শিশুদের খিঁচুনি রোগ | মৃগী রোগের সাথে পার্থক্য ও চিকিৎসায় করণীয় কী?

Author Topic: শিশুদের খিঁচুনি রোগ | মৃগী রোগের সাথে পার্থক্য ও চিকিৎসায় করণীয় কী?  (Read 1778 times)

Offline farjana aovi

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 121
  • Test
    • View Profile
ছোট্ট শিশুরা পাখির মত। হাসবে খেলবে, আনন্দে ঘর ভরিয়ে রাখবে। কিন্তু সেই ছোট্ট শিশুর যদি হটাৎ খিঁচুনি হয় তাহলে মা-বাবার দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না। সাধারণভাবে শিশুদের জ্বরজনিত খিঁচুনি হয়; অর্থাৎ জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি সম্পর্কিত। এতে মস্তিষ্কের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে পাঁচ-ছয় বছর বয়স পর্যন্ত এই খিঁচুনি বারবার হতে পারে। ইনফেকশন, শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া, জন্মগত মস্তিষ্কের সমস্যা, সেরিব্রাল পালসি ছাড়াও বিভিন্ন রোগে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। জ্বর, আঘাত বা অন্য কারণে যেমন মৃগী বা এপিলেপসি রোগেও শিশুর খিঁচুনি হতে পারে।তবে সব খিঁচুনিতেই বেশি ভয়ের কিছু নেই। আর খিঁচুনি মানেই যে তা মৃগী রোগ এমনটাও নয়। আজকের লেখায় জেনে নিন তবে শিশুদের খিঁচুনি রোগ সম্পর্কে!

খিঁচুনি ও মৃগী রোগ দুটির পার্থক্য ও শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা
১) শিশুর খিঁচুনি বা ফেব্রাইল কনভালশন

৬ মাস থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুর জ্বর ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই অনেক সময় খিঁচুনি শুরু হয়, যা ফেব্রাইল কনভালশন নামে পরিচিত। সব ক্ষেত্রে খিঁচুনি বা কনভালশন-এর কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে কিছু কিছু রোগের কারণে জ্বরের মাত্রা বেশি হলে কনভালশন শুরু হয়। এসব রোগের মধ্যে তীব্র কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, কান দিয়ে পুঁজ পড়া, প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন অন্যতম। বাচ্চাদের এই খিঁচুনি দেখতে খুবি অস্বস্তিকর এবং কষ্টকর হলেও এতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এতে আপনার বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে না। ফেব্রাইল কনভালশন-এ ব্রেইন ড্যামেজ হয় না এবং এ থেকে মৃগী রোগ হওয়ার ও ঝুঁকি নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বরের জন্য বাচ্চারা খুব অল্পই ভুগে থাকে। প্রতি ৩০ জনে একজনের কনভালশন বা খিঁচুনি হতে পারে।
ফেব্রাইল কনভালশন এর চিহ্ন ও লক্ষণসমূহ

১. অতি উচ্চ তাপমাত্রার জ্বরের সাথে বাচ্চা জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।

২. চোখ পিটপিট করা, এক দৃষ্টিতে তাকানো অথবা চোখ উল্টে যাওয়া।

৩. শরীর, বিশেষ করে হাত ও পা কাঁপা।

শিশুর খিঁচুনি বা ফেব্রাইল কনভালশন এর সিম্পটমস - shajgoj.com

৪. প্রস্রাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারানো।

৫. মাংসপেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে বা কাপতে পারে।

৬. বাচ্চার মুখ লাল বা নীল হয়ে যেতে পারে।

৭. খিঁচুনি কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে।

৮. খিঁচুনি থেমে গেলে বাচ্চার জ্ঞান ফিরে আসবে, কিন্তু জ্ঞান ফিরলেও বাচ্চা ঘুম ঘুম ভাব বা খিটমিটে হয়ে থাকতে পারে।
কী করবেন বাচ্চাদের খিঁচুনি হলে?

সাধারণত এ ধরনের খিঁচুনি তখনই হয় যখন বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা হুট করে বেড়ে যায়। অনেক সময় অভিভাবক খিঁচুনি না ওঠা পর্যন্ত টেরই পান না যে, বাচ্চার জ্বর এসেছে। একবার খিঁচুনি শুরু হয়ে গেলে তা থামানোর জন্য আসলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই করার থাকে না। তবে শিশুকে নিরাপদ রাখতে কিছু কিছু কাজ করতে পারেন। যেমন-

১) সবচেয়ে জরুরী নিজেরা শান্ত থাকা এবং শান্ত রাখা। বাচ্চাকে শান্ত রাখুন। বেশির ভাগ খিঁচুনি পাঁচ মিনিটের কম স্থায়ী হয়।

লিখেছেন - ডাঃ মারুফা আক্তার
Farjana Islam Aovi
Senior Lecturer
Department of Pharmacy
Faculty of Allied Health Sciences
Daffodil International University
Dhaka, Bangladesh
Cell:+8801743272709
Email: farjana.pharm@diu.edu.bd

Offline shirin.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 343
  • Test
    • View Profile
Shirin Sultana
Lecturer (Mathematics)
Dept. of General Educational Development (GED)
Daffodil International university