গতানুগতিক ধারার বাইরে একটি
আধুনিক পলিটেকনিক
উন্নত বিশ্বের মতো কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার জোয়ার এখন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায়। এসব দিক সামনে রেখে যাত্রা শুরু হয়েছিল ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট যা কি-না দেশের সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা করে আসছে কারিগরি বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কার্যক্রম। এ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষ করার পরও রয়েছে ড্যাফোডিল গ্রুপ কর্তৃক পরিচালিত অন্যতম প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে স্বল্পতম সময়ে বৃত্তি সহকারে সান্ধ্যকালীন ব্যাচে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার বিশেষ সুযোগ। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় সব শিক্ষার্থী পাবেন মাসিক ৮০০ টাকা বৃত্তি। এছাড়াও Admission.ac-এর মাধ্যমে রয়েছে সহজেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ।
একজন ছাত্রের ভালো ফলাফল থাকা সত্ত্বেও চাকরি বাজারে সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয় শুধু কর্মনির্ভর শিক্ষার অভাবে। অনেক সময় বেকারত্বের অভিশাপও বরণ করতে হয়। অথচ প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা যেভাবে বাড়ছে একইভাবে বাড়ছে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগও। বর্তমান সময়ে একজন ছাত্র পড়ানো শেষ করে দেশে বা দেশের বাইরে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠতে ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের রয়েছে তরুণ উদ্যোক্তা ফান্ড। ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে সব শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ফ্রি ল্যাপটপ। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক মেয়ে শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য দিচ্ছে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ড্যাফোডিল পলিটেকনিক বিভিন্ন প্রোগ্রামে ডিপ্লোমা ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণে এক নবদিগন্তের সূচনা করতে সমর্থ হয়েছে। তাদের মধ্যে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার, টেলিকমিউনিকেশন, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, টেক্সটাইল এবং সিভিল, আর্কিটেকচার প্রোগ্রামগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ইতিমধ্যেই চাকরি ক্ষেত্রে আশাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর চাকরির পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন ব্যাচে দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্বল্পতম সময়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিএসসি/এমএসসি/এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ লাভ করতে পারেন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম ৪ বছর মেয়াদি ৮ সেমিস্টারে সম্পন্ন হয়, প্রতি সেমিস্টার ৬ মাস অন্তর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির নূ্যনতম যোগ্যতা এসএসসি/ সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০ পেয়ে পাস করতে হবে। এইচএসসি উত্তীর্ণ/অনুত্তীর্ণ বা পরীক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রীদের বয়স ও পাসের সন বিভাগ শিথিলযোগ্য।