General Category > Common Forum

কালবৈশাখী হতে পারে আজ, শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা

(1/1)

Mst. Eshita Khatun:
দেশের বেশির ভাগ এলাকায় আজ শনিবার কালবৈশাখী হতে পারে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, একই সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি ও শিলাও পড়তে পারে। তবে দেশের কয়েকটি এলাকায় আজও দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন আভাসই দিচ্ছে।

রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দাবদাহ কিছুটা কমেছে। অর্থাৎ সারা দেশে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আজও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে বলে গতকাল শুক্রবারই সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। নিম্নচাপটি দ্রুত শক্তি অর্জন করছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমাগত শক্তি অর্জন করছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা আজকের মধ্যেই বোঝা যাবে। নিম্নচাপটির পরিণতি কী হবে, অর্থাৎ এটি নিম্নচাপ অবস্থা থেকেই দুর্বল হয়ে যাবে, নাকি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আজ কালবৈশাখী হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌকাসহ নৌযানগুলোকে সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২ হাজার ১৭০ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ২ হাজার ২৮৫, পায়রা থেকে ২ হাজার ১৩৫ ও কক্সবাজার থেকে ২ হাজার ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এর কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৩০ এপ্রিল নাগাদ এটি দেশটির উত্তর তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি আসতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল থেকে ওই দুই রাজ্যে প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘ফণী’। এটি বাংলাদেশের দেওয়া নাম। গত বছর সাতটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে।

https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1590888/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE

Navigation

[0] Message Index

Go to full version