শিশুর কৃমি হবার কারণ লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয় কী?

Author Topic: শিশুর কৃমি হবার কারণ লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয় কী?  (Read 2362 times)

Offline farjana aovi

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 121
  • Test
    • View Profile
কৃমি অনেক পুরাতন একটি পেটের সমস্যা। বিভিন্ন বয়সী মানুষদের এই সমস্যা হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি দেখা যায়। প্রায় সময় শিশুদের পেটে ব্যথা, বমিবমি ভাব, খাদ্যে অরুচি, পায়খানার রাস্তায় চুলকানি ইত্যাদি হয়ে থাকে। এইসব লক্ষণ দেখা দিলেই বুঝে নিতে হবে শিশুটি কৃমিতে আক্রান্ত হয়েছে।
কৃমি হলো একধরনের পরজীবী। এটি মানুষের অন্ত্রে বাস করে। বিভিন্ন প্রকারের কৃমি হয়ে থাকে, যেমন- গোল কৃমি, সুতা কৃমি, ফিতা কৃমি, বক্র কৃমি। এগুলো  বিভিন্ন আকারেরও হয়ে থাকে।

 
কৃমি সাধারণত কেন হয়?বিভিন্ন কারণে কৃমি হয়ে থাকে। অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার, অপরিষ্কার ঘরবাড়ি, টয়লেট-এর পর হাত ভালোভাবে না ধোয়া, দূষিত পানি ব্যবহার, খাবার ভালোভাবে না ধুয়ে রান্না করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা, হাতের নখ বড় রাখলে এবং অর্ধসেদ্ধ গরুর মাংস খেলে কৃমি হতে পারে। অনেকে মনে করেন মিষ্টি খেলে কৃমি হয়ে থাকে এটি একটি ভুল ধারণা। মিষ্টি খাওয়ার সাথে কৃমি হওয়ার কোনো সম্পর্কই নেই।
শিশুদের কৃমি হলে কী হয়?
শিশুরা সাধারণত বেশি কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কৃমিতে আক্রান্ত হলে শিশুর শরীরের বিস্তার ভালোভাবে ঘটে না, শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়। কৃমি অন্ত্রে রক্তপাত ঘটিয়ে শিশুকে রক্তশূন্য করে ফেলে। আবার অন্ত্রে পরিপাক ও শোষণে বাঁধার সৃষ্টি করে, যার ফলে শিশুর ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এভাবে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শিশুর বিকাশ ঠিকভাবে ঘটে না।
শিশুদের কৃমি কেন হয়?

১. শিশুকে অপরিষ্কার রাখলে।

২. ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধের বাহিরে অন্য কিছু খাওয়ালে।

৩. শিশু খালি পায়ে থাকলে পায়ের নখের ভেতরে কৃমির ডিম প্রবেশ করে অন্ত্রে পৌঁছায়। এভাবে শিশু কৃমিতে আক্রান্ত হয়।

৪. খাওয়ানোর পূর্বে হাত ঠিক করে পরিষ্কার  না করলে।

৫. নিয়মিত গোসল না করালে।

৬. শিশুর নখ নিয়মিত না কাটলে।
শিশুর কৃমি প্রতিরোধে করনীয়

(১) ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো
শিশু জন্মের পর থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেয়া যাবে না। ৬ মাস এর পর থেকে দুধের পাশাপাশি অন্য খাবারও দেয়া যাবে। কিন্তু এর আগে অন্য খাবার দিলে খাবারের সাথে শিশুর পেটে কৃমির ডিম ঢুকে পরতে পারে। তাই ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধই খেতে দিতে হবে।

(২) পরিষ্কার পানি ব্যবহার
পরিষ্কার ও নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে। পানি পান করা থেকে শুরু করে ধোয়া-মোছা, রান্নাবান্না, সবক্ষেত্রে পরিষ্কার ও নিরাপদ পানি ব্যবহার করা আবশ্যক।

(৩) খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস দূরীকরণ
খালি পায়ে হাটার অভ্যাস দূর করতে হবে। খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের নখ দিয়ে কৃমির ডিম শিশুর অন্ত্রে পৌঁছায়। তাই শিশুকে খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত রাখতে হবে।

(৪) নিয়মিত গোসল করানো
শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে শিশুর শরীরের ময়লা আবর্জনার সাথে কৃমির ডিম শিশুর অন্ত্রে পৌঁছায়, যার ফলে শিশু কৃমিতে আক্রান্ত হয়।

(৫) প্রতি ৪ মাস পরপর কৃমির ঔষধ খাওয়া
প্রতি ৪ মাস পরপর পরিবারের সবাইকে কৃমির ঔষধ সেবন করতে হবে,কেনোনা পরিবারের একজনের কৃমি হলে বাকিদেরও কৃমি হয়ে থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রতি ৪ মাস পরপর কৃমির ঔষধ খেতে হবে।

কৃমির ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। শরীর ভালো থাকলে ঔষধ নিরাপদ হলেও অসুস্থ অবস্থায় বিপদজনক হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কৃমির ঔষধ সেবন করা ঠিক না।

 
সংগৃহীত: কেপিটেলকেমিস্ট.কম
Farjana Islam Aovi
Senior Lecturer
Department of Pharmacy
Faculty of Allied Health Sciences
Daffodil International University
Dhaka, Bangladesh
Cell:+8801743272709
Email: farjana.pharm@diu.edu.bd

Offline Farhana Israt Jahan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 413
    • View Profile
Farhana Israt Jahan
Assistant Professor
Dept. of Pharmacy

Offline Nazneen

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 58
  • Test
    • View Profile
Nazneen Ahmeda Sultana
Lecturer, Department of Pharmacy
Faculty of Allied Health Science
Daffodil International University
E-mail:nazneen.ph@diu.edu.bd