Health Tips > Health Tips

রক্তে যদি ইউরিক এসিড বেড়ে যায়

(1/1)

Mrs.Anjuara Khanom:
রক্তে ইউরিক এসিড হয় ৭ মিলিগ্রাম /১০০ মিলিলিটারের বেশি হলে। তা থেকে হতে পারে বেদনার আরথ্রাইটিস "গাউট " গেঁটে বাত। রক্তে ইউরিক এসিডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, ডায়েবেটিস। পিউরিন শরীরে ভাঙলে ইউরিক এসিড শরীরে তৈরি হয়। রেড মিট, অরগান মিট, বিনস, সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদিতে পিউরিন পাওয়া যায়।

সাধারণত প্রস্রাবের সঙ্গে ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়। যখন খুব বেশি ইউরিক এসিড তৈরি হয় বা যা তৈরি হয় তা কিডনি নিস্কাসন করতে পারে না তখন রক্তে জমতে থাকে। বেশি ইউরিক এসিড রক্তে হলে গঠিত হয় স্ফটিক। এসব জমা হয় হাড়ের গিঁটে আর কিডনিতে। দেহের রোগ প্রতিরোধী শ্বেতকনিকা এদের আক্রমণ করে। এতে ব্যথা আর প্রদাহ হয়।
গেঁটে বাত গিঁটে খুব ব্যথা হলে হয়। গিঁট দৃঢ় হয়ে যায়, আক্রান্ত গিঁট নড়াতে কষ্ট হয়। লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়। অনেক দিন রক্তে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে হয় টো ফাই TOPHI। শক্ত এই স্ফোটক জমা হয় ত্বকের নিচে, গিঁটের চার পাশে , কানে। কিডনিতে হতে পারে পাথুরি।

যে কারণে এটা হয়
মদপান, কিছু হৃদরোগের ওষুধ খেলে, সিসার কাছাকাছি এলে, কীটনাশকের মুখোমুখি হলে। এছাড়া কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তগ্লুকোজ, স্থুলতা ও হাইপ থাইরয়েডের কারণেও এটা হতে পারে।

রোগ নির্ণয়ে রক্তে ইউরিক এসিড মান আর ক্রিয়েটিনিনের মান নির্ণয় করতে হবে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা প্রস্রাবে ইউরিক এসিড মান পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসার জন্য ওষুধ দেবেন ডাক্তার এনএসএআইডি, কলচিসিন, প্রবেনেসি ড, এলপিউরিনল ফেবুক্সস টাট ।

কি কি খাবার এড়িয়ে যাবেন
রেড মিট, চিনিযুক্ত খাবার আর পানীয়, অরগান মিট যেমন কলিজা, মিট গ্রাভিস, সামুদ্রিক খাবার, শীতল পানির মাছ, পালং শাক, মটর শুঁটি, মাশরুম, বিনস, ডাল, ও টমিল, তুষ, বিয়ার আর এলকোহল। পাশাপাশি প্রচুর পানি খান, ব্যায়াম করুন এবং ওজন ঠিক রাখুন।

বিডি প্রতিদিন

Al Mahmud Rumman:
ইউরিক এসিড রক্তে বেড়ে যাওয়া ভয়ংকর ব্যাপার!

Navigation

[0] Message Index

Go to full version