Health Tips > Food

আদার স্বাস্থ্যগুণ

(1/1)

taslima:
আদার স্বাস্থ্যগুণ

হজমশক্তি: বহুবছর ধরে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, লালারসের উৎপাদন বাড়ানো এবং মল তৈরিতে সহায়ক হিসেবে সুপরিচিত আদা।

সোজা কথা, খাবার হজম করতে এবং পেটের গোলমাল সামলাতে অত্যন্ত উপকারী এই মসলা।

বমিভাব: গর্ভবতীর জন্য অমৃত আদা। কাঁচা-আদা চিবালে কিংবা আদা-লেবু দেওয়া চা পান করলে বমিভাব দূর হয়। দুরপাল্লার যাত্রায় যাদের বমির সমস্যা আছে তাদের জন্যও উপকারী।

গলা ব্যথা: আদার রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে গেলে গলা ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। দিনে এই মিশ্রণ তিন থেকে চার চা-চামচ পরিমান খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোপুরি নিরাময় হবে। গর্ভবতী এবং যারা উষ্ণ এলাকায় বাস করেন তারা এই মিশ্রণ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আদা গুরুপাক খাবার।

প্রদাহ কমায়: প্রদাহ কমাতে বিশেষ কার্যকর আদা। বাতের সমস্যার যারা ভুগছেন তাদের জন্য আদা বেশ উপকারী। গর্ভাবস্থায় শরীর ফুলে যাওয়ার নিরাময়ে সহায়ক এই মসলা।

পেশি ব্যথা: কুসুম গরম আদা চা মাংস পেশির ব্যথা সারাতে কার্যকর। ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথাতেও উপকার মেলে এই চা পান করলে। গর্ভাবস্থায় পিঠ ও তলপেটে ব্যথার নিরাময়েও কাজে আসে আদা চা।

কোলেস্টেরল: আদা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ধমনিতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদযন্ত্রের পরম বন্ধু এই মসলা।

খেয়াল রাখতে হবে

আদা কেনার সময় খেয়াল রাখতে তা যেন চুপসে না থাকে, বাইরের খোসা টানটান থাকে এবং গন্ধটা হয় কড়া। আদা ভাঙলে ভেতরের অংশ কুড়মুড়ে হবে এবং কোনো পশম থাকবে না। পশম আছে এমন আদা এড়িয়ে চলতে হবে।

আদার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

দৈনিক এক থেকে তিন গ্রাম আদা গ্রহণ করা গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান প্রসবের পরও অনেক উপকার আনে। তবে পরিমাণ নিয়ে সতর্ক হতে হবে।

এটি গুরুপাক-জাতীয় খাবার। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তপাত হলে সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের আদা খাওয়া নিষেধ। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস গর্ভপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এসময় আদা কম খাওয়াই নিরাপদ।

যেসব নারী ‘জেস্টেশনাল’ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের আদা খাওয়ার পরিমাণ নিয়ে সাবধান থাকতে হবে। কারণ তা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে।

আগে গর্ভপাত, ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তক্ষরণ, ‘ভ্যাজাইনাল স্পটিং’ বা যোনিতে রক্তফোঁটা দেখা দেওয়া- এমন নারীদের আদা খাওয়া একেবারে বন্ধ করা উচিত। খালি পেটে আদার রস পান করলে বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে।

খাওয়ার পন্থা

আদা চা: আদার প্রচলিত ব্যবহারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল চায়ে আদা দেওয়া যা স্বাদে ভিন্নমাত্রা এনে দেয়।

দিনের শুরুতে এক কাপ আদা চা বেশ সুখকর অনুভুতি। গর্ভবতী নারীদের বমিভাবেও অনেক উপকারী হবে এটি।

আদা-লেবুর চা: চা বেশি ঝামেলা মনে হলে বিশুদ্ধ পানিতে আদা ফুটিয়ে নিয়ে তাতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়েও পান করা যায়। পেটে তো আরাম বোধ হবেই, গলায় ব্যথা থাকলে তাও সেরে যাবে।

পিঠ ও পেটের ব্যথাতেও তা সামান্য উপকারী। গর্ভবতী নারীদের দৈনিক পানির চাহিদা পূরণেও সহায়ক এটি।

রান্নায় ও আচার হিসেবে: শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি রান্নায় সব ঘরেই কমবেশি আদার ব্যবহার হয়।

আদার আচারও হয়। তাজা আদা ছোট করে কেটে তাতে লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে রেখে দিলে গোলাপি বর্ণ ধারণ করবে।

যারা ঝাল বেশি খেতে চান তারা এতে কাঁচামরিচ যোগ করতে পারেন।

সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন ফ্রিজে রেখে দিলেই হয়ে হয়ে যাবে আদার আচার।

জিঞ্জার অ্যাল: এক কাপ আদা-কুচির সঙ্গে আধা কাপ চিনি ও আধা কাপ পানি মিশিয়ে চুলায় ফুটান। রস বের হয়ে টেনে আসবে। তারপর এক কাপ লেবুর রস ও এক লিটার সাধারণ সোডা-পানি মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে জিঞ্জার অ্যাল। এই পরিমাণ কমপক্ষে আট জনের জন্য যথেষ্ট।

আদার শরবত: যে কোনো শরবত বা জুসে আদা-কুচি মেশানো যায়। যা স্বাদ বাড়াবে, দেবে আলাদা তৃপ্তি।

https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1608996.bdnews

Navigation

[0] Message Index

Go to full version