কানাডার ক্যারলেটন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম পাইকাইল, যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুশিয়া সাইরয়েস এই দু'জন মনোবিজ্ঞানীর যৌথ প্রচেষ্টায় চালিত গবেষণা বলছে, যে কাজটি আমাদের করতে হবে, সেটি কোনো না কোনোভাবে আমাদের খারাপ অনুভব করার জন্য দায়ী। হয়তো কাজটি একঘেয়ে, কিংবা কাজটিতে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানসিক এই খারাপ লাগা থেকে মুক্তির জন্য আমরা এক ধরনের আশ্রয় খুঁজি। এই খারাপ লাগা থেকে মুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা অন্য কিছু করতে উদ্যত হই এবং এর ফলে সাময়িক তৃপ্তি লাভ হয়। আমাদের মস্তিষ্ক আরামদায়ক অবস্থায় পৌঁছে যায়। এই বিষয়ে পাইকাইলের ভাষ্য,
যেকোনো ধরনের আত্ম পরিবর্তন চিরকালই কষ্টসাধ্য। কাজে গড়িমসির অভ্যাস বদলানোটাও সে দিক থেকে যথেষ্টই সাধনার বিষয়। বিষয়টি আয়ত্ত করাটা অনেকটা এক পা এগোলে দু' পা পেছানোর মতো বিরক্তিকর।
ওহায়োর কেইস ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘসূত্রতার আবেগীয় প্রেক্ষাপট বা ইমোশোনাল ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের প্রথমেই একটি দুঃখের গল্প পড়তে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মানসিক অবস্থাকে নেতিবাচক দিকে চালনা করা হয়। এরপর তাদের আসন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হলে দেখা যায়, তারা ভিডিও গেম বা পাজল মেলানোর মাধ্যমে তারা মূল বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কালক্ষেপণের এই দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কাজকে ক্ষুদ্রতম অংশে ভাগ করে নিতে হবে। একটি বৃহৎ কলেবরের কাজের সর্বনিম্ন যে অংশটুকু এক দফায় করা সম্ভব, সেটুকুই করতে হবে। এছাড়াও কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য অতীত-ভবিষ্যতের প্রতি দৃষ্টি না রেখে বর্তমান, ঠিক এই মুহূর্তের বহমানতায় ডুবে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ধ্যান একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ পদক্ষেপ হতে পারে!
[Collected]