আজকের বিশ্বে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মধ্যে ‘ফেসবুক' অন্যতম। আজকের দিনে অনেকেই ফেসবুক জুরে আক্রান্ত। কেউ বেশি, কেউ কম। আর তার প্রভাবে পার্থক্য ধরা পড়েছে মানব-মস্তিষ্কে আশ্চর্যের বিষয় হলেও ঘটনাটি একেবারে সত্যি। কম-বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মস্তিষ্ক ‘থ্রি-ডি স্ক্যানার'-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, যারা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ফেসবুক ব্যবহার করেন অথবা যাদের ফেসবুক-বন্ধুর সংখ্যা বেশি তাদের ব্রেনের কিছুটা অংশ বেশি ঘন এমনকি মস্তিষ্কের কিছু অংশে এর স্পষ্ট চিহ্নও পাওয়া যায়।
জানা যায়, মানুষের মস্তিষ্কের মোট তিনটি অংশ সামাজিকতা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে থাকে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রিওটা কানাই বলেন, ‘‘আমাদের সামাজিক আচরণ, যেমন পরিচিত মানুষ বা বন্ধুদের দেখে আমাদের চোখের চাহনি অথবা মুখের হাসি এসবের জন্য মস্তিষ্কের ‘সুপিরিয়ার টেম্পোরাল সালকাস' ও ‘মিডল টেম্পোরাল সালকাস' কাজ করে থাকে। বন্ধু সংখ্যা বেশি হলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। বন্ধু সংখ্যা বেশি হলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। এছাড়া, তৃতীয় অংশটি এন্টোর্হিনাল কমপ্লেক্স' মূলত কাজ করে স্মরণশক্তির ক্ষেত্রে। অর্থাৎ, মানুষের মুখ এবং তার সঙ্গে তাদের নামের মধ্যে যে সংশ্লিষ্টতা স্মৃতিতে সেটাই ধরে রাখে এই অংশটি তাই কারুর বন্ধু বা পরিচিত মানুষের সংখ্যা বেশি হলে, তার ব্রেনটিকে বেশি মাত্রায় নিউরনের সংকেত অনুযায়ী কাজ করতে হয়।
এখন প্রশ্ন হলো, ফেসবুক-এর এ ক্ষেত্রে ভূমিকা কী বা ফেসবুক আদতে কী? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে, কোনো একটি বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা, মত প্রকাশ করা বা বন্ধুতা করার একটি ‘ভার্চুয়াল' মাধ্যম এই ফেসবুক। তাছাড়া, নিজের ‘ফেসবুক ফ্রেন্ডস' বা বন্ধুরা ঠিক কি করছে, কি ভাবছে এবং কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এসবের দিকে নজর রাখা যায় ফেসবুকের মাধ্যমে। তাছাড়া নব্য-প্রযুক্তির মোবাইল এবং নোটবুকগুলোর সাহায্যে এটা খুব সহজেই করা যায়।
ফেসবুকের গ্রাহকসংখ্যা এ মুহূর্তে বিশ্বে প্রায় আট কোটি। এদের অনেকেই দিনে অন্তত একবার ফেসবুকে বসেন, আবার অনেকে গোটা দিনের বেশিরভাগ সময়ই যুক্ত থাকনে এই সামাজিক যোগাযোগের সাইটটির সঙ্গে। বিজ্ঞানীরা জানান, ‘ভার্চুয়াল' এই যোগাযোগে অনুভূতির এহেন তারতম্য তাই মস্তিষ্কে একটা প্রভাব ফেলেই।
Source: -ইন্টারনেট and DailySagram