বৃষ্টির তুমুল শব্দ হচ্ছে কিন্তু আপনার গায়ে এক ফোঁটাও পড়ছে না, কারণ বৃষ্টি হচ্ছে নিচে আর আপনি আছেন মেঘের সাথে? চারিদিকে সবুজ আর উপরে আকাশ, পুরো ৩৬০ডিগ্রি দেখতে পাচ্ছেন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আর হাত বাড়ালেই পাচ্ছেন মেঘের স্পর্শ?
যদি এমনটাই হয় তাহলে আপনি জয় করেছেন ১০০১টি সিঁড়ি পেড়িয়ে ১১২৫ ফুট উপরের চন্দ্রনাথ পাহাড়। এডভেঞ্চার কাকে বলে তার প্রকারভেদসহ নির্ধিদায় আপনার প্রিয়জনকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন আর উপভোগ করতে পারেন অমূল্য শান্তি।
পাহাড়ে উঠে আর নেমে ক্লান্ত? তাহলে চলে যেতে পারেন বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে আর গা ভাসিয়ে দিন পানিতে। আর চাইলেই খেলে নিতে পারেন ফুটবল।
কিভাবে যাবেন?
- যে কোন জায়গা থেকে সীতাকুণ্ড রেলস্টেশন অথবা সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড। আমরা ঢাকা থেকে রাত ১০ঃ৩০ টায় চট্টগ্রাম মেইলে সকাল ৬ টায় সীতাকুণ্ড স্টেশনে পোঁছাই।
- স্টেশনে বা বাসস্ট্যান্ড থেকে ২ মিনিট হেটে আসুন সীতাকুণ্ড বাজারে, সকালের নাস্তা সেড়ে চন্দ্রনাথ পাহাড় বলে ২০ টাকা সিএনজি করে চলে যান চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ঠিক পাদদেশে।
- এর পর হাঁটার পথ, পায়ে হেঁটে উঠে পড়ুন পাহাড়ে। আমাদের ২.৩০ঘন্টা লেগেছে উঠতে। মাঝে পাবেন ঝর্না আর অনেকগুলো মন্দির।
- পাহাড়ে উঠে উপভোগ করুন পরিবেশ তারপর নেমে আসুন ঠিক যেখানে সিএনজি থেকে নেমেছিলেন। আমাদের নামতে ১.৫০ ঘন্টা লেগেছে।
- তারপর বার সিএনজি করে চলে আসুন সীতাকুণ্ড বাজারে ২০ টাকায়, দুপুরের খাবার খেয়ে বাঁশবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে সেইফ লাইন বাস অথবা লেগুনা করে ২০ টাকায় আসুন বাঁশবাড়িয়া বাজারে। তারপর বাজার থেকে সিএনজি করে ২০ টাকায় চলে যান বাঁশবাড়িয়া ঘাটে।
- বিকালটা উপভোগ করে ঘাট থেকে বাঁশবাড়িয়া বাজার আসুন, পরে বাস বা লেগুনাতে ৩০ টাকা করে চলে যান চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ে।
- অলংকার মোড় থেকে বাসে করে অথবা ১৫ টাকা করে লেগুনাতে স্টেশন থেকে ঢাকায় ব্যাক করতে পারেন।
যা যা নিতে ভুলবেন নাঃ
- পানি (মাস্ট) পাহাড়ে উঠার বা নামার সময় আপনার একমাত্র সঙ্গি পানি। যদি পারেন একদম বরফ ঠান্ডা পানি নিতে পারেন সীতাকুণ্ড বাজার থেকে।
- লেবু বা পেয়ারা ( আগে থেকে নিলে ভাল, তবে পাহাড়ে উঠার সময় মাঝে একটা দোকানে কিনতে পারবেন)। পাহাড়ে উঠতে বমি ভাব কাটাতে আর এনার্জি যোগাতে লেবু বা পেয়ারার বিকল্প নাই।
- বাঁশ (২০ টাকা করে পাবেন পাহাড়ের পাদদেশে) আপনার পাহাড়ে উঠার বা নামার অর্ধেক কাজ করে দিবে এই বাঁশ।
যদি পারেন একদম হাল্কা পাতলা কাপড় পরার ট্রাই করবেন আর ব্যাগ যত হাল্কা হবে ততই ভাল। চাইলে ব্যাগ পাহাড়ের নিচে দোকানে রেখে যেতে পারেন। দোকানদারেরা বিশ্বাসযোগ্য তবে বিনিময়ে কিছু টাকা দিতে হবে।