Career Development Centre (CDC) > Career Advice
অফিসে উদ্বেগ কমানোর ৮ উপায়
(1/1)
Sultan Mahmud Sujon:
আগামী মাসে একটি রিপোর্ট অফিসের বসকে দিতে হবে সামিয়া আফরোজকে (ছদ্মনাম)। কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে—সব মিলিয়ে বেশ অস্থির একটি সময় পার করছেন সামিয়া। যে কারণে অন্য সব নিয়মিত কাজে ভুল বেড়ে যাচ্ছে তাঁর। অহেতুক উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তায় স্বাভাবিক হতে পারছেন না সামিয়া। সামিয়ার মতো আমরা অনেকেই অফিসের কাজের ‘ডেডলাইন’কে ভয় পাই। ভয়ে কখন যে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই, তা টেরই পাই না।
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, যেকোনো পর্যায়ের কর্মীদের মানসিক দক্ষতা ও আবেগকেন্দ্রিক বুদ্ধিমত্তায় ১ শতাংশ পরিবর্তন আনতে পারলে একটি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন ৭ শতাংশ বেড়ে যায়। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে চলতে পারলে অফিসকেন্দ্রিক উদ্বেগ আর অস্থিরতা কমানো যায়।
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বা আবেগকেন্দ্রিক বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ এস এম আরিফুজ্জামান মনে করেন, ব্যক্তিত্বের জোরে এসব সমস্যা দারুণভাবে কাটানো যায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমস্যা সমাধান, দলগত কাজে পারদর্শিতা, অন্যদের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সাধারণ কিন্তু অসাধারণ দক্ষতাগুলো যেকোনো মানুষকেই কর্মক্ষেত্রে পারদর্শী ও দূরদর্শী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
এস এম আরিফুজ্জামান কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগ ও অস্থিরতা কাটানোর কিছু কৌশল সম্পর্কে জানাচ্ছেন।
● সব কাজ ভাগ করে করুন। যেকোনো বড় কাজ দেখলেই আমরা ভয় পাই। আমাদের মন তখন অবচেতনভাবেই অস্থির হয়ে যায়। যখনই কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত করবেন, কাজটিকে ছোট ছোট করে ভাগ করে নিন।
● প্রতিদিন কাজের অগ্রগতি খেয়াল করুন। দিনের কাজ দিনে করার চেষ্টা করুন। শেষ দিন কাজ করার জন্য কাজ জমিয়ে রাখলে মানসিক দুশ্চিন্তা তৈরি হয়।
● কোনো কাজ যদি না বোঝেন, তাহলে বিশেষজ্ঞ বা অফিসের বসের পরামর্শ নিন। আমরা প্রশ্ন করতে ভয় পাই বা জড়তা বোধ করি। প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা করতে শিখুন। কাজ না বুঝলে অবশ্যই জিজ্ঞাসার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
● নিজের সম্পর্কে জানুন। আপনি কোন কাজ ভালো পারেন, কিংবা কোন কাজে আগ্রহ বেশি, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শেখার আগ্রহ নিয়ে নিজের মনের বিকাশ ঘটাতে হবে। নতুন নতুন কাজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। কাজ শেষে কেউ কোনো উৎসাহ না দিলেও নিজেকে নিজে উৎসাহ দিন।
● নিজের মনের অবস্থার সঙ্গে কাজের মাত্রা নির্ধারণ করুন। সাধারণত সপ্তাহের শেষ দিন আমরা দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করতে চাই, কারণ পরের দিন ছুটি। কিছু কাজ বৃহস্পতিবার করতে পারেন। এতে কাজ শেষ করার জন্য নিজের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হবে।
● সকালের দিকে আমাদের মধ্যে কাজের স্পৃহা বেশি থাকে। যে কারণে বিভিন্ন অফিস মিটিং বিকেলে বা দুপুরে সারতে হবে। বেশি সময় নিয়ে মিটিং করার চেয়ে কার্যকর মিটিং করার দিকে খেয়াল রাখুন।
● আপনার বসকে কাজের অগ্রগতি জানিয়ে রাখুন প্রতিদিন। ই–মেইলের মাধ্যমে নিয়মিত কাজের অগ্রগতি জানান। কোনো পরামর্শ বা নির্দেশনা থাকলে, তা জেনে নিন।
● দলগতভাবে কাজ করুন। আমাদের একা কাজ করার প্রবণতা বেশি থাকে। দলের সবাইকে কাজে যুক্ত করুন। দলের সদস্যদের অনুপ্রেরণা দিন। কোনো সমস্যা থাকলে সমাধানে নিজেকে যুক্ত করুন।
Source: https://www.prothomalo.com/life-style/article/1603487/%E0%A6%85%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A7%AE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F
Navigation
[0] Message Index
Go to full version