DIU Activities > Permanent Campus of DIU
Psychological play.
(1/1)
Reza.:
ছোটবেলায় পরীক্ষা শেষে টিচার যখন খাতা নিতে আসতেন অনেকেই টিচার আর এক মিনিট আর এক মিনিট বলে সময় চাইতো। খাতায় লিখতেই থাকতো। টিচার যতই বলতেন - তারা খাতা দিতে দেরী করতো।
আমাদের কোন কোন টিচার তাই বলতেন তোমাদের খাতা আর নেবো না। তখন আমাদের বন্ধুরা টিচারের পিছনে বারান্দায় দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে খাতা জমা দিতে যেত।
মানুষ মাত্রই তার সাইকোলজি দিয়ে চালিত হয়। কেউ হয়তো অনেক কম কথা বলে। তাকেই যদি বলা হয় এক ঘণ্টা কথা বলতে পারবে না। তাহলে সেই স্বল্পভাষীর অবস্থা আমরা কল্পনা করতে পারি। আবার যে সারাক্ষণ কথা বলে তাকে একঘণ্টা টানা কথা বলার পানিশমেন্ট দিলে তার সারাজীবনের শিক্ষা হয়ে যাবে।
মানুষের মনের মূলনীতি হল - যেটি করতে বলা হচ্ছে সেটি না করা। আর নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি তার দূর্বার আকর্ষণ। তার কাছে কিছু চাইলে আপনি পাবেন না। কিন্তু প্রত্যাখ্যান করলে সে সেটি মেনে নিতে পারেনা।
আপনি কারো প্রশংসা করে দেখুন - সে বিনয়ের সাথে তার নিজের দোষ ত্রুটি স্বীকার করে যাবে। আবার তার দোষ ত্রুটির উল্লেখ করলে সে তার নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলবে।
আমরা অর্থনীতিতে কি পড়ি?
মানুষ টাকা পেলে কি করে? গরীব মানুষ টাকা পেলে কি করে। বড়লোকেরা টাকা পেলে কি করে। কিংবা সরকার কিভাবে অর্থনীতিকে কন্ট্রোল করতে পারে সেই জিনিষ গুলোই অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয়।
অর্থনীতির পুরোটাই টাকার সাথে মানুষের মনের রিয়াকশন অর্থাৎ মানুষের সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই মানুষ কখনো গরীব - কখনো বড়লোক। কখনো সে ক্ষুধারথ কখনো বা সে পেট পুরে খেয়েছে।
মানুষের সাইকোলজি নিয়ে খেলা করে ব্যবসায়ীরা আর রাজনীতিবিদেরা। মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে এদের জীবন চলে। জনগণের সাইকোলজি নিয়ে অনেক পড়াশুনা ও বই পত্র আছে। তাদেরকে কন্ট্রোলের জন্যও অনেক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ আছে।
মনে রাখতে হবে সাইকোলজি সহ মানুষই দুষ্টদের প্রেরণা। মানুষ শান্তি চাইলে তারা অশান্তি বাড়ায়। এক গ্রুপের মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে অন্য গ্রুপের মানুষকে তারা শোষণ ও নির্যাতন চালায়। এরা রসায়ন বিষয়ে পড়া প্রভাবক বা ক্যাটালিস্টের ভূমিকায় থাকে।
আমার মতে দুষ্ট মানুষকে দিন রাত সারাদিন অতিরঞ্জিত প্রশংসা বাক্য শোনানো উচিৎ। আর সমালোচনা করা একেবারে বাদ দিলেই সে তার বাকি জীবনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
Navigation
[0] Message Index
Go to full version