সিঙ্গাপুর। বিশ্বের ‘স্মার্টেস্ট সিটি

Author Topic: সিঙ্গাপুর। বিশ্বের ‘স্মার্টেস্ট সিটি  (Read 1848 times)

Offline Zahir_ETE

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 112
  • Always beleive in Yourself
    • View Profile
সিঙ্গাপুর। বিশ্বের ‘স্মার্টেস্ট সিটি’। সিঙ্গাপুরের এই অবস্থান আনুষ্ঠানিক। হ্যাঁ, সুইস বিজনেস স্কুল আইএমডি এবং সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের প্রকাশকেরা নতুন এক জরিপ-সমীক্ষায় সিঙ্গাপুরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট সিটি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই সমীক্ষা জরিপ শেষে প্রকাশ করা হয়েছে ‘আইএমডি স্মার্ট সিটি ইনডেক্স’। এই ইনডেক্সে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন নগরী কী করে গ্রহণ করছে ডিজিটাল টেকনোলজি এবং এর মাধ্যমে সেখানে বসবাসকারী নাগরিকদের জীবন-মান উন্নীত করে চলেছে।

আইএমডি স্মার্ট সিটি ইনডেক্সে সেরা দশ স্মার্ট সিটির মধ্যে আছে : প্রথম সিঙ্গাপুর, দ্বিতীয় জুরিখ, তৃতীয় অসলো, চতুর্থ জেনেভা, পঞ্চম কোপেনহেগেন, ষষ্ঠ অকল্যান্ড, সপ্তম তাইপে সিটি, অষ্টম হেলসিঙ্কি, নবম বিলবাও এবং দশম ডুসেলডর্ফ।

স্মার্ট সিটি আসলে কী?

পাবলিক সেফটি, মোবিলিটি, গভর্ন্যান্স ও হেলথ ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনার পর এই ইনডেক্সে পরিমাপ করা হয় সিটিগুলোতে গ্রিন স্পেস ব্যবস্থাপনা করছে কীভাবে, কী করে উন্নীত করছে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলো এবং কর্মসংস্থানে প্রবেশের কাজটিকে ডিজিটালাইজ করছে। আর এসব করা হচ্ছে সর্বোপরি নাগরিক সাধারণের নিরাপত্তা বজায় রেখে। স্মার্ট সিটির কোনো সার্বজনীন সংজ্ঞা নেই। এটি একটি ধারণা। আর এই ধারণার উদ্ভব ইন্টারনেট অব থিংসের সূচনার পর। স্মার্ট সিটিগুলোর প্রতিশ্রæতি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শহুরে প্রবিধান ও সেবাসমূহের উন্নয়ন : The smart city movement aims to transform the way we live, move and work.

গড়পড়তা বিশ্বের অন্যান্য সিটির তুলনায় সিঙ্গাপুর তিনটি উপায়ে বেশি স্মার্ট।

এক : উন্নততর নাগরিক স্বাস্থ্য
উন্নততর নাগরিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার অপর অর্থ সুষ্ঠুতর সিটি। একটি সিটির নেতৃত্ব আগামী দিনের স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে সাজাবেন, তার ওপর নির্ভর করে নাগরিক সাধারণের ও একই সাথে এই নগরীর সমৃদ্ধি। একটি হেলথকেয়ার ইকোসিস্টেম নিশ্চিত করে লার্নিং ও ইনোভেশন, গড়ে তোলে সমাজ এবং সুযোগ দেয় প্রয়োজনীয় নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা। অধিকন্তু উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নির্ভর করে নগর শাসকেরা স্বাস্থ্যসেবা অকাঠামোকে কতটুকু আন্তরিক ও সহমর্মিতার পরিবেশে পরিচালনা নিশ্চিত করছেন।

সিঙ্গাপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হচ্ছে ঐবধষঃযপরঃু ঘড়াবহধ গড়ে তোলা। এটি কমিউনিটি-ফোকাসড মাস্টরপ্ল্যান। এই পরিকল্পনার অধীনে পথচারীদের জন্য হাঁটার রাস্তা বা ওয়াকওয়ে, আন্ডারগ্রাউন্ড কার পার্ক ও আউটডোর গ্রিনস্পেসের মতো অবকাঠামো গড়ে তোলা। সেই সাথে নিশ্চিত করা নগরীর রোগীদের জন্য পরিপূরক সেবা, যা রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর জন্য সহায়ক। সিঙ্গাপুরের নগর-নেতৃত্ব ইতিবাচকভাবে স্বাস্থ্যসেবার এসব বিষয় নিয়ে ভাবেন।

দুই : হাউজিং ডেভেলপমেন্ট বোর্ড
সিঙ্গাপুরের হাউজিং ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এইচডিবি) সব নাগরিককে সুযোগ দেয় বিনামূল্যে সরকারি বাড়িতে থাকার। অধিকন্তু দেশটির নেতারা ব্যবস্থা করেছেন পাবলিক হাউজিংয়ের। এই বাসাবাড়িগুলো একটি অ্যাপার্টমেন্টের চেয়ে বেশি কিছু। এগুলো বৃহত্তর সমাজ পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসব বাসাবাড়িতে সমন্বিত করা হয়েছে তিনটি বিষয় : লিভেবিলিটি, সাসটেইনেবিলিটি ও গ্রোথ (বসবাসযোগ্যতা, টেকসই সক্ষমতা ও প্রবৃদ্ধি)। দেশটির ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বসবাস করে সরকারি বাড়িতে। দেশটির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিটি জেনারোসিটিই শুধু সমন্বিত করছেন না, বরং সেই সাথে গড়ে তুলছেন পারিবারিক বন্ধন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এখানে অবশ্যই আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেগুলো ইনক্লুসিভ হাউজিংয়ের জন্য প্রয়োজন : ফিন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং, বরাদ্দকরণ ও বীমা। সিঙ্গাপুরে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করায় সিটির নেতারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন।

তিন : ল্যান্ড ট্র্যানজিট অথরিটি

একটি স্মার্ট সিটিতে এর নাগরিক সাধারণের জীবনমান পরিস্থিতি কেমন, তা নির্ধারণ করার একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে এর পরিবহন ব্যবস্থা। গত নভেম্বরে সিঙ্গাপুর নগরীর ‘ল্যান্ড ট্র্যানজিট অথরিটি’ (এলটিএ) অটোনোমাস ভেহিকলের জন্য সম্প্রসারণ করা হয়েছে একটি পাইলট এরিয়া। এই পাইলট এরিয়ার মধ্যে রয়েছে পুরো পশ্চিম সিঙ্গাপুর। এই নগরীর নেতারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন একটি স্থিতিস্থাপক কর্মীবাহিনী ও নাগরিক সমাজ পেতে হলে মোবিলিটি তথা চলাচল ব্যবস্থাকে অবশ্যই এমনভাবে সাজাতে হবে, যা শুধু ভ্রমণের শেষ মাইলটিকেই অন্তর্ভুক্ত করবে না, বরং এ ব্যবস্থা সুযোগ করে দেবে নগরবাসী সবাইকে তাতে অংশ নেয়ার।

সিঙ্গাপুরে এলটিএ গড়ে তুলছে পরিবহন অবকাঠামোর এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিদিনের যাতায়াতকারীরা সমন্বিত হতে পারেন হাঁটা ও সাইকেলে চড়ার মতো সক্রিয় মোবিলিটির সাথে। এর মাধ্যমে একটি স্মার্ট সিটি এর নাগরিকদের সক্ষম করে তোলে ‘মাস র‌্যাপিড ট্র্রান্সপোর্ট’ (এমআরটি)-এর মতো সহজতর ও সহনীয় খরচের পরিবহন ব্যবহার করে সক্রিয় জীবনযাপন করতে। ‘ওয়াক সাইকেল রাইড’ উদ্যোগটি জাতির জন্য উপকার বয়ে আনে বসবাসযোগ্য রিক্রিয়েশন স্পেস বাড়িয়ে তোলায় উৎসাহিত করতে, উন্নত করে টেকসই জ্বালানি পরিস্থিতি ব্যবহার এবং কমিয়ে আনে দূষণ। মোবিলিটির ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সিঙ্গাপুর নগরী নাগরিক সাধারণকে সক্ষম করে তোলে অধিকতর সক্রিয় জীবনযাপনে। নাগরিকেরা সুযোগ পান সস্তায় সহজতর পরিবহন ব্যবহারে।

এসব অনুশীলন দেখিয়ে দেয় কী করে সিটি লিডারেরা কতটুকু করতে পারেন, যখন নেতারা জোর দেন শক্তিশালী শাসন ও নাগরিক সাধারণের কর্মযজ্ঞে মিথস্ক্রিয়া সমন্বিত করা ও অগ্রাধিকারগুলোর প্রতি। যদি এসব নীতিমালা গ্রহণ করা হয় অন্যান্য দেশের প্রেক্ষাপটেও এবং এর সাথে যুক্ত হয় সঠিক পরিমাণের বিনিয়োগ, তবে অতি শিগগিরই আমরা বিশ্বব্যাপী দেখতে পাব আরো স্মার্ট সিটির একটি দীর্ঘ তালিকা। নাগরিকেরা যেভাবে তাদের নিজ নিজ নগরে বসবাস করেন, তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও মোবিলিটিতে রূপান্তর ঘটিয়ে বিশ্বে স্মার্ট সিটির প্রবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। সোজা কথায় বিশ্বে স্মার্ট সিটির সংখ্যা বাড়িয়ে তোলা যাবে।

স্মার্ট হতে শেখা

চলতি বছরের শরতে ‘দ্য ফোরাম অব ইয়ং গ্লোবাল ইয়ং লিডার্স’ প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছিল এর নিজস্ব ‘এক্সিকিউটিভ এডুকেশন মডেল’ প্রদর্শনের। এদের সদয় সহায়তা জুগিয়েছিল সিঙ্গাপুরের নানইয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এনটিইউ)। স্মার্ট সিটির ধারণার ওপর আলোকপাত করে সেখানে আয়োজন করা হয় বিশেষজ্ঞ-পরিচালিত বেশ কয়েকটি সেমিনার, কর্মশালা ও ৩০ জন ইয়ং গ্লোবাল লিডারের জন্য স্থান পরিদর্শন কর্মসূচি। এটি ছিল একটি কেস স্টাডি হিসেবে তাদের জন্য সিঙ্গাপুর সম্পর্কে জানার একটি অপূর্ব সুযোগ। তারা এর মাধ্যমে জানতে পারেন সিঙ্গাপুর শহুরে উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে। এক সপ্তাহের এই কোর্সের সময় ইয়ং গ্লোবাল লিডারেরা সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন খাতের শহুরে অর্থনীতি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। জানতে পারেন সিঙ্গাপুরকে আরো এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রের উদ্ভাবন ও আরো নতুন নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে। জানতে পারেন বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কেও। কেমন করে সিঙ্গাপুর নিজেকে আসীন করেছে স্মার্টেস্ট সিটির আসনে, আইনি ও বিধিবিধানিক পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি ফিউচারিস্টিক পলিসি অবলম্বন করে
Engr. Md. Zahirul Islam
Assistant Professor
Dept. of Electronics and Telecommunication Engineering
Faculty of Engineering
Daffodil International University

Offline Mst. Eshita Khatun

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 149
    • View Profile
Mst. Eshita Khatun
Senior Lecturer
Dept. of Computer Science & Engineering
Daffodil International University
102, Sukrabad, Mirpur Rd, Dhanmondi, Dhaka 1207, Bangladesh
eshita.cse@diu.edu.bd

Offline Anuz

  • Faculty
  • Hero Member
  • *
  • Posts: 1988
  • জীবনে আনন্দের সময় বড় কম, তাই সুযোগ পেলেই আনন্দ কর
    • View Profile
Smart city, smart life.
Anuz Kumar Chakrabarty
Assistant Professor
Department of General Educational Development
Faculty of Science and Information Technology
Daffodil International University