Faculty of Allied Health Sciences > proper dietary habit
চিনির বিকল্প
(1/1)
pathan:
এখন বাজারে চিনির বিকল্প বেশ কিছু খাবার পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে তুলনামূলক নিরাপদ স্টেভিয়ানির্ভর খাবারগুলো। এই স্টেভিয়া মূলত এক ধরনের গাছের পাতা। এই গাছের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে। স্বাদে ভীষণ মিষ্টি। সম্প্রতি বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে এর চাষ। বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে স্টেভিয়ানির্ভর চিনির বিকল্প খাবার।বাজারে চিনির বিকল্প খাবারগুলো চিনির চেয়ে কম ক্ষতিকর বটে, তবে একেবারে নিরাপদ নয়। কারণ সেগুলো প্রায়ই কেমিক্যালের তৈরি। আর আপনি কেমিক্যাল যত খাবেন, শারীরিক সমস্যার ঝুঁকিও ততই বাড়বে। তাই সেগুলো খেতে হবে একেবারেই পরিমিত পরিমাণে। যতটা সম্ভব কম।
যাদের চিনি খাওয়া নিষেধ, তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান খাবারের তালিকা থেকে এটাকে একেবারেই বাদ দিয়ে দেওয়া। যদি একেবারেই না পারেন, সে ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে চিনি খেতে পারেন। চেষ্টা করুন নিয়মিত চিনি দেওয়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে। মাঝেমধ্যে একটু-আধটু চিনি খেলে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মনে রাখবেন, চিনি না খেলে কিন্তু কোনো ক্ষতি নেই। এটা না খেলে কেউ মারা যায় না।
সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের চিনি খেতে নিষেধ করা হলে তাদের চিনির বিকল্প খাবারও নিষেধ করা হয়। কারণ বেশি কেমিক্যাল খেলে বেড়ে যায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। আর মাতৃত্বকালটা যেহেতু খুবই স্পর্শকাতর, সে সময় কোনো রকম ঝুঁকিই নেওয়া উচিত নয়। তবে যদি খেতেই হয়, সে ক্ষেত্রেও শুধুই স্টেভিয়ানির্ভর চিনির বিকল্প খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অনেকে স্রেফ স্বাস্থ্য সচেতনতার অংশ হিসেবেই চিনি বাদ দিয়ে বিকল্প খাবার খান। সচেতন হয়ে চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিলে কিন্তু হিতে বিপরীতও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি অপ্রয়োজনে নিয়মিত কেমিক্যালনির্ভর খাবার খাচ্ছেন। ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তার বদলে কমিয়ে দিতে পারেন চিনি খাওয়া। কিংবা একেবারে বাদও দিতে পারেন।
আর যদি চিনির বিকল্প কিছু খেতেই চান, সে ক্ষেত্রে ভালো বিকল্প হতে পারে গুড় বা মধু। যাঁরা চিনি ছেড়ে দিতে চান, তাঁদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় চা ও কফি খাওয়ার অভ্যাস। চিনি ছাড়া চা-কফি খেতে অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। এ ক্ষেত্রে তাঁরা চায়ে গুড় বা মধু দিয়ে খেতে পারেন। একটা সময় গ্রামগঞ্জে গুড় দিয়েই চা বানানোর চল ছিল বেশি। পাশাপাশি বাসার বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন—সেমাই, পায়েস, হালুয়া, মিষ্টি, শরবত ইত্যাদিতেও এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা ব্যবহার করতে পারেন নারকেল, খেজুর বা ফলের রস। এগুলো অন্তত চিনির চেয়ে ভালো। যেমন গুড়ের মধ্যে বিভিন্ন খনিজ লবণ থাকে—আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এগুলো শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
তবে চিনির পরিবর্তে যেটাই খাওয়া হোক না কেন, খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। বেশি খেলে তাতে উপকারের বদলে উল্টো হতে পারে ক্ষতি। যেমন চিনির পরিবর্তে মধু খাওয়া ভালো। তাতে ক্ষতি নয়; বরং শরীরের উপকারই হবে। কিন্তু কেউ যদি অনেক বেশি পরিমাণে মধু খেতে থাকে, সেটা উল্টো ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দেবে। এমনকি দীর্ঘদিন অতিরিক্ত পরিমাণে মধু খেতে থাকলে দেখা দিতে পারে মানসিক সমস্যা। কারণ মধু উত্তেজক হিসেবেও কাজ করে।
Emran Hossain:
Thanks for this informative post.
Emran Hossain
Joint Director- F & A, DIU
Masuma Parvin:
Thanks for sharing the post.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version