Health Tips > Blood Pressure

কোলেস্টরল ও আর্থারাইটিস, নিয়ন্ত্রণে মধু-দারচিনি!

(1/1)

Anuz:
বাতের ব্যথা, প্রচুর চুল ঝরে যাওয়া বা ওজন কিছুতেই কমছে না। এমন সমস্যায় হাতের কাছে দারচিনি থাকলে চিন্তার কিছুই নেই শুধু বাতের ব্যথা বা ওজন ঝরাতেই নয়, দারচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে এমন একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করা যায় অবিশ্বাস্য কম সময়ে! তাই মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়ার আগে একবার দেখে নিন দারচিনির ছয়টি আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ।

১. একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে, মধু দারচিনির জল খেতে পারলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাতের ব্যথা কমে যায়। এর জন্য ১ গ্লাস গরম জলের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন। এই দ্রবন সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত খেতে পারলে দেখবেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাতের ব্যথা অনেকটাই কমে গিয়েছে।

২. এক গ্লাস উষ্ণ জলের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ সকালে খেয়ে নিন। এই দ্রবন মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে অত্যন্ত কার্যকর!

৩. অনেক চেষ্টার পরও ওজন কিছুতেই কমছে না? শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও মধু-দারচিনির মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকর! একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে, দারচিনি আর মধু দ্রুত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। রোজ ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো আর ২ চামচ মধু মধু দিয়ে ফোটানো এক গ্লাস জল খালিপেটে খেয়ে নিন। এটি দ্রুত ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকর!

৪. প্রচুর চুল ঝরে যাচ্ছে? তাহলে অলিভ অয়েলের সঙ্গে ১ চামচ মধু আর ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট চুলের ফাঁকা জায়গায় লাগান (যেখান থেকে চুল পড়ে গিয়েছে সেখানে)। এই পেস্ট দিয়ে চুলের গোড়ায় অন্তত ১৫ মিনিট মালিশ করুন। তার পর উষ্ণ জল দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন চুলের যত্ন নিতে পারলে চুল ঝরার সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে, একই সঙ্গে গজাবে নতুন চুলও।

৫. উর্দ্ধমুখী কোলেস্টরল নিয়ে চিন্তিত? এক কাপ চায়ের (দুধ, চিনি ছাড়া) সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ৩ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। এই চা রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমেয়ে দিতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকর!

৬. আমাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ্য রাখতে দারচিনি আর মধুর জলের কোনও বিকল্প নেই! রোজ সকালে এক গ্লাস জলের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে ওই জল খেতে পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version