Faculty of Allied Health Sciences > Nutrition and Food Engineering
রক্তশূন্যতায় শিশুকে কী খাওয়াবেন
(1/1)
Niger:
অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা শিশুদের একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তাল্পতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন না থাকা। জন্মের পর তিন মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর শরীরে যেটুকু হিমোগ্লোবিন থাকে, তা সে তার মায়ের কাছ থেকেই নিয়ে আসে। এরপর তার নিজের শরীরের অস্থিমজ্জায় রক্ত তৈরি হতে শুরু করে। রক্ত তৈরির একটি কাঁচামাল হলো আয়রন বা লৌহ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়তে থাকে বলে শিশুকে নিয়মিত আয়রনসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে, নয়তো দেখা দেবে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা।
চার মাস বয়স থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অল্প অল্প করে পরিপূরক খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হবে। প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাদ্য উৎস থেকে আয়রন পাওয়া যায়। মাছ, মাংস, ডিম, কলিজার মতো প্রাণিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়রনকে হিম আয়রন বলে। আমাদের শরীর এ আয়রন ভালো শোষণ করতে পারে। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়রনকে নন-হিম আয়রন বলে। শুকনা ফল, শুকনা এপ্রিকট, শুকনা ডুমুর, বাদাম, কিশমিশ, সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, পালংশাকে এ উপাদান থাকে।
যেসব বাড়ন্ত শিশু অন্যান্য খাবারের চেয়ে দুধ বেশি পান করে, তাদের আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতার ঝুঁকি থাকে। দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পেতে দুধ খাওয়ার পরিমাণ ক্রমশ ২ কাপ বা ৫০০ মিলিলিটারে কমিয়ে আনতে হবে। সারা দিন দুধ খেয়ে পেট ভরিয়ে রাখলে চলবে না। ডিমের কুসুম লৌহসমৃদ্ধ খাবার। ছয় মাস বয়স হলেই শিশুকে অল্প অল্প করে ডিমের কুসুম খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বিলম্বের কারণ হতে পারে। ধীরে ধীরে শিশুকে মাছ, মাংস, তাজা শাকসবজি ও ফলমূল ইত্যাদি খাবারে অভ্যস্ত করে তুলুন। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধের জন্য প্রতিদিনের খাবারে লৌহ, আমিষ, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-১২ রাখতে হবে। কৃমি শিশুদের অ্যানিমিয়ার একটি অন্যতম কারণ। তাই দুই বছর বয়সের পর থেকে কৃমির ওষুধ নিয়মিত খাওয়াতে হবে। কৃমি রোধে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন।
লাজিনা ইসলাম চৌধুরী, পুষ্টিবিদ পিপলস হাসপাতাল, খিলগাঁও, ঢাকা
tokiyeasir:
Informative. Thanks a lot...
kamrulislam.te:
Good post
Navigation
[0] Message Index
Go to full version