DIU Activities > Permanent Campus of DIU

গিফট অফ টেকনোলজী।

(1/1)

Reza.:
১. স্পষ্ট মনে আছে। একেবারে ছোটবেলায় থাকতাম মোহাম্মাদপুরে। প্রথমে অনেক বছর আমাদের বাসার রান্না হত কেরোসিনের চুলাতে। কেননা সেখানে তখনও গ্যাস আসে নাই। তখন রবিবারে ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। রবিবারে বাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল রান্নার জন্য দুইটা বড় ক্যান ভরে কেরসিন কেনা। তখন আমাদের বাসায় ছিল না কোন টেলিভিশন, ফ্রিজ। ল্যান্ড ফোনও ছিল না আমাদের বাসায়। (মোবাইল মনে হয় তখনও আবিস্কার হয় নাই। কম্পিউটার এর কথা বাদই দিলাম।)
জীবন তখন কতটুকু কঠিন ছিল না সহজ ছিল তা আমার জানা নাই। তবে আমরা স্কুলের পরে সারাদিন খেলা ধুলা করে বেড়াতাম। আমার বাবাও অফিস থেকে এসে আমাদের সাথে পুরো অবসর সময় কাটাতেন। আমাদের সাথে খেলতেন বা বাসার জন্য কিছু কাজ করতেন।
২. এখন আমাদের বাসায় কি নাই? জীবনকে সহজ করার জন্য ফ্রিজ টেলিভিশন, মোবাইল, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, এক দুইটা কম্পিউটার, ল্যাপ্টপ, অ্যাই পি এস সবই আছে। রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা, নব ধরে ঘুরালে আগুন জ্বলে উঠে।
ভাবতেছি - আমাদের জীবন কি এই সব উপকরণের ফলে আগের থেকে সহজ হয়েছে? আমাদের অবসর সময় কি বেড়েছে? না সব সময় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত আমরা আগের থেকে?

Reza.:
আমরা আমাদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নই। কেননা আমাদের শিক্ষা ও জীবনের দর্শন অপুস্ট। আমরা শিক্ষা মানে বুঝি কেবলমাত্র বৈষয়িক শিক্ষা। জীবন মানে কেবলমাত্র টাকা অর্জন। ফার্মের মুরগির জীবন আমাদের আদর্শ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় স্বাস্থ্য মানে কি শুধু পুস্ট শরীর? তাহলে তো স্থুলদেহীরাই কেবলমাত্র স্বাস্থ্যবান। মানুষ মানে মন, শরীর ও শিক্ষার দিক থেকে পুস্ট। যে সময় পায় নিজের কাজ, পরিবার, সমাজ, আত্মিক ও মানসিক কর্মকাণ্ডের জন্য। আমরা আমাদের সব মেশিন পত্র নিয়ে জীবন যাপন করি এক এক টি প্রতিবন্ধি জীবন।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version