচার করা,

১৬- অহংকার,

১৭- মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়া,

১৮- মদ পান করা,

১৯- জুয়া খেলা,

২০- সতি সাধবী মহিলার উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া,

২১- চুরি-ডাকাতি করা,

২২- মিথ্যা বলা, মিথ্যা কসম বা শপথ,

২৩- জুলুম বা অত্যাচার করা,

২৪- হারাম মাল ভক্ষণ এবং যে কোন ভাবে তা ব্যবহার করা,

২৫- আত্মহত্যা করা,

২৬- আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামী বিধান বাদ দিয়ে মানব রচিত বিধানে বিচার কার্য সম্পাদন করা,

২৭- ঘুষ খাওয়া এবং ঘুষ নিয়ে কারো পক্ষে রায় দেয়া,

২৮- পোষাক পরিচ্ছেদ, চলা ফেরা ইত্যাদীতে নারী পুরুষের রূপ ধারণ করা কিংবা পুরুষ নারীর রূপ ধারণ করা

২৯- দু জনের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা এবং (দাইয়ূছ) যে নিজের পরিবারের অপকর্ম কে উদারমনা হয়ে সমর্থন করে

৩০- হারামকে হালাল করা (স্ত্রী কে তিন তালাক দেয়ার পর স্বামির জন্য ঐ স্ত্রী হারাম হয়ে যায়। কিন্তু ঐ মহিলার দ্বিতীয় কোথাও স্বাভাবিক বিয়ে হওয়ার পর যদি ঐ স্বামি তাকে তালাক দেয় তবে এই মহিলা তার প্রথম স্বামির জন্য হালাল হয়।পূণরায় বিয়ে করে তাকে গ্রহন করতে পারে। অথচ এখন দেখা যায় স্বামি স্ত্রীকে তালাক দেয়ার চুক্তি ভিত্তিক হিল্লা বিয়ে দেয়া হয় কিছু সময়ের জন্য। যখন চুক্তি মাফিক চুক্তি বিয়ের স্বামি মহিলাকে তালাক দেয়,প্রথম স্বামি পূণঃ বিয়ে পড়ে তাকে গ্রহন করে। এটা শরিয়ত সন্মত নয়। এখানে চুক্তি ভিত্তিক স্বামি হল হালাল কারী আর প্রথম স্বামি হল যার জন্য হালাল করা হয়েছে। এখানে উভয়েই এই কবিরা গুনায় সমান অংশিদার।)

৩১- প্রস্রাব থেকে পরিচ্ছন্ন না থাকা (এটা খৃষ্টান্দের একটি সংস্কৃতি)

৩২- চতুস্পদ প্রাণীর মুখে লোহা দিয়ে চিহ্ন দেয়া

৩৩- দুনিয়া হাসিলের উদ্দ্যেশ্যে দ্বিনী এলেম শিক্ষা করা এবং এলেম শিক্ষা করে তা প্রচার ও প্রকাশ না করে লুকিয়ে রাখা

৩৪- গচ্ছিত মাল বা আমানতের খেয়ানত করা,

৩৫- কারো উপর দয়া,অনুগ্রহ,দান বা উপকার করে খোঁটা দেয়া,

৩৬- তাক্বদীর বা ভাগ্য কে অস্বিকার করা,

৩৭- চুপি চুপি লুকিয়ে মানুষের গোপন কথা শ্রবণ করা,

৩৮- চোগলখোরি বা বিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে এক জনের কথা অন্যের নিকট আদান প্রদান করা,

৩৯- কাউকে লানত বা গালিগালাজ করা,

৪০- অঙ্গীকার,ওয়াদা বা চুক্তি ভঙ্গ করা,

৪১- জ্যোতিষি গনক বা যাদুকরকে বিশ্বাস করা,

৪২- স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হওয়া,

৪৩- বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা,বুক বা মুখ চাবড়ানো,পরিধেয় পোষাক ছিঁড়ে ফেলে,মাথা ন্যড়া করা,চুল ছিঁড়ে ফেলা,নিজেদের জন্য ধ্বংশ ইত্যাদী ডেকে বিলাপ করা,

৪৪- বিদ্রোহ করা বা অতিরঞ্জিত করা,

৪৫- দুর্বল অধিনস্ত দাস দাসী, স্ত্রী কিংবা কোন প্রাণীর উপর হাত উঠানো বা প্রহার করা,

৪৬- প্রতিবেশী কে যেকোন ভাবে কষ্ট দেয়া বা গালি দেয়া

৪৭- স্বর্ণ কিংবা রৌপ্যের পাত্রে আহার বা পান করা এবং পুরূষ রেশমি কাপড় (সিল্ক) বা স্বর্ণ পরিধান করা

৪৮- আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে প্রাণী জবাই করা যেমন শয়তানের নামে যাদু করার জন্য,মূর্তির নামে,পীর সাহেবের নিয়তে ইত্যাদী,

৪৯- জেনে শুনে নিজ পিতাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পিতা বলে মানা বা দাবী করা,

৫০- ঝগড়া বিবাদ,কারো সাথে নিজের ব্যাক্তিত্ত্ব প্রকাশ বা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দ্যেশ্যে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া

৫১- ধোকাবাজী করা ও ঠকানো এবং মাপে কম দেয়া (এটা খুব বেশি দেখা যায় আমাদের দেশের গোশ্ত বিক্রেতাদের মাঝে। এছাড়া অন্যরা ও করে থাকে।)

৫২- আল্লাহ তাআলার পাকড়াও ও হস্তক্ষেপ থেকে নিশ্চিন্ত ও নির্ভয় হওয়া,

৫৩- মৃত প্রাণীর গোস্ত এবং প্রাণীর রক্ত ও শুকরের গোস্ত খাওয়া,

৫৪- কোন ওজর (শরীয়ত স্বিকৃত সমস্যা) ছাড়া জুমার নামাজ বা জামাত ছেড়ে দিয়ে একাকী নামাজ আদায় করা

৫৫- আল্লাহ তাআলার রহমত ও অনুগ্রহ থেকে নৈরাশ হওয়া

৫৬- কোন মুসলমান কে কাফির বলা

৫৭- মুসলমানদের মধ্যে গোয়েন্দাগিরী ও তাদের গোপনীয়তা সম্পর্কে অবগত হওয়া (বিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে)

৫৮- সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়া,

৫৯- বিচারক কার্যে অনিয়ম করা,

৬০- বংশ নিয়ে একে অপরকে তিরস্কার বা ধিক্কার দেয়া বা হেয় প্রতিপন্ন করা,

৬১- মৃত ব্যাক্তির উপর চিৎকার করে আহাজারি করা, বুক চাবড়িরা, বুক চাবড়িয়ে জামা কাপড় ছিড়ে বিলাপ করা,

৬২- রাস্তার চিহ্ন বা মাইলফলক সরিয়ে ফেলা (মিটিয়ে দেয়া)

৬৩- কোন অসৎকাজ প্রতিষ্ঠা কিংবা মানুষকে পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করা,

৬৪- মহিলারা নিজের চুলের সাথে নকল চুল মিলানো এবং চেহারার লোম ইত্যাদী উঠানো সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য,

৬৫- কোন ধাতব বা ধারাল বস্তু অন্যের দিকে উঁচু করা বা আঘাতের লক্ষ্যে নিশানা বানানো,

৬৬- পবিত্র হারাম শরিফে (মক্কায়) বা হারামের সিমানার মধ্যে অন্যায় অত্যাচারে লিপ্ত হওয়া।

হে আল্লাহ্ তুমি আমাদেরকে কবীরা গুনা থেকে হেফাজত কর। আমিন।।
Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar