কোলন ক্যান্সার কেন হয়?

Author Topic: কোলন ক্যান্সার কেন হয়?  (Read 1472 times)

Offline sharifa

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 434
    • View Profile
কোলন ক্যান্সার কেন হয়?
« on: July 09, 2019, 04:13:05 PM »
কোলন ক্যান্সারের কথা আমরা অনেকেই জানি। কোলন ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যক হুমায়ুন আহমেদ। সাধারণত পুরুষ ও কৃষ্ণাঙ্গরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স ৫০ পেরুলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।


কোলন ক্যান্সার কেন হয়?

পরিবেশ ও জিনগত

পরিবেশ ও জিনগত কারণে বৃহদন্ত্র ও মলাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা পাঁচ ভাগ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে ব্যায়াম ( বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে) এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

ধূমপান ও মদ্যপান

অতিরিক্ত গরু বা ছাগলের মাংস খাওয়া, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি, ধূমপান ও মদ্যপান এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। তবে স্থুলকায় ব্যক্তিদের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

মা, বাবা ও ভাই বোন

বৃহদন্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সার হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস রোগটির সম্ভাবনা বাড়ায়। বিশেষ করে মা, বাবা, ভাই কিংবা বোনের বৃহদন্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সার হওয়ার ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়ে। এছাড়া অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

লক্ষণ

প্রাথমিকভাবে কোলন ক্যান্সার নির্ণয় অত্যন্ত কঠিন। কেননা প্রথমদিকে রোগটির তেমন কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না।কোলন বা মলাশয়ের কোন জায়গায় ক্যান্সার রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে উপসর্গের বিভিন্নতা দেখা যায়।

পায়খানার সঙ্গে রক্ত

পায়খানার সঙ্গে রক্ত কিংবা পেটে ব্যথা নিয়ে অধিকাংশ রোগী প্রথম চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন (কখনও ডায়রিয়া, কখনও কষা), রক্তশূন্যতা (দূর্বলতা, শ্বাসকষ্ট) ইত্যাদি রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ।

অতিরিক্ত ওজনশূন্যতা

অতিরিক্ত ওজনশূন্যতা এই রোগের লক্ষণ। অতিরিক্ত ওজনশূন্যতা, পেটে চাকা, পেটে পানি, কাশির সঙ্গে রক্ত ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে আসেন।

চিকিৎসা

অপারেশন

কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা এক-কথায় অপারেশন। অপারেশনের আগে বা পরে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। অপারেশনের সময় রেডিওথেরাপির ব্যবহার এখনও গবেষণাধীন। যে কোনো ক্যান্সারের চিকিৎসায় একটি শব্দ বিশ্বে বহুল প্রচলিত, তা হল (multidisciplinary approach), অর্থাৎ সার্জন, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, সাইকোথেরাপিস্ট, প্যাথলজিস্ট, ক্যান্সার কেয়ার নার্সসহ সকলের মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের জন্য।

সচেতন হতে হবে

একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে, ক্যান্সার কঠিন রোগ হলেও এর উপযুক্ত চিকিৎসা রয়েছে। রোগীদের সচেতনতা এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সচেতনতা রোগটিকে প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয়ে সাহায্য করবে।
https://www.jugantor.com/lifestyle/86846/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%9F
Dr. Sharifa Sultana
Assistant Professor
Department of Pharmacy,
Faculty of Allied Health Sciences,
Daffodil International University