Faculty of Science and Information Technology > Cloud Computing

গুগল স্টেডিয়া: শুরু হতে যাচ্ছে ক্লাউড গেমিংয়ের যুগ

(1/1)

nafees_research:
গুগল স্টেডিয়া: শুরু হতে যাচ্ছে ক্লাউড গেমিংয়ের যুগ[/b]

এমন একটি সময়ের কথা ভাবুন, যখন আপনার প্রিয় ওপেন ওয়ার্ল্ড গেমগুলো খেলার জন্য আপনার নিজের কম্পিউটারের ক্ষমতা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। অনেক দাম দিয়ে হার্ডওয়্যার কেনারও প্রয়োজন হবে না। শুধু ব্রাউজারটি খুলে একটি গেম বেছে নিয়ে প্লে বাটনে চাপ দেবেন এবং কিছু সময়ের মধ্যেই গেমটি আপনার পিসিতে চলতে শুরু করবে। যার জন্যে বিশালাকারের কোনো ফাইল ডাউনলোড কিংবা ইন্সটলেরও কোনো দরকার হবে না।

স্বপ্নের মত শোনাচ্ছে? গুগল তাদের নতুন ক্লাউড গেমিং সার্ভিসের ঘোষণা দিয়ে পৃথিবীকে এমন একটি ভবিষ্যতের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। তাদের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, শুধুমাত্র ক্রোম ব্রাউজার দিয়েই ফোর-কে (4K) রেজ্যুলেশনে ৬০ ফ্রেম পার সেকেন্ডে (fps) যেকোনো গেম খেলা যাবে এবং গেমগুলো আরম্ভ হতে পাঁচ সেকেন্ডের বেশি সময় নেবে না।

গত জিডিসি (গেম ডেভেলপারস কনফারেন্স) ২০১৯ সম্মেলনে গুগল তাদের ‘গুগল স্টেডিয়া’ নামে পরিচিত এই নতুন গেম স্ট্রিমিং সার্ভিসটির ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রজেক্টটি দীর্ঘদিন থেকে ‘প্রজেক্ট স্ট্রিম’ নামে পরিচিত ছিল। স্টেডিয়ার মাধ্যমে বড় গেমগুলো চালানোর যাবতীয় জটিলতা গুগল নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিচ্ছে। তাদের সার্ভারেই গেমগুলোর সর্বশেষ ভার্সন অনেক উচ্চ রেজ্যুলেশন আর ফ্রেম রেটে রান হবে। সেখান থেকেই গেমগুলো স্ট্রিমে এনকোড হবে এবং এরপরে ব্যবহারকারীর কাছে পাঠিয়ে দেবে। ব্যবহারকারী এরপর গেম তাদের ডেস্কটপ, ল্যাপটপ এমনকি স্মার্টফোনেও খেলতে পারবে।


সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া গুগল স্টেডিয়া গেমিং জগতের 'নেটফ্লিক্স' হতে চলেছে; Image Source: chilliconnect.com
কীভাবে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্ম? এক কথায় বলতে গেলে এটি গেমিং ইন্ডাস্ট্রির 'নেটফ্লিক্স' হতে চলেছে। এটা মূলত ক্লাউড গেমিং সার্ভিস হলেও তাতেই থেমে নেই। গেমের ডেভেলপমেন্ট থেকে অনলাইনে হোস্টিং, ব্যবহারকারীর কাছে তা পৌঁছে দেওয়া এবং একই সাথে তা প্রচারণা করা সবই এই এক প্ল্যাটফর্মে এসে একত্রিত হবে। যদিও গুগল স্টেডিয়া মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত বিশদভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না কিন্তু এই সার্ভিসটির প্রাথমিক তথ্যগুলোই এত চমকপ্রদ যে অনুমান করা হচ্ছে তা ভিডিও গেম ইন্ডাস্ট্রিতে বিশাল পরিবর্তন আনবে।

প্রাথমিক খুঁটিনাটি
স্টেডিয়ার মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করবে গুগল ডেটা সেন্টারের পৃথিবীব্যাপী নেটওয়ার্কটি। নেটফ্লিক্সের মতোই স্টেডিয়া তার ব্যবহারকারীদের একটা লাইব্রেরির সুবিধা দেবে যেখান থেকে তারা নিজেদের পছন্দমত গেমটি খেলা শুরু করতে পারবে। কোনো ডাউনলোড বা ইন্সটল করার প্রয়োজন হবে না। একটা সুস্থির, দ্রুতগামীর ইন্টারনেট সংযোগ এবং গুগল ক্রোম ব্রাউজারের সর্বশেষ ভার্সন থাকলেই এই সার্ভিসটি উপভোগ করতে পারবে। স্টেডিয়ার হোমপেজ অথবা ইউটিউবে নির্দিষ্ট গেমটির ভিডিও লিংক থেকেই গেমটি খেলা যাবে।

Source: https://roar.media/bangla/main/tech/upcoming-google-stadia/

s.arman:
Thanks for sharing

Navigation

[0] Message Index

Go to full version