Faculties and Departments > Faculty Forum

নখ হলুদ হওয়ার কারণ ও করণীয়

(1/1)

shirin.ns:
সুন্দর পরিষ্কার নখ হাতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুন। ব্যক্তিত্বে আনে পরিচ্ছন্নতার ছাপ। নখ পরিষ্কার রাখা যেমন ব্যক্তিগত সুরক্ষার চিহ্ণ তেমনি অপরিষ্কার নখ স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। হলুদ ও ভঙ্গুর নখ হতে পারে রোগের লক্ষণ।

চিকিৎসা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে নখ হলুদ হওয়ার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানানো হল।
খ হলদে হওয়া কারণ

হলুদ: মসলা হিসেবে সব ঘরেই হলুদ ব্যবহার হয়। যা দীর্ঘ মেয়াদে নখ হলুদ করে তোলে। রেস্তোরাঁয় চামচ দিয়ে খেলেও ঘরে বেশিরভাগ বাঙালির খাওয়া হয় হাত দিয়েই। তাই প্রতিদিন নখ সরাসরি হলুদের সংস্পর্শে আসে। ধীরে ধীরে সেই হলুদ দাগ নখে এমনভাবে বসে যায় যে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে।

সোডা: কাপড় পরিষ্কার করার ডিটারজেন্ট মানেই তাতে সোডা আছে। এছাড়াও দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে সোডা ব্যবহার করা হয়। খাবার তৈরিতেও সোডার ব্যবহার হয়। এই সোডার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও নখ হলুদ হতে পারে। সোডা একটি প্রাকৃতিক ‘ব্লিচিং’ উপাদান, তাই প্রতিদিন নখে সোডা লাগলে তা নখকে ভঙ্গুর করে তোলে, নষ্ট করে নখের স্বাভাবিক রং। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে নখ অল্পতেই ভেঙে যায় এবং স্থায়ীভাবে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।

রাসায়নিক উপাদান: নেইল পলিশ ও রিমুভার’য়ে নানান রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার হয়। নিম্নমানের নেইল পলিশ আর রিমুভার’য়ে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান যেমন ‘এসিটোন’ এবং ‘অ্যালকোহল’ নখের উপর ক্ষতিকর প্রভাবে ফেলে। এ ধরনের প্রসাধনির অতিরিক্ত ব্যবহার স্থায়ীভাবে নখের রং পাল্টে দিতে পারে। সঙ্গে আরও আছে অ্যালার্জির ঝুঁকি।

রোগ: থাইরয়েড, সিরোসিস এবং ডায়বেটিসের কারণেও নখ হলুদ হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘লিম্ফ্যাটিক ইস্যু’ হিসেবে পরিচিত রোগের কারণেও নখ হলুদ হয়ে যায়।

তবে নখ হলুদ হলেও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

প্রাকৃতিক পন্থায় হলুদে ভাব দূর করতে

হলুদেভাব দূর করতে এবং নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি অক্ষুণ্ন রাখতে প্রথমে নখের যে ক্ষতি এরই মধ্যে হয়ে গেছে সেটা ঠিক করা। এজন্য নখের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। মৃদু সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, ময়েশ্চরাইজ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে নারিকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল।

এই তেলগুলো নখকে পুষ্টি যোগাবে এবং হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনবে।

নখে ছত্রাকজনীত প্রদাহ কিংবা অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে টি ট্রি অয়েল উপকারে আসবে।

এছাড়াও খাদ্যাভ্যাসে থাকা চাই ‘কেরাটিন’ ও ‘বায়োটিন’ সমৃদ্ধ খাবার। যেমন- ডিম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ব্লুবেরি, কাঠবাদাম, ওয়েস্টার, মাংস, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি।

এগুলোতেও সমস্যা সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

fahmidasiddiqa:
nice post

tokiyeasir:
Needed to be aware...Thanks for sharing...

Raisa:
nice one

nusrat.eee:
Nice post.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version