সময়ের সাথে সাথে দিনবদল
সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই বদলে যায়, বদলে যায় রং মশালের আলেয়ার গল্প, জীবন গাঁথার নানান ভাবনা চিন্তা। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সমকালীন রূপ-রেখা উদ্ভাসিত হয়ে উঠে কবির কবিতায়, শিল্পীর চিন্তা ভাবনায়। আমরা যাকে আধুনিকতা বলে থাকি।যার পথ ধরে সুন্দর সুন্দর ভাবনা হৃদয় স্রোতের উৎসারিত আলোকে উদ্ভাসিত হওয়াটাও বড় কথা। দ্রুপদি খন্ড রূপই রূপে, রসে ও লাবণ্যে জারিত হয়ে অখন্ড মহারূপের সাথে বা মহাসুন্দরের সাথে মিলিত হয়। আর রূপ পাগলেরা ছুটাছুটি করে বেড়ায় রূপের খুঁজে, কিন্তু রূপের হদিস কোথায় মিলবে? কে জানে??? এই অবস্থায় সৃজনশীল চিন্তাকে প্রযুক্তির সাহায্যে নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করার কৌশল ও নীতি আত্মস্থ করা প্রয়োজন।আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে এই শিল্পকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ
টেকনোলজি (এমসিটি) বিভাগ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবে। শিল্প ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে শিক্ষার এই পর্যায়ে দরকার উন্নত পরিবেশ ও প্রসার, যা নতুন প্রজন্মকে যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ব্যাপারে বিশেষ সহয়তা করবে। এতে সৃজনশীল প্রতিভাসম্পন্ন প্রজন্ম খুঁজে পাবে সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র, যা দেশ ও দেশের শিল্পকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করবে নিজ বৈশিষ্ট্য।
আমাদের শিল্প এবং শিল্পদর্শন ও তাই। হাজার হাজার বছর ধরে তিলে তিলে কত শিল্পী, ভাস্কর ও ডিজাইনার তাঁদের গর্ভে ধারণ করে, সুন্দর পাদপীঠে আশ্রয় দিয়ে, শিখিয়ে পড়িয়ে, সুন্দর কে দেখার জন্য উন্মিলিত আঁখি খুলে দিয়ে রঙ, রূপ লাবণ্যের সাগরের নৌকোয় ভাসিয়ে দিয়েছেন। যেন বলছেন, যা এবার তোরা সুন্দর কে খুঁজে নে, তোদের মত করে। তোদের জীবন দর্শন দিয়ে, বিচার বুদ্ধি দিয়ে, সৌন্দর্য অনুরণিত অনুভূতির মালা গেঁথে যার যার গলায় পরে নে।
সমকালীন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ও চারুশিল্পের নান্দনিকতার মিল বন্ধ্রন ই হতে পারে এ পথের উত্তরণ।একথা মানতেই হবে এটা ডিজিটাল যুগের প্রভাব; সেই সাথে সমকালীন ভাব ও ভাবনার প্রকাশে নিজস্বতা প্রকাশেরও বিশেষ আকুলতা। যার আলোকে মাল্টিমিডিয়া এবং ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিত বিভাগে,(ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) এই ধরনের নতুন বিষয় অধ্যয়নের সুযোগ দেশ ও দেশের নতুন প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। দেশে ও বিদেশে মাল্টিমিডিয়া এবং ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে পড়াশোনা করা দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। নতুন কিছু সৃষ্টির মাঝে আছে আনন্দ, আছে অপার সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আগামী প্রজন্ম নিজেকে তুলে ধরবে বিশ্ব দরবারে। এ বিষয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী গ্রাফিক্স, 3D ডিজাইন ও মডেলিং, 2D অ্যানিমেশন, 3D অ্যানিমেশন, ভিজুয়াল এফেক্ট, গেম ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি সম্পর্কে বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং এ ক্ষেত্রটির সব শাখায় সৃজনশীল পেশাদার মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তিবিদ হিসেবে জ্ঞান ও গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে পারবে। অপার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিএসসি ইন মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি (এমসিটি) বিভাগে শুরু হওয়া চার বছর মেয়াদি ১৪৭ ক্রেডিটের বিএসসি ইন মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিষয়ে থাকছে, “ভিজুয়াল আর্টস এন্ড কমিউনিকেশন, 3D এনিমেশন এন্ড VFX ইঞ্জিনিয়ারিং, গেইম ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ফিল্ম ও মিডিয়া”। এই চারটি সেকটর এর উপর ভিত্তি করেই সৃজনশীল দক্ষ জনশক্তি দেশকে উপহার দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।আর তাই আমাদের সকল কোর্স যুগোপযোগী ও ইন্ডাষ্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করা। চলমান টেকনোলজির সাথে তাল মিলিয়ে এই বিভাগের কোর্সে Augmented Reality (AR)/Virtual Reality(VR)/ টেকনোলজির অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। উন্নতমানের 3D এনিমেশন এর কাজের জন্য রয়েছে Motion Capture Device সহ অত্যাধনিক ইনডোর শুটিং ল্যাব।
মোঃ সামাউন হাসান
প্রভাষক
মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি (এমসিটি) বিভাগ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি