ক্যাথরিন মাসুদের বাংলা শেখার সফর

Author Topic: ক্যাথরিন মাসুদের বাংলা শেখার সফর  (Read 2423 times)

Offline dulal.lib

  • Newbie
  • *
  • Posts: 43
  • Test
    • View Profile
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ গত শতকের আশির দশক থেকে। এর আগ পর্যন্ত এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব পরিচিত ছিলেন না বাংলা ভাষার সঙ্গে, বাংলাদেশের সঙ্গে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে সেই যে এলেন এই দেশে, বাংলা ভাষা হয়ে উঠল ক্যাথরিনের জীবনের অংশ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ক্যাথরিন মাসুদের বাংলা ভাষা শেখা ও বাংলার সঙ্গে বসবাসের গল্পটি তুলে ধরা হলো।


ক্যাথরিন মাসুদ। ছবি: কবির হোসেন
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ গত শতকের আশির দশক থেকে। এর আগ পর্যন্ত এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব পরিচিত ছিলেন না বাংলা ভাষার সঙ্গে, বাংলাদেশের সঙ্গে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে সেই যে এলেন এই দেশে, বাংলা ভাষা হয়ে উঠল ক্যাথরিনের জীবনের অংশ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ক্যাথরিন মাসুদের বাংলা ভাষা শেখা ও বাংলার সঙ্গে বসবাসের গল্পটি তুলে ধরা হলো।

৩৪ বছর আগের কথা। ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো পা রেখেছিলেন ক্যাথরিন। তখন তিনি ক্যাথরিন মাসুদ নন। নন প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার বা নির্মাতা। তখন তিনি ক্যাথরিন লুক্রেশিয়া শেপার নামের ২৩ বছরের এক মার্কিন তরুণী। উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক হয়েছেন। লাল–সবুজের এই দেশে আসবেন, দেশের ভাষা আর মানুষের প্রেমে পড়বেন, এমনটা কথা ছিল না। কীভাবে কী হলো, সেই গল্প শোনার জন্য ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গে শুরু হলো মেইল চালাচালি। একটু সময় মিলতেই ফেলে রাখা এমএফএ (মাস্টার্স ইন ফাইন আর্টস) করেই ফেললেন ক্যাথরিন। যুক্তরাষ্ট্রে কনেটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, ডকুমেন্টারি ফিচার ফিল্মের কাজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একাধিক প্রকল্প ও অন্যান্য নানা ব্যস্ততায় দিন কাটছে তাঁর। সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে এত কিছুর মধ্যেও নিয়মিত বিরতিতে ক্যাথরিন মাসুদের ঠিকানা থেকে আসতে থাকল মেইলের উত্তর, প্রত্যুত্তর। জানা হলো বাংলা ভাষার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ এবং এই ভাষার মায়ায় বাঁধা পড়ে যাওয়ার গল্প।

একটা মেইলে ওলটপালট
ক্যাথরিনের পড়াশোনায় ভৌগোলিকভাবে গুরুত্ব পেয়েছিল লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর আর্থসামাজিক অবস্থা। বাংলাদেশে আসবেন, এমন কোনো পরিকল্পনা তাঁর খসড়া বা প্ল্যান বি, সিতেও ছিল না। এমন সময় বাংলাদেশের একটি এনজিও থেকে একটি মেইল যায় ক্যাথরিনের কাছে। এক বছরের ইন্টার্নশিপের ওই নিমন্ত্রণপত্র কৌতূহলী করে ক্যাথরিনকে। তাঁর গবেষণার তত্ত্বাবধায়কও লুফে নিতে বললেন সেই সুযোগ। এনজিওর কাজের অভিজ্ঞতাও হবে, এগোবে গবেষণাও। তাই এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করতে ‘জাদুর শহরে’ শুরু হলো ক্যাথরিন লুক্রেশিয়া শেপার নতুন জীবন, যার নাম ঢাকা।


ক্যাথরিন মাসুদ। ছবি: কবির হোসেন
ক্যাথরিন মাসুদ। ছবি: কবির হোসেন
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ গত শতকের আশির দশক থেকে। এর আগ পর্যন্ত এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব পরিচিত ছিলেন না বাংলা ভাষার সঙ্গে, বাংলাদেশের সঙ্গে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে সেই যে এলেন এই দেশে, বাংলা ভাষা হয়ে উঠল ক্যাথরিনের জীবনের অংশ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ক্যাথরিন মাসুদের বাংলা ভাষা শেখা ও বাংলার সঙ্গে বসবাসের গল্পটি তুলে ধরা হলো।

৩৪ বছর আগের কথা। ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো পা রেখেছিলেন ক্যাথরিন। তখন তিনি ক্যাথরিন মাসুদ নন। নন প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার বা নির্মাতা। তখন তিনি ক্যাথরিন লুক্রেশিয়া শেপার নামের ২৩ বছরের এক মার্কিন তরুণী। উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক হয়েছেন। লাল–সবুজের এই দেশে আসবেন, দেশের ভাষা আর মানুষের প্রেমে পড়বেন, এমনটা কথা ছিল না। কীভাবে কী হলো, সেই গল্প শোনার জন্য ক্যাথরিন মাসুদের সঙ্গে শুরু হলো মেইল চালাচালি। একটু সময় মিলতেই ফেলে রাখা এমএফএ (মাস্টার্স ইন ফাইন আর্টস) করেই ফেললেন ক্যাথরিন। যুক্তরাষ্ট্রে কনেটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, ডকুমেন্টারি ফিচার ফিল্মের কাজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একাধিক প্রকল্প ও অন্যান্য নানা ব্যস্ততায় দিন কাটছে তাঁর। সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে এত কিছুর মধ্যেও নিয়মিত বিরতিতে ক্যাথরিন মাসুদের ঠিকানা থেকে আসতে থাকল মেইলের উত্তর, প্রত্যুত্তর। জানা হলো বাংলা ভাষার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ এবং এই ভাষার মায়ায় বাঁধা পড়ে যাওয়ার গল্প।

১৯৮৮ সালে ক্যাথরিন অংশ নিয়েছিলেন প্রথম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।
১৯৮৮ সালে ক্যাথরিন অংশ নিয়েছিলেন প্রথম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।
একটা মেইলে ওলটপালট
ক্যাথরিনের পড়াশোনায় ভৌগোলিকভাবে গুরুত্ব পেয়েছিল লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর আর্থসামাজিক অবস্থা। বাংলাদেশে আসবেন, এমন কোনো পরিকল্পনা তাঁর খসড়া বা প্ল্যান বি, সিতেও ছিল না। এমন সময় বাংলাদেশের একটি এনজিও থেকে একটি মেইল যায় ক্যাথরিনের কাছে। এক বছরের ইন্টার্নশিপের ওই নিমন্ত্রণপত্র কৌতূহলী করে ক্যাথরিনকে। তাঁর গবেষণার তত্ত্বাবধায়কও লুফে নিতে বললেন সেই সুযোগ। এনজিওর কাজের অভিজ্ঞতাও হবে, এগোবে গবেষণাও। তাই এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করতে ‘জাদুর শহরে’ শুরু হলো ক্যাথরিন লুক্রেশিয়া শেপার নতুন জীবন, যার নাম ঢাকা।


রবীন্দ্রনাথ আর ‘বেঙ্গলি ফর ফরেনার্স’
ক্যাথরিন মাসুদের দাদা আলফ্রেড বিংহাম ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভক্ত। গত শতকের িত্রশের দশকে মার্কিন নাগরিক আলফ্রেড বিংহাম তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে আসেন। শান্তিনিকেতনে দেখা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে। সেই ভ্রমণের গল্প শুনে এ অঞ্চল সম্পর্কে আবছা একটা ধারণা যা জন্মেছিল, সেটুকু পুঁজি করে এই বাংলায় এলেন ক্যাথরিন। প্লেন থেকে মাটিতে পা রেখে আশপাশে কে কী বলছিল, কিচ্ছু বুঝতে পারছিলেন না। এভাবে কিছুদিন চলল। আগে থেকেই ইংরেজি ছাড়া ফরাসি আর স্প্যানিশ জানতেন। সেটুকু যা আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল, তা–ই সম্বল করে একদিন হাঁটছিলেন ঢাকার নিউমার্কেটের পাশ দিয়ে। হঠাৎ-ই চোখে পড়ল ব্রাদার জেমসের বেঙ্গলি ফর ফরেনার্স বইটি। আগেও বই পড়ে বাংলা শেখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এই বই তাঁকে সত্যিই সাহায্য করেছিল। বাংলা শেখালেন গৃহকর্মী, দারোয়ান আর রিকশাওয়ালারা
সাঁতার শিখতে যেমন পানিতে নামতেই হবে, ভাষা শিখতে গেলে তেমনই মানুষের সঙ্গে সেই ভাষায় কথা বলা ছাড়া গতি নেই। কিন্তু বাংলা ভাষা অনুশীলনের জন্য প্রাথমিকভাবে ক্যাথরিন সঙ্গী পেয়েছিলেন খুব কমই। যেসব ‘মধ্য’ ও ‘নিম্নবিত্ত’ মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের প্রায় সবাই কেবল তাঁর সঙ্গে নিজেদের ইংরেজিটা ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন। অবশ্য তাঁদের দোষ দেন না মাটির ময়নার এই প্রযোজক। বরং নিজের উদ্ভট বাংলাকেই বানালেন ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। এরপর? এই অংশটা শোনা যাক ক্যাথরিন মাসুদের বয়ানে, ‘তখন আমি অন্য শ্রেণিকে “তাক” করলাম বাংলার শেখার জন্য। যাঁরা বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা জানে না। কাজের বুয়া, দারোয়ান, রিকশাওয়ালারা আমাকে খুবই সাহায্য করেছেন বাংলা শিখতে। আমার কিম্ভূত উচ্চারণের দাঁতভাঙা বাংলার সঙ্গে চালিয়ে নেওয়া ছাড়া ওদের কোনো বিকল্পও ছিল না।’

ফল ভয়ংকর!
কয়েক মাসের প্রাণান্ত চেষ্টায় বাংলাটা ‘ধরে ফেললেন’ বটে, তবে গোল বাধল অন্য জায়গায়। ক্যাথরিনের বাংলা শব্দভান্ডারের অর্ধেকজুড়ে তখন দেশি গালাগালি। ক্যাথরিনের ভাষায়, ‘ব্যাড ওয়ার্ডস’। আর সেগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে–সেখানে ভরা মজলিশে ব্যবহার করতে লাগলেন তিনি। প্রায়ই তাঁর ভাষা শুনে ‘ভদ্রলোকেরা’ হাসিতে ফেটে পড়তেন বা মুখ চাওয়া–চাওয়ির একপর্যায়ে একেবারে চুপ হয়ে যেতেন। সেকেন্ড পেরিয়ে মিনিট গড়িয়ে যেত, তাঁদের মুখে আর ‘রা’ নেই। ক্যাথরিনের ভাষায়, ‘শকে’ চলে যেতেন তাঁরা। আর সেটিই নাকি ছিল ক্যাথরিনের বাংলা পাঠের খুবই ভীতিকর অধ্যায়।

তারেক মাসুদ বলতেন, ‘রাস্তার বাংলা’
তত দিনে ক্যাথরিন মাসুদ প্রায় এক বছর কাটিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশে। বুঝে বুঝে নিজের কথায় একটু–আধটু বাংলা বাগ্​ধারাও ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। এ রকম কিছু বলার পর দুরু দুরু বুকে কয়েক সেকেন্ডের অপেক্ষা। আর যখনই বুঝতে পারতেন, ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পেরেছেন, শিশুর মতোই হাততালি দিয়ে উঠত হৃদয়। বুঝতেন, পারছেন, তাঁকে দিয়ে হচ্ছে। বাংলা ভাষাকে নিজের মতো করে আবিষ্কার করার অনুভূতি তাঁর কাছে নতুন প্রভাতে নবজন্মের মতো। সে রকমই একটি দিনে দেখা হলো তারেক মাসুদের সঙ্গে। দুজনের বন্ধুত্ব হওয়ার পর তারেক মাসুদ প্রায়ই ক্যাথরিনের বাংলাকে কটাক্ষ করে বলতেন, ‘রাস্তার বাংলা’।

‘বনলতা সেন’ মুখস্থ করলেন ক্যাথরিন
সবার আগে আগে ‘লো বাংলা’ (নিম্নবিত্তের বাংলা), তারপর ‘হাই বংলা’ (শুদ্ধ ও প্রমিত বাংলা) আর সবার শেষে ‘মধ্যবিত্ত বাংলা’ (কথ্য ও প্রচলিত বাংলা) শিখেছিলেন ক্যাথরিন মাসুদ। তারেক মাসুদ, আহমেদ ছফাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে ক্যাথরিন মাসুদ পরিচিত হলেন শিল্প ও সাহিত্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত এমন অনেকের সঙ্গে। হু হু করে বাড়তে লাগল ক্যাথরিনের বাংলা শব্দভান্ডার। তারেক মাসুদই নাকি ক্যাথরিন মাসুদকে পরিচয় করিয়ে দেন জীবনানন্দ দাশের সঙ্গে। সেসব কবিতা এত ভালো লাগল ক্যাথরিনের! ‘বনলতা সেন’ পুরোটা মুখস্থ করে ফেললেন। স্মৃতি থেকে প্রায়ই আনমনে আবৃত্তি করতেন ‘বনলতা সেন’কে। আর রবীন্দ্রসাহিত্য তো ছিলই। নিয়ম করে কিছু সময় বরাদ্দ রাখতেন চোখ বন্ধ করে রবীন্দ্রনাথের গানকে দেওয়ার জন্য। ক্যাথরিনের ভাষায়, ‘তৃষ্ণার্ত স্পঞ্জের মতো করে এসব সাহিত্যের পুরোটা শুষে নিলাম।’ এভাবেই ‘লো বাংলা’র পর ক্যাথরিন শিখলেন ‘হাই বাংলা’। সবার পরে পরিচয় হয়েছিল মধ্যবিত্তের বাংলার সঙ্গে।

হরেক রকম বাংলা
এভাবেই বর্ণপরিচয় থেকে শুরু করে বাংলার নানা রকমফেরের সঙ্গে পরিচয় ঘটল চলচ্চিত্রকার ক্যাথরিন মাসুদের। ভাষণের বাংলা, সামাজিক আচারের শালীন বাংলা, দৈনন্দিন কাজের বাংলা আর বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের সময় শিখলেন ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লার বাংলা ও কলকাতার বাংলা। সব বাংলার সুরগুলো শিখে নিতে লাগলেন ধীরে ধীরে। হাতে–কলমে কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই তিনি বাংলা বলতে, পড়তে ও মোটামুটি লিখতে শিখে গেলেন।

বাংলা ভাষা শেখাটা পরিকল্পনা করে হয়নি ক্যাথরিন মাসুদের। কিন্তু এই ভাষাকে আপন করে নিতে সময় লাগেনি তাঁর। আপনা–আপনি মনের অজান্তেই ঘটেছে বাংলার সঙ্গে প্রেম। আজ বাংলা ভাষাকে নিজের করতে পেরে গর্ব হয় তাঁর। কারণ, এই ভাষা সব ভাষার প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলা ভাষার সৌন্দর্যে তিনি মুগ্ধ হন বারবার। ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস স্মরণ করে রোমাঞ্চিত হন। যে ইতিহাস অহংকারী না হয়ে বরং ভাষার বৈচিত্র্যকে শ্রদ্ধা জানায়, দুয়ার খুলে দেয় মানবতার। তাই সব কথার শেষে এসে ক্যাথরিন বললেন, ‘আমার বাংলা ভাষা শেখার সফরটা একসময় হুট করেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু একসময় এটাই হয়ে ওঠে আমার জীবনের এমনই এক অংশ, যাকে নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি।

সূত্র>প্রথম আলো
Md. Dulal Uddin
BSS (Hon's) and MSS in
ISLM, Rajshahi University.

Library Officer
Daffodil International University
Daffodil Smart City, Ashulia, Savar, Dhaka, Bangladesh
Cell: 01847334802/01738379730