আজকে আমাদের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন ল্যাব উদ্বোধন হল। দেখতে দেখতে বেশ কিছুদিন হয়ে গেল। প্রথম যখন পার্মানেন্ট ক্যাম্পাসে আসি তখন দুপুরের পর চারিদিক কেমন খাঁ খাঁ করতো। আগে আমরা বড়জোর ২০ জন শিক্ষক - শিক্ষিকা ছিলাম। একাডেমিক বিল্ডিং ওয়ান এর ২০১ ও ৬০৪ এই রুম দুটিতেই সবার বসারজায়গা হয়ে যেত। আমাদের শিক্ষকের সংখ্যা সব মিলিয়ে আনুমানিক ১০০ ছাড়িয়ে গেছে আগেই। দুইটি বড় বাস দিয়ে এর পরিবহণ পুল শুরু হলেও এখন প্রায় ৫০ টি বাসের ক্রমান্বয় সিডিউল চলে। একটি বিল্ডিঙয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এখন আরও বিশাল বিল্ডিঙয়ের পাশাপাশি আছে ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ের বিভিন্ন ল্যাব। ১৪ তলার বিশাল বিল্ডিঙটি অনেক দূরের বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে দেখি সকালে আসার সময়। এর পাশাপাশি দেখা যায় সুউচ্চ বয়েজ হোস্টেলের বিল্ডিং যেটি শুরু হয়েছিল এক্ তলার কয়েকটি রুম দিয়ে। যে ব্যাচের স্টুডেন্টদের প্রথম সেমিস্টারে পেয়েছিলাম তারা এখন পাস করে বের হবে। এখন ক্যাম্পাস ব্যস্ততায় ভরে গেছে। দম ফেলার ফুসরত থাকে না। ভোর সকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস কলকাকলিতে মুখর থাকে। সুন্দর সব স্থাপনায় ভরে আছে ক্যাম্পাস। ইনোভেশন ল্যাব তারই একটি। অবসর সময় পেলে ঘুরে দেখি এই ক্যাম্পাস।
মানুষের মধ্যে বিশেষ কোন একজনের জন্য কিছু আটকে থাকে না। এইটা স্বীকার করতে দ্বিধা না থাকলেও মেনে নেয়া অনেক কঠিন একটি ব্যাপার।